পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] তখনকার কালের মোহিনীদের বিচার করা ভুল। দেহতৃষ্ণ নিবারণের জন্তেই যে তারা তা নয়, তারা চিত্ততৃষ্ণ নিবারণের জন্যে। কাপুরুষের কাছেই স্ত্রীলোকের লালসার সামগ্রী, বীরের কাছে নয়। কাপুরুষ নিজের হীন প্রয়োজনেই স্ত্রীলোককে হীন ক’রে ফেলে। যেখানে সেই প্রয়োজনের দাবীই একান্তু নয়, সেখানে পুরুষের পৌরুষই নারীমৰ্য্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখে। মৃচ্ছকটিকের বসস্তসেনার কথা চিন্তা ক’রে দেখ লেই একথা স্পষ্ট হবে। চারুদণ্ডের মতো শ্রদ্ধারযোগ্য, গৃহস্থ পুরুষের পক্ষে বসস্তসেনার সঙ্গ যে হেয় এমনতর বিচারের আভাস মাত্র এই নাটকে কোথাও নাই। শুধু তাই নয় ; বসস্তসেনার ষে চরিত্র বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে সামাজিক দায়িত্ব নেই বটে, কিন্তু রমণীর দায়িত্ব আছে । তাকে অশ্রদ্ধা করবার জো নেই। স্পষ্টই বোঝা যায় তখন এই রকম নারীর সতর্কভাবে আপন সন্ত্রম রক্ষা করবার চেষ্টা করত, নইলে তাদের যেটি আসল কাজ সেটাই ব্যর্থ হ’ত ।” আমি বল্লাম—“সমাজের আশ্রয় থেকে মেয়েদের এরকম বিচ্ছিন্ন ক’রে নেওয়া কি তাদের প্রতি অত্যাচার नग्न ?” কবি বললেন—"পূর্বেই বলেচি, বাধ বেঁধে যদি নদীর ধারা বদ্ধ কর, তবে জলের জন্যে জলাশয় খুড়তে হয় । অবরুদ্ধ স্বভাবের নিয়মই কৃত্রিম প্রণালীকে খুজে খুজে বের করে। মেয়েরা ঘেথানে গৃহিণী সেখানে বিশেব গৃহেই তাদের অধিকারের সীমা, যেখানে তার হলাদিনী সেখানে তারা সমস্ত বিশ্বের । যে-মেয়ের মধ্যে এই হলাদিনী শক্তির বিশেষ প্রতিভা আছে সে আপনার এই শক্তিকে জানে। সে যদি এই শক্তিকে বিচিত্র ও বিস্তীর্ণ ভাবে প্রয়োগ করবার সহজ ক্ষেত্র না পায় তাহ’লেই তার রূদ্ধ শক্তি সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্রে বিকৃতি ঘটায়। সমাজের গৃহবায়ু মণ্ডলকে এই বিকৃতির বাষ্প থেকে রক্ষা করবার জন্তেই দুই একটা জানল। একদা খোলা হয়েছিল। একদিক থেকে দেখতে গেলে সেটাতে সমাজকে এবং এই শ্রেণীর মেয়েকে কঠোর আঘাত থেকে বাচানোই হয়েচে । পুরুষের চিত্তে শক্তির প্রেরণা সঞ্চার যে-মেয়েদের পক্ষে প্রচুর পরিমাণে ཕྱི་རྒྱལ་༧ 9་ཐ། ཟམ་ཁ་ཇི་ { আলাপ-আলোচনা ురిణ স্বাভাবিক,স্বক্ষেত্রে তারা আপন অপ্রতিহত মহিমা অনুভব করতে পারলে তবে তাদের প্রকৃতি স্বার্থক হতে পারে। প্যারিসে যেসকল নারী তাদের স্যাল-সভায় মনীষী পুরুষমণ্ডলীকে নিজের মোহিনীশক্তির দ্বারা টেনে নিয়ে তাদের চিত্তকে আন্দোলিত ক’রে আলাপ-আলোচনার তরঙ্গ তুলতেন তারা এই জাতের । তারা অনেকে বিবাহিত। হ’লেও গৃহধর্শ্বের গণ্ডীকে স্বভাবতই ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। স্বর্ষ্যের আলো সহজেই যেমন গাছের মজায় মজায় প্রাণ সঞ্চার করে তেমনি, ক’রেই তারা তাদের সমকালবৰ্ত্তী গুণীদের মনের ভিতর নারী-লাবণ্যের কিরণ বিকীর্ণ ক’রে তাদের মধ্যে সফলতা সঞ্চার করতেন। নারী-প্রকৃতি থেকে প্রবাহিত এই জীবনধারার জন্যে পুরুষ-চিত্ত আপন সার্থকতার অভিপ্রায়ে অপেক্ষা করে একথা আমরা সব সমরে জানি না,—এরই অভাবে যে আমাদের কৃতিত্বের কৃশতা ঘটে সে সম্বন্ধেও সব সময়ে আমরা সচেতন নই। কিন্তু একথাটা আমরা ধ’রে নিতেই পারি পুরুবচিত্তের সম্পূর্ণতার জন্তেই নারীশক্তির প্রভাব নিতাস্তই চাই। এমন কি আধ্যাত্মিক সাধনাতেও । বুদ্ধদেবের শুষ্ক তপস্যার অস্তে স্বজাতার যে স্বন্দর সেবাটুকু এসেছিল এর মধ্যে সেই অর্থটি আছে ; যিশু খৃষ্টের প্রকৃতি আপন তৃপ্তির পূর্ণতার জন্তেই মেরি মার্থার ভক্তি নিবেদনের বিশেষ অপেক্ষা করেছে। যুদ্ধে পুরুষ প্রাণ দেয় তার পিছনেও মেয়েদের প্রেরণাবাণী থাকে, রাজপুতদের ইতিহাসে তা দেখা যায়, মধ্যযুগের যুরোপীয় ক্ষত্রিয়দের বিবরণেও তা পাই । পুরুষ এই শক্তির প্রত্যক্ষ প্রেরণ থেকে যখন সমাজধারায় বঞ্চিত হয় তখনি ধৰ্ম্মতন্ত্রের ছদ্মপথ দিয়ে তৃপ্তির উপায় খোজে এবং সেই সব কৃত্রিম উপায়ে তার পৌরুষকে পুষ্ট করে না, বিকৃত করে, আমরা তার দৃষ্টান্ত প্রত্যহ দেখতে পাই ।” ব’লে একটু থেমে বললেন, “প্রেয়সীর কাছ থেকে বিজ্ঞান বা তত্ত্বজ্ঞানের সহযোগিতা দাবী করাটাই সব চেয়ে বড় ক’রে তুলে না—বিবাহ রাত্রিট নাইট чки Ехtension lecturesa sist afekta ssss নয়। নারীর কাছ থেকে যদি তার প্রেমের আত্মনিবেদন পাও তাহলে সেটা তোমার পক্ষে সবচেয়ে মূল্যবান »skoka"...İčist&