পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や88 , ved তাহার ধম দাস নামে এক * সদৌ ইনিই পরে গোসাঞি পণ্ডিত নামে খ্যাত হন। বোধ হয়, তিনি পিতা রামাইর পূজা-পদ্ধতির বিস্তার করেন, এবং পদ্ধতি মূলে রামাইর হইলেও তাহার পুত্রের উপাধি গোসাঞি নামে প্রসিদ্ধ হয়। ধমৰ্দাসকেও বিবাহ করিতে হয়, নইলে পণ্ডিত বংশ লুপ্ত হয় । কালিম্বী নদীকূলে সদা নামে এক ডোম বাস করিত, ধমদাস তাহার কল্প বিবাহ করেন। ক্রমে রামাইর বংশ বিস্তৃত হয়। রামাই ব্রাহ্মণ ছিলেন ; তাহার পুত্র ধর্মদাস শূন্দ্রকন্তু জাত। সেকালে প্রতিলোম বিবাহ প্রচলিত ছিল। ধমদাসের পুত্র ডোম কক্কা বিবাহ করেন। কাজেই তাহার ংশ ডোম তুল্য হইয় পড়ে। কিন্তু, তাহ ডোম বা বেণুকর বংশ বলিতে পারা যায় না। বাকুড়া-বিষ্ণুপুর হইতে ১২ মাইল পূর্বদক্ষিণে ময়নাপুর গ্রামে রামাই পণ্ডিতের বংশ আছে। বাকুড়ায় ধমপণ্ডিতকে পড়িত বলে, পণ্ডিত বলিলে কেহ বুঝিতে পারে না। এই অপভ্রংশ পুরাকালের সাক্ষী। ময়নাপুর বৃহৎ গ্রাম, এখানে ২২ পাড়া এবং তিনচারি হাজার লোকের বাস আছে। গ্রামের মাঝে অতি পুরাতন এক বৃহৎ পুষ্করিণী আছে। নাম হাকম্ব পোখর। বারুণীর সময় ইহার পাড়ে মেলা বসে, যাত্রীরা ইহাতে স্নানের জল পায় না, পুখর বুজিয়া গিয়াছে, কাদা জলই মাথায় দেয়। ময়নাপুরের তিন পাশে এখনও বন । উত্তয়ে ও পূর্বে মাইল খানেক দূরে এক জোড় (ক্ষুদ্র থাল) বহিয়া গিয়াছে, নাম আমূল নদী, নীচে নাম আমোদর, মাদারণ দিয়৷ গিয়াছে। ময়নাপুরের ৭৮ মাইল উত্তরে এবং আর একটু দূরে পূর্বে ভারিকেশ্বর নদী বাকিয়া বহিয়া গিয়াছে। আমি ময়নাপুর দেখি নাই, কিন্তু ময়নাপুর-বাসীর মুখে শুনিয়া মনে হইয়াছে, গ্রাম পুরাতন, আপনি বড় হয় । নাই, পূৰ্ব্বকালে কেহ বসাইয়াছিল। বোধ হয়, রামাইর পৈত্রিক বাস ময়নাপুরের পূর্বদিকে বারিকেশ্বর নদী কুলে ছিল। এই নদীর প্রাচীন নাম দ্বারকেশী। বন্ধুৰা কোথায় ছিল জানা নাই। হয়ত সেটা ७थन चाग्रंण दां श्राप्भांमब्र नाय *ाहेबांtश् । भबनाश्रफ़ হইতে রঞ্জাবতীকে সে স্থানে আসিতে হইয়াছিল। তমলুক প্রবাসী—ভাদ্র, 2లి88 [ २१* छांज, sञ थ७ হইতে ৮ মাইল পশ্চিম দক্ষিণে ময়নাগড়। এই গড়ে যাইতে হইলে কালিন্দীনদী পার হইতে হইত। সেট। মেদিনীপুরের কংসাই নদীর একটা শাখা ছিল, এখন ময়নাগড়ের কাছে কালিন্দী বুজিয়া গিয়াছে। ময়নাগড় হইতে রঞ্জাবতী তমলুক দিয়া প্রথমে রপনারায়ণ এযং উপরে দ্বারিকেশ্বর দিয়া রামাইর বাসস্থানে আসিয়াছিলেন। তখন সেটা তীর্থ হইয়া পড়িয়াছে। হরিচন্দ্র রাজা বল্লুস্কার বনভূমিতে আসিয়া পড়িয়াছিলেন ; দৈবক্রমে মনে হয় না, রামাইর ধর্মঠাকুরের প্রসিদ্ধি শুনিয়া আসিয়াছিলেন । দ্বারিক পুরী, বোধ হয়, বর্তমান দ্বারক নামের গ্রাম । কিন্তু এই নাম প্রাচীন নহে। বিষ্ণুপুরের মল্লরাজা বৈষ্ণব হইবার পর শ্ৰীকৃষ্ণের লীলা-স্থলের নামে দ্বারকা, মথুরা, বৃন্দাবন নামে নিকটে নিকটে গ্রামের নাম রাখিয়াছিলেন । রামাইর নিবাস পাইলাম, কাল কত ? রামাইর জন্ম বৃত্তান্তে আছে, বৈশাখীয় শুক্লপক্ষে জনম তাহার ॥ ११भौग्न लिथेि झिण नझब छब्रणी । ब्रविशांद्र त७tिन &थमच इहेण बांझगौ ॥ এই পদের ভাষা আধুনিক বটে, কিন্তু দিনজ্ঞাপনের রীতি প্রাচীন। বৈশাখীয় শুক্ল পঞ্চমী—এই যে চান্দ্রমাস ও দিন গণনা, এইটি প্রাচীন। সেীর মাস ও দিন গণনা— যেমন আষাঢ় মাসের ৯ দিন—কোন শকে প্রচলিত হইয়াছে, তাহ জানা নাই। এক দিনে হয় নাই, অল্পে অল্পে হইয়াছে; বোধ হয় ১৫• • শকের অধিক পূৰ্ব্বে হয় নাই। আরও দেখা যাইতেছে, উক্ত জন্মদিনের বর্ণনা গ্রহাচার্ষের লিখিত। কৃত্রিম কিনা, কে জানে। একটু খাটিলে ধরা পড়িতে পারে, এবং ৮••—৯•• শকের মধ্যে উক্ত তিথি নক্ষত্র বার পাইলে শকও ঠিক হইয়া যাইতে পারে। এ বিষয়ে যাইাদের চর্চা আছে, তাইারা দেখিতে পারেন। ঘনরামের মতে ধমের অন্থগুহীত ও বিখ্যাত ভক্ত বার জন ছিলেন। (১) ভোজ মহারাজ, (২) ধূপ দত্ত, (৩) মখুর ঘোষ, (৪) মহীমুখ ব্রাহ্মণ, (৪) কালুঘোষ, (৬) হরিচজ রাজ, (১) সদা ডোমের পুত্র, (৮) জালাই চণ্ডাল, (১) ৰিঙ্গ মহীপাল, (১) শিবদত্তবাবুই, (১১) হরিহর বাইতি, (১২) লাউসেন । ইহঁাদের প্রত্যেকের জীবনে ধমের মহিম।