পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳչՏN,

        • SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS

কৃষ্ণ লাবণ্যর স্কুলে পৌছিয়া দেখিল, মেয়ের মাঠে বেড়াইতেছে, লাবণ্য তাহার চিরসঙ্গী সেলাই হাতে করিয়া বেঞ্চে বসিয়া তাহদের তত্ত্বাবধান করিতেছে। কৃষ্ণাকে দেখিয়া, সে সেলাই রাপিয়া চুটিয়া আসিল । তাহার হাত ধরিয়া বলিল, “কাজট নিবিই মনে হচ্ছে । তা না হ’লে শুধু কি আর আমার টানে, এত সাত তাড়াতাড়ি ছুটে এসেছিস্ ?” কৃষ্ণ তাহার পিঠে এক কিল মারিয়া বলিল, “তুই ভারি মিথ্যাবাদী। কবে আমি তোর সঙ্গে দেখা করতে আসতে এক বছর দেরি করেছি শুনি ?” লাবণ্য বলিল, “ত। অবশ্ব করিসন। তাই ব’লে যেদিন আসি, সেই দিনই কিছু তোর দেখা পাই না। আচ্ছা, ঝগড়া থাকু এখন । এই খানেই বসা যাক, আমার এখন ঘরে ঢোকবার জো নেই। তারপর, তুই কি ঠিক করুলি বল ?” কৃষ্ণ বলিল, “আমি ত যাবই ভাব ছি. দুশো টাকা, আর পঞ্চাশ টাকায় ঢের তফাৎ। তবে অবশ্য মানুষগুলিকে না দেখে কিছু বলতে পারি না। হাজার হোক, মেয়ে মানুষ ত ? তার উপর আবার বাঙালীর মেয়ে। প্ৰাণে ভয়-ডর আছে ত ?” লাবণ্য বলিল,“আমার ত বিশ্বাস তোর ভালই লাগবে। আমি যেটুকু দেখলাম, তাতে আমার কিছু মন্দ লাগেনি। গিরিটি একটু হাব-গোবা ধরণের, তবে মনটা ভাল। মাঝে মাঝে অদ্ভূত কথা ছুচারটা বলবেন, সেগুলো তোকে সয়ে যেতে হবে। বেী ছটি বেশ,বুদ্ধি শুদ্ধি আছে, মিশুক প্রকৃতির, তোর ভালই লাগবে। খোঁজখবর নিয়ে যতদূর জানলাম, ওরা মানুষ ভালই। রেজুনে আমার এক কাকা থাকেন, * তার কাছেও চিঠি লিখেছি খোজ নেবার জন্তে । ওরা আর দশ-পনেরো দিন পরেই কলকাতা আসবে, এখানে মাস খানেক থেকে, তারপর রওনা হবে।” কৃষ্ণ' বলিল, “তবে সে ক'দিন অপেক্ষ ক’রেই দেখি । এখনি কাজে নোটি দেবনা । শেষে একূল ওকুল হুকুল যাবে ?” লাবণ্য বলিল, “নোটস্ দেবার ঢের সময় পাবি ; ওরা কলকাতায় একমাস থাকবে ত ? সেই এক মাসের নোটিস্ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড SS S SSASAS SSAS SSASASAMSJJSAAAAAS AAAASSAAAASSSS S S ***y ー、*、*x_・ ، ، ،... یہ ، ہ ، ، ، ، ،. یہ-- یہی ، مہ لا؟ , ... দিলেই চলবে। আমি বলি, তুই কাজ নে। তোর স্বভাবে পঞ্চাশটাকার কাজকরা বেশীদিন সইবে না । এর থেকে বেশ বড় সুবিধা তোর হতে পারে ।” কৃষ্ণ বলিল, “দেখাই যাক। আচ্ছ, ওদের সব কেমন দেখে এলি ? লীলা, বেলা কেমন আছে ? খোকাটা আরো দুষ্ট হয়েছে নাকি ?” দুই সখীতে তখন ঘরোয়া গল্প আরম্ভ হইয় গেল । মেয়ের দল তাহাদের সামনে দিয়! ক্রমাগত যাওয়া আস। করিতেছিল। কৃঞ্চার রূপ সম্বন্ধে যে খুব গভীর আলোচনা চলিতেছে, তাহ। ইহার বসিয়া বসিয়া টের পাইতেছিল। লাবণ্য হাসিয়া বলিল, “দেখ, মেয়েমানুষেরই মুণ্ড ঘুরে যায় তোর চেহারা দেখে, ছেলের পালের মধ্যে পড়লে, তাদের যে কি দশা হয়, তাই ভাবছি।” কৃষ্ণ বলিল, “অকারণ ভাবনা খরচ করে কি করুবি, আমি ত আর কোনো ছেলের কলেজে কাজ নিচ্ছিন ?” এমন সময় ঢং ঢং করিয়া একটা ঘণ্ট। বাজিয়া উঠিল । মেয়ের দল আস্তে আস্তে বোর্ডিংএর দিকে চলিল। লাবণ্য বলিল, “খেয়ে যা না এপানেই ? তোকে যে অপূৰ্ব্ব খানা খেতে হয় ! একটু মুখ বদল করে ষা।” কৃষ্ণ বলিল, “ত লোভ হচ্ছে বটে। আমাদের মেট্রনটির বাংলা রান্ন সম্বন্ধে যা জ্ঞান, দেখলে তোর পেটে ব্যথা ধ’রে যাবে, হাস্তে হাস্তে । আমিও তার চেয়ে বেশী জানি। কাল মুক্ত রাধতে বলেছিলাম, তাতে একরাশ লঙ্কাৰ্বাট দিয়ে এমন এক সুখাদ্য তিনি তৈরী করিয়ে । দিলেন, যে, আমার ত চক্ষুস্থির ” লাবণ্য বলিল, “আমাদের সে সুখটা আছে ভাই । মাইনে কম পেলেও, আরাম ক’রে খেতে পাই । মাসীম। এখন অবস্থায় পড়ে বোডিংএ মেট্রন-গিরি করতে এসেছেন, কিন্তু আগে খুব গোড় হিন্দু ঘরের বেী ছিলেন। শক্ত শাশুড়ীর হাতে পাড়ে রান্না বান্না খুব ভালই শিখেছেন। সামান্ত শাক পাতা দিয়ে যা রাধেন, তাই যেন অমৃত মনে হয় ।” দুই বন্ধু উঠিয়া লাবণ্যর ঘরে চলিল। অতিথি আসিয়াছে বলিয়া লাবণ্য আজ আর খাবার ঘরে থাইতে গেলনা, দুইটি মেয়েকে ডাকিয় তাহার ঘরেই দুজনের খাবার দিয়া যাইতে