পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ধমের গান কতকালের ? t&SS সে আপন অঙ্গীকৃত ক’রে নেয় তখনিই সে আপন সম্পূর্ণত পায়। দেন্থহীন প্রেতের অবস্থা যে আত্মাহীন দেহের চেয়ে ভালো তা আমি মনে করি না। শেষোক্ত পদার্থটা দিনের বেলায় উৎপাত করে তাকে ঠেকানো যায়, প্রথমোক্তটার উপদ্রব অন্ধকার রাত্রে। তাকে দাবিয়ে রাখবার জন্যে মানুষ কত শাস্ত্র থেকে কত মন্ত্র পাড়ে তার ঠিক নেই কিন্তু কিছুতেই পেরে ওঠে না। সেই জন্ধেই মাহুষের যথার্থ সাধনা হচ্চে শব্দকে ত্যাগ ক’রে অর্থকে শূন্তে খুজে বেড়ানো নয় শব্দের মধ্যেই অর্থকে পাওয়া । বিবাহে তার সাধন হচ্চে, স্ত্রীকে মন্ত্র প’ড়ে পেয়েছি ব’লেই তাকে স্কুল বস্তুর মতে পেয়েছি এমন কথা মনে করার অপরিসীম মূঢ়তা ঘুচিয়ে দেওয়া, এই কথা অন্তরের সঙ্গে জান যে, মানুষকে দখল না করলেই তবেই তাকে লাভ করা সম্ভব হয়। পরকীয়া-সাধনের তত্ত্বটা মিথ্যা নয়,—তার মানেই হচ্চে পরকীয়া নারী আমার বাধ্য নয় ব’লেই আমার পরে তার শক্তি এত প্রবল, তার প্রেমের এত মূল্য। এইজন্ত বিবাহ যখন বৰ্ব্বরযুগের স্কুল শাসনের থেকে মুক্তি পাবে তখন সকল বিবাহেই পরকীয়া-সাধন প্রচলিত হবে, তখন স্ত্রীর স্বাতন্ত্র্য আছে ব’লেই তার মূল্য পুরুষের কাছে যেণী হবে । বিবাহে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে এই পরকীয়া-সাধনার যুগ এসেচে ব’লেই আশা করি । যদি এসে থাকে তবে মূঢ়তা ক’রে আমরা যেন সেই সাধনার অধিকার থেকে বঞ্চিত ন হই ।” ধমের গান কতকালের ? ঐ যোগেশচন্দ্র রায় ধম-মঙ্গল নামে অনেক পুর্থী লেখা হইয়াছিল। মঙ্গল মাত্রেই গানের পাল। ধম-মঙ্গল, ধমের গানের পালা । ধম-ঠাকুরের গাজনের সময় ধমের মাহাত্মা গান করা হইত। কদাচিৎ কোন ভক্ত ঘটা করিয়া মানসিক শোধের সমর গান করাহত । এখন কালের স্রোত ভীবণ বেগে নূতন পথে ছুটিয়াছে ; ধমের গায়ন আছেন কি না, সন্দেহ। বাল্যকালে দুর্গা-পূজার সময় রামায়ণ গান, চণ্ডীর গান, মহাভারত গান শুনিতাম ; এখন থিয়েটরী চলে; थिtर्श बैौ गान डिब्र कश1 नाझे । ब्राधांप्र१ भशङाद्र७ চণ্ডী ধম প্রভৃতির গায়নের আর উদয় হইবে না, পালাও রচিত হইবে না। ধম গায়নের মধ্যে মাত্র তিন গায়নের পালা ছাপ। श्ब्राह्छ् ।। ५क, भांfनकब्राध ; फूझे, घनद्राभ ? उिन, ब्रामाई পণ্ডিত। অলৌকিক ঘটনায় ঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রকাশিত হয়। প্রথমে লোক মুখে শুনিতে পাওয়া যায়, পরে তাহ কবির গানে প্রচারিত হয়। সংস্কৃত-জানা কবির কলমে পুরাণ রচিত হয়, পুরাতন পুরাণে প্রবিষ্ট হয়, কদাচিৎ নুতন উপ-পুরাণের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। প্রাচীন কাহিনী এই রূপে ংস্কৃত শ্লোক-বদ্ধ কিংবা দেশ ভাষায় গীত-বদ্ধ হইয়৷ রহিয়াছে । মেদিনীপুর জেলায় তমলুকের দক্ষিণ পশ্চিমে ময়না নামে এক রাজ্য ছিল। একদা এক গৌড়েশ্বরের অধীনে কর্ণসেন ময়নার রাজা ছিলেন । র্তাহার চাfর পুত্র অজয়ার তীরে মঙ্গল-কোটের নিকট ঢেকুরের রাজা ইছাই ঘোষের সহিত যুদ্ধে হত হন, পুত্ৰ-শোকে কর্ণসেনের রাণী প্রাণত্যাগ করেন। তখন কর্ণসেন বৃদ্ধ। গৌড়েশ্বর সেই বৃদ্ধের সহিত তাহার গুলী রঞ্জাবতীর বিবাহ দেন। পুত্র হয় না ; রঞ্জাবতীর এক পিলতাত প্রবীণা ভগিনী ছিলেন, নাম সামুলা ; তিনি ধমের ব্রত জানিতেন। তাহার উপদেশে রঞ্জাবতী ধমের ব্রত করিয়া লাউসেন নামে পুণ্যধান পুত্র লাভ করেন। খমের ব্ৰত অতিশয় কঠিন, তাহাতে প্রাণ পৰ্য্যন্ত উৎসর্গ করিতে হয়। রঞ্জাবতী ধমের স্বালাঁ ;