পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ময়ূর-সিংহাসন レ〜oぐ এবং চতুর্দশ লক্ষ টাকার মূল্যের বিশুদ্ধ স্বর্ণ বাদশাহের কাছে আনা হয়। হামিদ এই স্বর্ণখণ্ডের পরিমাণ দৈর্ঘ্যে ৩% গজ এবং প্রস্থে ২ গজ অনুমান করিয়াছেন । ময়ূর-সিংহাসন কার্য্যের তত্ত্বাবধায়ক বেবদল খার একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস শাহনওয়াজ খাঁ লিপিয়া গিয়াছেন। (১০) বেবদলের পুরা নাম ছিল, বে বদল খাঁ সায়িদা গিলানি । তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনাম কবি । জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে তিনি ভারতবর্ষে আসিয়া রাজদরবারে প্রথম প্রবেশ লাভ করেন। পরে শাহজাহান তাহার কাজে সন্তু হইয় তাহাকে বেবদল খাঁ খেতাব দেন ও পরে স্বর্ণকার বিভাগের কর্তৃত্বপদে অভিষিক্ত করেন । , সিংহাসনটির নিম্নলিখিত বিবরণ পারসিক সরকারী কাগজ-পত্র তক্টতে পাওয়া গিয়াছে । সিংহাসনে ব্যবহৃত বহুবিধ হীরকগুলির মধ্যে যে-কোনটি সমগ্র পৃথিবীকে আলোকিত করিতে পারিত। তাই কবি বলিতেছেন, “বে অনওয়া জোয়াছির গপ্ত অঙ্গওয়া চেরাগে আলমে ত্বর দানয়ে আঁ৷ ” স্বরূপ রমণীকুলের ঈর্ষ উৎপন্নকারী, সিংহাসনে জড়িত চুণি বা মোহিতকগুলির মূল্য নির্ণয়ের বর্হিভূত ছিল। কবির ভাষায়, “যে ইয়াকুতশ কে দর কল্পদে ২ঙ্কানিস্ত লবে লাগে বুর্ত র দিল বঙ্গ নিস্ত ।” সিংহাসনটির ছাতের ভিতর দিকে কলাই করা এবং সোনা ও হীরা দিয়া মোড় ; বাহিরের দিকে চুণি ও নীলকান্তমণির জড়োয় কাজ ; পান্না-বিজড়িত দ্বাদশটি স্তম্ভের উপর ছাতটি স্থাপিত । ছাতের দুই পাশ্বে হীরকনিৰ্ম্মিত দুইটি ময়ুর ; তাহাদের মাঝখানে মণি, হীর, চুণি ও পান্না রচিত একটি বৃক্ষ । সিংহাসনে আরোহণের জন্য অত্যুজ্জল-হীরক-শোভিত তিনটি সোপান। হেগান দিয়া বসিবার জন্ত একাদশটি বহুমূল্য প্রস্তর-খচিত ফলক ; তন্মধ্যে মাঝেরটির মূল্য প্রায় দশলক্ষ টাকা। পারস্তের নৃপতি শাহ আব্বাস সফ ভি, এক লক্ষ টাকার যে পদ্মরাগ (, .) Carr Stephen state Archaelogy of Delhi ( † ২৩১) নামক পুস্তম্ভখারিতে অগ্নি দ বুর্ডেকে ময়ুর-সিংহাসন নিৰ্মাণकांt६jग्न उहाँदश्वग्निक बलिग्नां चोपैग्नि कब्रिम्नांtइन ! భి శి-• & মণিটি উপটৌকন স্বরূপ জাহাঙ্গীরকে প্রেরণ করেন, তাহ ঐ মাঝের ফলকটিতে সন্নিবিষ্ট ছিল। ঐ মণিটির উপরে আমির তৈমুর, মিরজ শাহরুখ, মিরজা উলুগবেগ প্রভৃতি পূৰ্ব্ব পুরুষগণের নাম খোদিত ছিল। অবশেষে জাহাঙ্গীর ইহার উপর নিজের ও তাহার পিতা আকবরের নাম খোদাই করান । মীর মহম্মদ মাসুম বেশ একটি সম্পূর্ণ নূতন ও একান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যের খবর দিয়াছেন ( ১১ ) এবং অন্য কোন সমসাময়িক ঐতিহাসিক ইতার উল্লেখ করেন নাই । সিংহাসনটির প্রত্যেক অংশ থোলা যাইত এবং ঐ অংশগুলি রাজভাণ্ডারে রক্ষিত থাকিত। বিশেষ বিশেষ দিনে, বাদসাহের এই সিংহাসনে উপবেশন সময়ে, ইহার বিভিন্ন খণ্ডগুলিকে জোড়া দেওয়া হইত। মাসুম একটি বড়ই । হৃদয়স্পর্শী কাহিনীর অবতারণা করিয়াছেন। বৃদ্ধ শাহজাহান যখন আগ্রাদুর্গে বন্দী ছিলেন, তখন মহম্মদ সুলতান ঠাঙ্গর পিতামতের নিকট হইতে ময়ুর-সিংহাসনটি আনয়ন করিবার জন্য তাঙ্গার পিতা অওরঙ্গজেব কর্তৃক আর্দিষ্ট হন। কিন্তু সিংহাসন প্রদানে অনিচ্ছুক ও অসহায় সাহজাহান তাহার বড় সাধের সিংহাসনটি হস্তান্তরিত করিবার পূৰ্ব্বে একবার ইহ স্বচক্ষে দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং মহম্মদকে বিভিন্ন খণ্ডগুলি নিজের সম্মুখে একবার অনিতে আদেশ দেন । মহম্মদ পিতামহের আদেশকুযায়ী কার্য্য করিলে, শাহজাহান সিংহাসনের দুইটি খণ্ডাংশ লষ্টয় অন্তঃপুরে চলিয়া ঘাম। পৌত্রের কাতর অনুরোধ সত্ত্বেও আপাততঃ সেগুলি প্রত্যপণ করেন নাই । কিন্তু ইহার কিছুদিন পরে বন্দী বাসশাহকে অংশ দুইটি ফিরাইয়া দিতে বাধ্য করা হইরাছিল । নিজ রাজত্বের অষ্টম বর্ষের ১০৪৪ হিজরীর (১৬৩৪ খৃঃ) শওওয়ালের তৃতীয় দিবসে একটি আনন্দ-কোলাহল-মুখরিত নওরোজের দিনে, এই অতুলনীয় সিংহাসনে শাহজাহান প্রথম আরোহণ করেন । সিংহাসনটির উপরে হাজী মহম্মদ ۔۔۔یہاہتا۔--ع--. ۔ تسمساس۔ (xx) “wifas."(to gets” of: aws ; J. N. Sarkar, C. I. E-Nadir Shah in India. P. 75. Patna University Readership Lectures, 1922. '