পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষ্ঠ৬ সংখ্যা ] সাহিত্য ও ইতিহাস হইতে জানা যায় খৃষ্টাব্দ ཅia:ཝི་ শতাব্দীতে মমাত্রায় ‘পালেম্বাঙ’ নামে এক হিন্দ রাজা প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল । ফরাসী পণ্ডিত মসিয়ে সেদেশ (Coedes) প্রমাণ করিয়াছেন, এই পালেঙবাঙ ও চীনা সাহিত্যের সন্‌-ফট-সি অর্থাৎ ঐবিজয় একই জিনিস । তাহারই গবেষণার ফলে আজ ভারতমহাসাগরের দক্ষিণ পূৰ্ব্বে বৃহত্তর ভারতের এক অপূৰ্ব্ব তথ্য আবিষ্কৃত হইয়াছে এবং আমরা জানিতে পারিয়াছি যে, মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও মধ্য-জাভা ও সুমাত্রা জুড়িয়৷ এই ঐবিজয় রাজ্যের শৈলেন্দ্র-বংশীয় রাজার৷ এক বিস্তৃত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । এই শৈলেন্দ্রবংশের কোনো রাজা খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীতে তদানীন্তন চোলসম্রাটের অনুমতি লইয়। বর্তমান মান্দ্রাজের সন্নিকটে নেগাপট্টমে একটি বৌদ্ধ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। নালন্দায় আবিষ্কৃত দেবপালের এক তাম্রশাসনেও দেখিতে পাই, শৈলেন্দ্রবংশীয় রাজ। পরম স্থগত বালপুত্রদেবের ইচ্ছায় নাশন্দায় একটি বিতার নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এবং পালসম্রাট দেবপাল এই বিহারের পালনোদেখে পাচখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন। মনে হয় ইৎসিঙের পর খৃষ্টায় সপ্তম শতাব্দী হইতেই সুমাত্র মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্মের এক বিরাট কেন্দ্র হইয়। উঠিয়াছিল । মধ্য-জাভাতেও এই শৈলেন্দ্রবংশীয় রাজাদের শিলালিপি পাওয়৷ গিয়াছে। ৭০০ শকের ( ৭৭৮ খৃষ্টাব্দের ) একটি শিলালিপিতে দেখা যায়, মধ্য-জাভার কালাসনে’র তারামন্দিরটি কোনো শৈলেন্দ্র সম্রাটের আদেশে তাহারই বিজয়-রাজ্যের মধ্যে নিৰ্ম্মিত ও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। খুব সম্ভব শৈলেন্দ্রাধিকৃত এই মধ্য-জাভা কোনো রাষ্ট্ৰীয়শক্তি দ্বারা শাসিত হইত। ঐতিহাসিকের কাছে এ তথ্য খুবই মুল্যবান যে, এই শিলালিপি উত্তর ভারতের ব্রাহ্মী অক্ষরে লেখা, দক্ষিণ ভারতের পল্লবাক্ষরে নয়। এই শৈলেন্দ্র-বংশের শ্ৰীবৃদ্ধির যুগেই কম্বোজেও মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্ম ও উত্তর ভারতের ব্রাহ্মী অক্ষর প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল। উত্তর ভারতের এই ব্রাহ্মীলিপি অনেকটা বঙ্গাক্ষর লিপির অনুরূপ—দেবনাগরীর সঙ্গে তাহার সাদৃশু খুব কম। তাছাড়া এই সময়কার জাভা, কম্বোজ, সুমাত্রার যবদ্বীপে ভারতীয় উপনিবেশ セ・>(。 JJJSJSJASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS মহাযান বৌদ্ধধৰ্ম্মের মধ্যে শৈব ও তান্ত্রিক হিন্দুধৰ্ম্মের, অদ্ভুত সংমিশ্রণ দেখিতে পাই । ইহা হইতেই অনুমান হয়, খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পর হইতেই এইদিকে দক্ষিণ ভারতের প্রভাব কমিয়া আসিতেছিল এবং তাহার ধৰ্ম্ম ও শিল্প ক্রমেই বঙ্গ ও মগধের পালরাজবংশের সাধন ও সভ্যতা দ্বারা প্রভাবান্বিত হইয়া পড়িতেছিল। এই শৈলেন্দ্রাধিপত্যই মধ্য-জাভার স্বর্ণযুগ। এই যুগেই বরবুদরের বিরাট বৌদ্ধমন্দির গড়িয়া উঠিয়াছিল। চণ্ডি মেণ্ডটে (জাভার অধিবাসীরা মন্দিরকে চওঁ বলে ) যে-অবলোকিতেশ্বরের মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে তাহা গঠনভঙ্গীতে ভাবরূপে সুষম ও সৌন্দর্য্যে গুপ্তযুগের যে-কোনো শ্রেষ্ঠ ভাস্কৰ্য-নির্শনের সম্মুখে সগৰ্ব্বে দাড়াইতে পারে। সংস্কৃত-সাহিত্যানুরাগী কোনো শৈলেন্দ্ররাজ “কবি”-ভাষায় (জাভার প্রাচীন ভাষা ) একটি সংস্কৃত পুথির তালিকাও প্রস্তুত করিয়াছিলেন । জাভায় এই শৈলেন্দ্রাধিপত্য প্রায় খৃষ্টায় দশম শতাব্দী পর্যন্ত স্থায়ী হইয়াছিল। শৈলেন্স-প্রভুত্ব দ্বারা তাড়িত হইয়া যে-শৈবরাজার পূর্ব জাভায় আসিয়া নূতন রাজ্য স্থাপন করিয়াছিলেন তাহারাই এই সময় মঞ্চজাভার শৈলেন্দ্র প্রতিনিধিদের হাত হইতে জাভার একাধিপত্য কাড়িয়া লইলেন। কিন্তু বরবুদরের সময় হইতেই মধ্য-জাভায় যে স্থাপত্য-কীৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠার স্বচনা হইয়াছিল তাহ। এই শৈবাধিপত্যে হিন্দু-ধৰ্ম্মের পুনরাবির্ভাব-সময়েও বিপুল উৎসাহে অনুস্থত হইতে লাগিল। ‘প্রস্থানামের মন্দিরশ্রেণী ও তাহার প্রাচীরগাত্রে রামায়ণের যে বিচিত্র কাব্যগাথা চিরকালের অক্ষরে থোদিত হইয়া আছে তাহ। এই যুগেই নিৰ্ম্মিত ও রূপায়িত হইয়াছিল। কিন্তু ইহার কিছুকাল পরেই, যে-কারণেই হউক, মধ্য-জাভার অপূৰ্ব্ব ঐ ও সমৃদ্ধির যুগের অবসান হয় । এই সময় হইতে পূৰ্ব্ব জাভ ঐতিহাসিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া বসে এবং সেখানে ম্পূসিন্দকু নামক জনৈক রাজার অধীনে এক প্রবল রাজ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সিন্দকের প্রপৌত্রী মহেন্দ্রদত্তা’র বিবাহ হইয়াছিল বালিম্বীপের “রাষ্ট্ৰীক’ ( প্রাদেশিক শাসনকর্তা ) উদয়নের সঙ্গে। এই বালিবীপ ইতিমধ্যেই পূৰ্ব্ব জাভার