পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

レペ8

‘গোল ধর’ এখেলবার্ট হোয়াইট কর্তৃক খোদিত এই সাত প্রণালীর কোনোটিতেই কোনো আদর্শকে অনুসরণ করিয়া তাহার যথার্থ প্রতিলিপি গড়িয়া তোলা হয় না। খোদাইকার বা শিল্পীর মন—রেমব্রান্ট, ও ডুর্যেরের মত শিল্পীর বিরাট চিন্তাশক্তি—এইসকল প্রণালীর অন্তরালে কাজ করিতে থাকে। ঠাহীদের অন্তলেশকে প্রতিফলিত দৃশ্যই তাহার। স্তন্ম শিল্পানুভূতির সাহায্যে উপকরণের উপর অঙ্কিত করিয় দেন। শিল্পীর শিল্পচিস্তাকে রূপে ফুটাইয়া তুলিবার বে, অন্তনিহিত ক্ষমতা উপকরণের আঢ়ে, তাত এবং শিল্পীর আপন স্বাতন্ত্র্য এই দুই মিলিয়। সকল খোদিত-চিত্রকে (এনগ্রেভিং ) এমন একটি শিল্পসুষমা প্রদান করে যাহা সাধারণ যন্ত্র-নিৰ্ম্মিত প্রসেস ছাপে পরিলক্ষিত হয় না । জাইলোগ্রাফী বা কাঠ-খোদাইয়ের বিশেষত্ব বুঝিতে হইলে আমাদিগকে কাঠখোদাই-শিল্পের আঙ্গিক ও বা টেক্‌নিকের আলোচনা করিতে হইবে। শিল্পী তাহার প্রয়োজন-মাফিক আয়তনের ও নরম বা শক্ত একপও কাঠফলক লইয়া তাহার উপরে ছাঁচ বা পেন্সিল দিয় তাহার কল্পিত ছবির একটি খসড় প্রস্তুত করিয়৷ লন। সেই খসড়াটির উপর ইহার পর ছুর বা বুরিন ( খোদাইয়ের যন্ত্রবিশেষ ) চালাইয়া খোদাই করা হয় । যে যে

  • খ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথঠাকুর মহাশয়ের প্রয়োগ।

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড অংশ কাটিয়া ফেলা হয় ছাপ লওয়ার সময় সেগুলি সাদা দেখায় ; আকৰ্ত্তিত অংশ কালো চিহ্নিত হইতেই বুঝা যায় যে, কাঠখোদাই পদ্ধতির গোড়ার কথা এই সাদা রেখা । ट्ध्न ! ट्रेझ; এক নম্বর চিত্রে যে ছাপের প্রতিকৃতি দেখান হইয়াছে তাহ। কেবলমাত্র এই সাদা ও কালে রেখায় চিত্ৰিত । সাধারণ হস্তাঙ্কিত চিত্র ঠিক উহার উণ্ট, তাহাতে সাদা পটভূমির উপর মানুষের বাহাবয়ব কালে রেখা দ্বার। চিহ্নিত হয়। কিন্তু এই ধরণের চিত্রে, শিল্পীর যাহা আসল উদ্দেপ্ত--অর্থাৎ দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার যে-৮ে৪ তাত কতকটা ব্যর্থ হয়, অধিকন্তু, ছবির বর্ণোৰ্জ্জলতা বা চটক সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। কাঠ-খোদাই শিল্পে শুষ্ঠ কালে পটভূমির উপর সাদা রেখার সাহায্যেই শিল্পী বিশেষ বিশেষ বস্তু বা বিষয়ের প্রতিকৃতি ফুটাইয়া তুলিতে সক্ষম হয় ; হস্তাঙ্কিত চিত্রে যেমন কালে রেথ বস্তুর অস্তিত্ব জ্ঞাপন করে, কাঠখোদাইয়ে তেমনি সাদা রেখা বস্তুর অস্তিত্বজ্ঞাপক । সাদারেখার সাহায্যে চিত্রকে পরিস্ফুট করিয়৷ তুলিবার সুবিধা এই যে, ইহার বহুল প্রয়োগ প্রয়োজন হয় না, তাছাড়া, শিল্পীর অন্ত কিছু কৌশলের সাহায্যও লইতে হয় না ; কালোর উপর সাদার সমাবেশে সহজেই সমগ্র জিনিষটি মুম্পষ্ট করিয়৷ তোলা সহজ হয় । কাঠ-খোদাই ছাপে আমরা যখনই এই শিল্পের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের-—অর্থাৎ সাদ, রেখার যথাযথ প্রয়োগের অভাব দেখি তখনই বুঝতে পারি শিল্পী অম্ভ কোনো শিল্পকে আদর্শ করিতে গিয়া ভুল করিয়াছেন। এই ধরণের ভ্ৰমাত্মক কাঠখোদাইয়ের দৃষ্টান্ত-স্বরূপ—মিঃ রিকেট্রন্থ খোদিত “হিমনেরেটে মেকিয় পলিফিলি” ( ১৪৯৯ খৃষ্টাব্দ ) বিষয়ক ছাপগুলির উল্লেখ করা যাইতে পারে । এইসকল ছাপ হস্তাঙ্কিত পেন্সিল ড্রইংয়ের হুবহু অমুকরণ মাত্র। এই সাদা রেখার কাজে পারদর্শিতা লাভ করিয়া কাঠখোদাই শিল্পী ক্রমে ক্রমে কালোর উপর সাদা জমি (spaces), কালে রেখা, কালে জমি, কালো ও সাদার