পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ao প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহার সহিত মিলনের ক্ষণিক মুহূৰ্ত্তগুলিকে পারিজাতের মালার মত অন্তরের আভরণ করিতে চাহিবে, মনে করিবে তাহার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, অনন্ত আনন্দ-খনি সে, এ কল্পনা পূৰ্ব্বে কোনোদিন গৌরী করে নাই। মাহুষের মনে এই স্বৰ্গস্থখের কামনা যে স্বপ্ত থাকে তাহ সে জানিত না । মানুষ বন্ধুসঙ্গ চায় বটে, তাহার চেয়েও নিজের কাহাকেও খোজে বটে ; একথা সে মানিত, কিন্তু ঐশ্বৰ্য্য আম্বাস ত্যাগ করার চেয়ে এই ভ্যাগে জীবন যে এমন कथिा श्रृछ मित्रर्षक अवशेन इंडेश्व पाङ्ग, हेश क'निन আগেও তাহাকে বলিলে সে হাসিয়া উড়াইয় দিত । চঞ্চলার মুখের সলজ হাসি দেখিয়া গৌরীর আজ সবার আগে মনে পড়িল, আজ হইতে এই মানুষটা হয়ত জগতে আর এক নয়। ইহার স্থখদুঃখ, হাসিকান্ন, মানমভিমান আর কেবল মাত্র ইহার জীবনের বোঝা বাড়াইতেছে না আর একজনের আবির্ভাবে এই সমস্তই ইহার জীবনটা রসে ও আনন্দে বিচিত্র সুন্দর করিয়া তুলিবে। আর এই স্পর্শমণির অভাবেই তাহার জীবনের প্রতিদিনের সঞ্চয় কেবল নিরর্থক ভার হইয়া উঠিবে भॉण्म । গৌরীকে চুপ করিয়া দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া সঞ্জয় হাসিয়া বলিল, “এই দেখুন, একবারে ; চক্ষুস চিকিৎসাতেই আপনার রুগীকে অনেকখানি সারিয়ে তুলেছি।" গৌরী তাহদের সকল কথা না জাহক, তবু সে যে এই দেখাশুনার বিশেষ প্রয়োজন আছে বলিয়াই, বন্ধুভাবেই তাহাদের পরম্পরের কাছে আনিয়া দিয়াছিল, ইহা অনুভব করিয়াই সঞ্চয় বন্ধুর মত হাসিয়া স্বচ্ছদে এমন কথা বলিল। চঞ্চলার রোগটা যে শারীরিক নয় তাহা লুকাইবার সে কোনো চেষ্টাই করিল না। চঞ্চল। কিন্তু ইহাতে একটু অস্বস্তি অনুভব করিতেছিল। গেীরীর কাছে এমন করিয়া ধরা পড়িয়া যাইতে তাহার ভয় ছিল। সে বলিল, “সত্যি, এতক্ষণে মাথাটা একটু ছাড়ল তৰু। কমে আসবে আগেই বুঝতেপারছিলাম।” চঞ্চলার দিকে একবার হাসিয়া তাকাইয়া, “আচ্ছা, আমি।” বলিয়া সঞ্জয় গৌরীর পিছন পিছন বাহির হইয়া গেল । সিড়ি দিয়া নামিয়া যাইবার সময় কাছে আর কেহ নাই দেখিয়া সঞ্জয় গেীরীর মুখের দিকে পূর্ণদৃষ্টি তুলিয়া চাহিয়া বলিল, “আপনি আজ আমার যে উপকার কবুলেন কোনো দিন তার প্রতিদান আমি দিতে পারব না।” সঞ্জয়ের দৃষ্টি স্নিগ্ধ হইয়া আসিল । গৌরী কেন না বুঝিয়াও মুখটা নামাইয়া লইল । গৌরীর অস্তরে একট। আনন্দের শিহরণ জাগিয়া উঠিল, কিন্তু ভিতরে ভিতরে সেই থেচোটাও তাহাকে বিধিতে থাকিল । o চঞ্চলা একটু সাম্‌লাইয়া উঠিতেই বাহিরের কাজেকৰ্ম্মে পড়ায় শুনায় ও আশ্রমের কাজে আগেকার মত ঘুরিতে লাগিল। ছেলেদের পড়ানোর সময় ছাড়া সঞ্জয়ের সহিত তাহার বড় দেখা হইত না। যতটুকু বা দেখা হইত তাহাও তাহারা পরস্পরকে এড়াইয়াই চলিত, কারণ সকলের কাছে তাহীদের আত্মীয়তাট। প্রকাশ হইয় পড়িবার দুই জনেরই ভয় ছিল ; কিন্তু গৌরীর সম্বন্ধে সঞ্জয় অকস্মাৎ অত্যন্ত সজাগ হইয়। উঠিল । এই মেয়েটির যে বুদ্ধি আছে, শক্তি আছে তাহা সে আগেই জানিত, নূতন আবিষ্কার করিল তাহার নিষ্ঠ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । তাহাতেই সকল কাজে গৌরীকে টান তাহার বাতিক হইয়া উঠিল। মেয়েদের সঙ্গে মিশিতে সে লজ্জ পাইত, কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনার সঙ্কোচকে সে জোর করিয়া জয় করিয়া আগাইয়া আসিতে লাগিল। হৈমবতী প্রায়ই বলিতেন, “সঞ্জয়, তুমি-দেখছি আমার আশ্রমে ভাঙচি দেবে, চঞ্চলাকে ত তোমাদের দলে আগেই টেনেছিলে, এখন গৌরীকেও সরালে । ওর আর আমার ঘরের কোনো কাজই করবে না।" প্রথমেই কথাটার অর্থ ভাল করিয়া না বুঝিয়া ভুল সন্দেহে সঞ্জয় লজ্জায় লাল হইয়া উঠিত ; কিন্তু তারপর তাহার উৎসাহ আরোই বাড়িয়া যাইত । পরে চঞ্চলার সহিত সাক্ষাৎ করানোতে যেদিন সে গৌরীর হৃদয়ের