পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২২ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সভ্যহ ভারতীয় হওয়া উচিত-অবশ্য প্রকাশু ও প্রচ্ছন্ন ঙ্গো-হুকুমদের বাদ দিয়া। ইংরেজরা অবশু বলিবে, ভারতীয়েরা নিজেদের দিকে টানিয়া কথা বলিবে অতএব তাহাদিগকে সভ্য নিযুক্ত করা উচিত নয়। কিন্তু স্বদেশের দিকে ঝুঁকিয়া কথা বলাট। ত অপরাধ নয়। যদি স্বদেশের জন্ত কিছু করিতে গিয়া বিদেশীর নিজের দেশের জমী ভূগর্ভস্থ সম্পত্তি ও অন্য ধন, তাহাদের নিজের দেশে তাহাঁদের কোন অধিকার, এই সকলে হস্তক্ষেপ করা হয়, তাই দোষের বটে। কিন্তু আমরা ত তাহা করিতে যাইতেছি না। তবে, যদি ইংরেজরা এমন একটি কমিশন চান, যাহার সভ্যদের ভারতীয়দের স্বার্থ সম্বন্ধে অমুকুলত৷ প্রতিকুলত কিছুই নাই, তাহা হইলে তাঁহা সম্ভব কিনা বলিতে পারি না। সেরূপ সভ্য পাইতে হইলে রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন এমন একটি প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য জাতি খুজিয়া বাহির করিতে হইবে, যাহার লোকের বাণিজ্য দ্বারা ভারতবর্ষকে শোষণ করিতেছে ন, বা করিতে চায় না, এবং সেই উদ্বেগু সাধনার্থ ভারতবর্ষের পণ্যশিল্পবাণিজ্যিক অধীনত স্থায়ী করিতে এষং সেই হেতু পরোক্ষভাবে আমাদের রাষ্ট্রীয় পরাধীনতাও স্থায়ী করিতে ইচ্ছুক নহে। কারণ, আমাদের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা থাকিলে আমরা ইচ্ছা করিলে নিজেদের পণ্যশিল্পবাণিজ্যিক অধীনতারও উচ্ছেদ সাধন করিতে পারিব । ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এইরূপ অমুকুলত-প্রতিকুলতা-বিহীন, ইংরেজের লোভভয়প্রদর্শনের প্রভাবের অতীত এইরূপ কোন জাতি থাকিলে তাহাদের মধ্য হইতে সমুদয় সভ্য নিৰ্ব্বাচনের বিরুদ্ধে আমাদের আপত্তি হইবে না। গণিকালয় হইতে বালিকাদের উদ্ধার দুশ্চরিত্র লোকদের জন্ম বেখ্যারা নিজেদের ব্যবস। বজায় রাখিবার নিমিত্ত ছোট ছোট মেয়ে সংগ্রহ করে, এবং তাহারা কিছু বড় হইলে তাহাদিগকে পাপকার্য্যে নিযুক্ত করে। অপ্রাপ্তবয়স্ক। এইরূপ বালিকাদিগকে গণিধালয় হইতে উদ্ধার করিবার ক্ষমতা পুলিশের আছে, এবং পুলিশ অনেককে উদ্ধার করিয়াও থাকে। ইহা পুলিশের লোকদের সংকাজ। কিন্তু তাহাদিগকে উদ্ধার করিয়া কোথায় রাখ। যাইবে ? তাহাদের পিতামাতা, আত্মীয়-স্বজন নাই, থাকিলেও তাহাদের সন্ধান কেহ জানে না, সন্ধান জানিলেও তাহারা হিন্দুসমাজভুক্ত হইলে অভিভাবকদের গৃহে স্থান পায় না। খৃষ্টীয় মিশনারীরা তাহাদিগকে আশ্রয় ও শিক্ষা দিতে পারেন। কিন্তু তাহা হইলে কথা উঠিবে, রাজশক্তির সাহায্যে পরোক্ষভাবে খৃষ্টিয়ানের সংখ্যা বাড়ান হইতেছে। বস্তুত:, ইহা ঠিকৃও বটে, যে, নাবালক ছেলেমেয়ে যে-ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ে জাত, সাবালক হইবার পূর্ব পর্য্যস্ত তাহাদের ভিন্ন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবার কোন পস্থা না-করা ভাল — তাহাদের পিতামাত। তাহাদিগকে লইয়া যদি ধৰ্ম্মাস্তর গ্রহণ করে, সে কথা স্বতন্ত্র। তাহা হইলে প্রত্যেক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের, গণিকালয় হইতে পুলিশ কর্তৃক আনীত স্বস্ব সম্প্রদায়ের বালিকাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও স্বশিক্ষার বন্দোবস্ত কর। কৰ্ত্তব্য। হিন্দুসমাজ তাহা এখনও করেন নাই। জুজ গ্রীভস্ সাহেবের চেষ্টায় এইরূপ বালিকাদের জন্য একটি আশ্রম স্থাপিত হয়। কিন্তু ভূতপূৰ্ব্ব লাট লিটনের চেষ্টা সত্বেও, তাহার জন্য যথেষ্ট টাকা উঠে নাই । তথন লর্ড লিটন কলিকাতার মেয়র শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সেন গুপ্তকে ইহার জন্য একটি ফও খুলিতে ও তাহার নিমিত্ত টাকা সংগ্ৰহ করিতে বলেন। বঙ্গের বর্তমান লাটকে সভাপতি করিয়া সে দিন কলিকাতার টাউন হলে এই উদ্বেপ্তে সৰ্ব্বসাধারণের সভার অধিবেশন হইয়াছিল। বিদেশী রাজশক্তির কোন পরোক্ষ সাহায্য ব্যতিরেকেও এই অত্যাবশ্বক সদনুষ্ঠানের জন্ত যথেষ্ট টাকা উঠিলে হিন্দুসমাজের কর্তব্যবোধের পরিচয় পাওয়া যাইত এবং সম্মানরক্ষা হইত। কিন্তু হিন্দুসমাজের জাগরণ না হওয়ায় তাহা যখন হয় নাই, তখন অন্য উপায়েও কাজ উদ্ধার করিতে আপত্তি করিলে চলিবে না। এখন মেয়ূরের ফণ্ডে যথেষ্ট টাকা উঠিলে একটা সামাজিক অকল্যাণ বিনাশের একটি উপায় কিয়ং পরিমাণে অবলম্বিত হইতে পরিবে। অভূমিত হইয়াছে, যে, কেবল কলিকাতা সছরেই দুই হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিক গণিকালয়গুলাতে আছে। তাহদের সকলকে সংগ্রভাবের মধ্যে রঞ্চি