পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vyc প্রবাসী –ভাদ্র, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কোম্পানী বিশেষ ক'রে প্রথম শ্রেণীর উপরে Cabine de luxe (কাবিন-দ্যে-লুকৃ ) এ কবির থাকুবার ব্যবস্থা ক'রেছেন। উর। সকলেই কবির আগমনে আননি। ত--- ব্যক্তিগতভাবে আর কোম্পানীর তরফ থেকে তার কবিকে অভ্যর্থনা করতে চান। জাহাজে উঠে, প্রথম শ্রেণীর পাঠাগারে কবি তার প্রত্যুদগমনের জন্যে আগত সহরের সন্ত্রাস্ত লোকদের সঙ্গে যাজে ব’সে আলাপ করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও হ’য়েছে । জাহাজ থেকে কোম্পানী এই অভ্যাগতদের স্বাগতের জন্য সরবৎ জার বরফের ব্যবস্থা করেছেন। চারটের সময় কবির রওনা হবার কথা স্থির ক’রে আমরা বেরিয়ে পড়লুম। মোটরচালক আসতে দেরী ক’রেছে দেখে আমাদের গৃহস্বামী স্বয়ং তার মোটরে আমাদের নিয়ে বেরুলেন--অশেব তার সৌজন্য। কিন্তু পথে তার এক আত্মীয়ের গাড়ী পাওয়ায় তিনি আমাদের তাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে কবির কাছে ফিরে যেতে পারলেন। বাড়ীতে ফিরে গিয়ে তিনি বর ক’নেকে কবির কাছে নিয়ে গিয়ে তার চরণে প্রণাম করালেন, কবি এদের আশীৰ্ব্বাদ ক’রলেন। বাড়ীর লোকের মেয়ে পুরুষে সকলে তাকে প্রণাম ক’রলে। তিনি তাদের সঙ্গে আলাপ ক’রলেন। মাদ্রাজের দক্ষিণ ভারতের শিল্প ও কারুকার্য্যের নিদর্শনের সরকারী সংগ্রহভাণ্ডারটি দেখলুম। সেখানে বিক্রীর জন্য রাখা চারটি পিতলের নোতুন আর পুরানো জিনিষ কেন গেল। স্বরেন-বাবু শাস্তিনিকেতন কলা-ভবনের জন্যও কিছু নিলেন। তারপর মিউজিয়াম দেখে আসা গেল। মিউজিয়মে বিশেষ দ্রষ্টব্য জিনিস হচ্ছে অমরাবতীর সুপের ধ্বংসাবশেষ গুটিকতক পাথরে কাটা খোদাই চিত্র, আর প্রাচীন পল্পবযুগ থেকে আরম্ভ ক’রে এখনকার কাল পর্য্যস্ত কতকগুলি প্রস্তর-মূৰ্ত্তি। এর মধ্যে দূর থেকে তোরণের ফ্রেমে যেন বঁধে একটী মামুবের আকারের চেয়ে কিছু বড় পুরাতন বিষ্ণুমুৰ্ত্তি ; এটি পল্লব আমলের হবেঅপূৰ্ব্ব বিরাট-দর্শন ! বিষ্ণুর এই মহনীয় পরিকল্পনা দেখে প্রয় ভাবে মন যেন ভরে গেল। আর দেখবার জিনিস হচ্ছে এখানকার ত্রয় আর পিতলের মূৰ্ত্তির সংগ্ৰহ। কতকগুলি অতি স্বস্বর নটরাজমূৰ্ত্তি, যেগুলির সঙ্গে ছবির মারফং আমাদের পূর্ব পরিচয় ছিল—সেগুলি দেখলুম ; আর সেইরকম অন্ত অন্য ছোট বড় অনেক মূৰ্ত্তি, আর তা ছাড়া বিস্তর অন্তান্ত পিতলের জিনিস । ছবির সংগ্রহ সামান্ত কিছু এই মিউজিয়মে আছে ; রবিবৰ্ম্মার ভাই রাজবৰ্মার আঁকা দু-একটি মালয়ালী ঘরোয়। ব্যাপারে । ছবি—সাধারণ ইউরোপীয় ঢঙে আঁকা genre বা ঘরগৃহস্থালীর ছবি হিসাবে মন্দ নয়। কিন্তু সবচেয়ে চমৎকার লাগল একথানি পুরাতন প্রাবিড়ী পট। ঠিক যেন একখানি রাজপুত যুগের আদি কালের (primitive) ছবি ! একই পটে কতকগুলি বৃন্দাবন-লীলা আঁক— শ্ৰীকৃষ্ণের বস্ত্রহরণ-লীলা প্রভৃতি। লাল জমীর উপর কী স্থির হাতে পাকা ওস্তাদের শক্তির সঙ্গে মানুষের গাছপালার আদূরার সলীল সতেজ রেখাপাত—কী চমৎকার গাছপালা আর ফুলপাত আঁকার ভঙ্গী ! সবশুদ্ধ জড়িয়ে ছবিটির মধ্যে কি একটী যে ভাবশুদ্ধ আস্তরিকতায় পূর্ণ সরল সচল মাধুর্ঘ্য ছিল তা আর কি বলবো। এই ছবির একথান আলোকচিত্র পেলে কত আনম্বই इ'उ ! মিউজিয়ম থেকে সরকারী শিল্প ও কারু বিদ্যালয়ে গেলুম, সেখানেও কতকগুলি স্বম্বর জিনিসের সমাবেশ দেখা গেল ; দক্ষিণী হাতের কাজ নিয়ে বেশ থাস আর একটা ছোট মিউজিয়ম তৈরী হ’য়েছে। কতকগুলি ছোটে। ছোটো দীপধারিণী নারীমূৰ্ত্তি বড়ো স্বম্বর ব’লে বোধ হ’ল । এই ইস্কুলের সংগ্রহশালা দেখে, এর সহকারী প্রধান কৰ্ম্মচারী রাও সাহেব এঁযুক্ত বালকৃষ্ণ মুদ্রালিয়ার মহাশয়ের मtत्र किहूक५ श्राणाश्न क':प्र, षाभद्रा खांशखभूथ। इ'नूम । জাহাজে যখন পৌছুলুম, তখন চারটে । এই ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে মাত্রজে মিউজিয়ম প্রভূতি, যা নিয়ে আমাদের কৌতুহল তা মোটামুটি দেখে নেওয়া গেল। এট} অবগু শ্ৰীযুক্ত রামস্বামী মহাশয়ের অনুগ্রহেই সম্ভৰু হ’য়েছিল।