পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عربی به معنی چیهی bులు

  • بی ۔ م مہ حی ، 3ی sمعبہ وہ جمع sیہ ہی حاپحم۔

বাড়ীর বাহিরের গেল । ক্ষান্তবর্ষণ শ্রাবণ-দিবসের রক্তসন্ধ্যা সমস্ত আকাশকে আরক্ত করিয়া তুলিয়াছিল। সঙ্গী চৌকীদার দুজনের কাধে হাত রাথিয়া টলিতে টলিতে গিরিবালা আসিয়া দাড়াইল । ব্যর্থ অশ্রুপাতের চিহ্ন তখনও তাহার কপোলে শুখায় নাই, জাগরণরক্তিম নিম্প্রভ চক্ষুদুটি তখনও সন্ধার রক্তীপ্তিতে জলিয়া জলি উঠতেছিল। চারিপাশের চিরপরিচিত মূৰ্ত্তিগুলি গিরিবালা একবার দেখিয়া লইল, কিন্তু সেকালের মত্ত আজ আর মাথায় ঘোমটা টানিয়া দিল না । ক্ষণিকের জন্ত গ্রামের লোকের মনে হইল এ যেন সে গিরিবালা নহে। এইসময় জনতার পিছন হইতে ছুটিয়া আসিয়া উন্মাদের মত কন্যার বুকে বাপাইয়া পড়িয়া মানদা চীৎকার করিয়া উঠিল, “তোর এ দশা কে করেছে, গিরি!” উদ্ভান্ত দৃষ্টিতে নিমেয-কালের জন্য মায়ের মুখের দিকে চাহিয়া গিরিবালা অঙ্গুলি তুলিয়া আকাশের দিকে দেখাইয় দিল, কথা কহিল না। ফজল মিঞার হুকুমে আসামী আমীর শেখ হাজির হইল। ফজল মিঞাকে পায়ের নাগরা খুলিতে দেখিয়াই আমীর শেখ দুই হাত জুড়িয় কহিয়া উঠিল, “হুজুর ও আমার ‘নেকার বিবি ।” সহসা এই কথা শুনিয়া গিরিবালা শিহরিয়া উঠিল এবং সমস্ত দেহভার ফজল মিঞার পদতলে নিক্ষেপ করিয়া অঙ্কুটস্বরে কি কহিল তাহ বোঝা গেল না। তাহার মাথায় হাত দিয়া সংক্ষিপ্ত একটি আশ্বাসবাণী উচ্চারণকরিয়া ফজল মিঞা আমীর শেখকে থানায় লইয়া যাইতে হুকুম দিলেন। থান বহুদূর, কাজেই সে-রাত্রি ফজল মিঞার জিন্মায় গিরিবালাকে রাখিয়া মেম্বারের হাট করিতে চলিয়া গেলেন । গভীর রাত্রে ফজল মিঞার গরুর গাড়ীর গাড়োয়ান ASAAAAS SASAAAAASA SAASAASAASAASAAAS -- আদিনাকেয়ী দর্শকের डिड़ জমি কাদের শুনিতে পাইল কে যেন তাহার মনিবের বাহিরের - কোঠাঘরে মিনতির স্বরে কহিতেছে, “আপনার পায়ে পড়ি হুজুর, আপনি আমার ধৰ্ম্মবাপ”। তাহার পরই মেঘগর্জনের সাথে সাথে শ্রাবণ-রাত্রির ধারা নামিয়া আসিল, আর-কিছু শোনা গেল না। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ AMMMJAAASAAAA AAAAMAMMAJAMAASAMA AJJMeMSAMJAMMMAMAAAS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড 8. ইহার পর থানা। অভিযোগ দণ্ডবিধি আইনের অনেকগুলি ধারা খেসিয়া গিয়াছে ; মামলা সঙ্গীন। আসামীর একরার চাইতে হইবে। কাজেই গিরিবালাকেও একরাত্রি থানায় অপেক্ষা করিতে হইল। পরদিন প্রভাতে যখন চৌকীদারের সাথে সে গরুর গাড়ীতে গিয়া উঠিল তখন থানার বারান্দায় চেয়ারে উপবিষ্ট দারোগ সাহেব এবং তাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান শৃঙ্খলিত আমীর শেখ এই উভয়ের মধ্যে গিরিবালা কোনও প্রভেদ দেখিতে পাইল না। ইহার পর সাহেব ডাক্তার লেভী ডাক্তার পুলিশের বড় কর্তা উকীল মোক্তার কয়েকদিন ধরিয়া তাহাকে কত কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, স্বপ্নাবিষ্ট্রের মত গিরিবালা তাহার উত্তর দিয়া গেল। কি বলিল, তাহাও মনে রহিল ন । কিন্তু কাঠগড়ায় দাড়াইয়া আসামী আমীর শেখ ও তাহার ছয়টি সহচরকে দেখাইয়া আপনার জীবনের কলঙ্কের প্রত্যেকটি কাহিনী সে অতি স্পষ্ট ভাষায় কহিয়া গেল, বলিতে কোথাও বাধিল না। গ্রাম হইতে যে দুই একজন ভদ্রসস্তান মানদাকে সঙ্গে লইয়া মামলা উপলক্ষে সহরে আসিয়াছিলেন র্তাহারা নিতাই মাঝির কন্যার এই নিল্পজ্জতায় স্তম্ভিত হইয় গেলেন । বিচার সমাপ্ত হইয়া গিয়াছে। আদালতের বটতলায় মানদার গরুর গাড়ী গ্রামে ফিরিবার উদ্যোগ করিতেছিল। গিরিধালা ছুটিয়া আসিয়া দুই হাতে চলন্ত গাড়ীর চাকা ধরিয়া কাদিয়া কহিল, “আমাকে ফেলে যাস্নি, মা ! নিয়ে চল!” ইহার উত্তরে গাড়ীর মধ্যে একজন হাউহাউ করিয়া কাদিয়া উঠিল, তাহাকে ধমক্‌ দিয়া হারু ঘোষাল গাড়ীর পর্দা তুলিয়া দাত থি'চাইয়া কহিলেন, “তা বটেইতো! বুড়ী তোমাকে নিয়ে এখন পরকাল খোয়াক্ !” গরুর গাড়ীর চাকা হইতে গিরিবালার শিথিল মুষ্টি খুলিয়া পড়িল, গাড়ী চলিয়া গেল। লোকের মুখে এই পর্যন্তই শুনিয়াছিলাম, ইহার পর বিচিত্র পুথির বিবিধ তথ্যের নীচে পুরাতন কাহিনীট একেবারেই চাপা পড়িয়া গিয়াছিল।