পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা]

  • ダ・ヘへマ・**** -**へ* ** ***ベいダ・*・ -**よ* メー、ヘょ、ニ

“Madrasi swine ! "Ritstri tööl f” pr çsitzমালের উপরেই শোনা যাইতে লাগিল ৷ ফটাফ কয়েকটা চড়ের শব্দও শোনা গেল, প্রভ যদিও বুঝিল না কে কাহাকে ঠ্যাঙাইতেছে। তবে মেম উপস্থিত থাকিতে মীরা এবং গাল দেওয়ার কাজে আর কেহই অগ্রসর হইবে না, এটা সে ধরিয়াই লইল । খানিকক্ষণ পরে উগ্রচগু। হাপাইতে হাপাইতে উপরে উঠিয়া আসিলেন, তাহার কালো মুখ একেবারে লাল হইয়া উঠিয়াছে। প্রভার আয়াও এক রকম তাহার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরিল। প্রভ জিজ্ঞাসা করিল, “নীচের তলায় অত গাল:গালি মারামারি করছিল কারা ?” আয় বলিল, যে, মান্দ্রাজী পুরুধটা খুব একচোট মদ খাইয়! ফিরিয়৷ আসিয়াছে । সে এমন বিকলাঙ্গ সন্তান প্রসব করার জষ্ঠ্য স্ত্রীকে গালি দিতেছিল এবং মারিতে যাইতেছিল । তাহার মেয়ে কাড়িয়া লইয়। নদীতে ফেলিয়া দিবে বলিয়া ভয় দেখাইতেছিল। আয় এবং ঐ ঘরের মুসলমান স্ত্রীলোক দুইজন তাহাকে গালি দিতেছিল, মাত্রার্জীর বড় মেয়ে এবং স্ত্রী কান্না জুড়িয়াছিল । এমন সময় মেমসাহেব গিয়! রঙ্গমঞ্চে হাজির হন। ব্যাপার শুনিয়। তিনি মাত্রাঙ্গীটাকে খুব কুৎসিৎ ভাবে গালি দেন। সে মাতাল হইয়। ভয়ডর ভুলিয়া গিয়াছিল, সেও তাহাকে একট, অতি বিশ্ৰী গাল দেয় । ইহাতে তিনি তাহাকে আচ্ছা করিয়া চড় মারিয়া এবং পায়ের জুতা খুলিয়া পৃষ্ঠে তাহার বাড়ি এক ঘা দিয়া উপরে চলিয়া আদিয়াছেন । প্রভ। বলিল, “বেশ হয়েছে । অমন মামুষের কাছে মেমসাহেবের মত মামুষেরই যাওয়া ভাল। মেয়েমানুষটা কেমন আছে ?” আয় বলিল যে, প্রস্থতি সম্প্রতি ভালই আছে। কিন্তু মেয়ের কোনে কাপড়-চোপড় নাই, স্ত্রীলোকটিও শুধু মাদুর পাতিয়া পড়িয় আছে। তাহার স্বামীও মেমের মার থাইয়া পলায়ন করিয়াছে, আবার কখন এ মুথে হইবে তাহ বলা কঠিন। আম্মার কাছে যদি বেবীর ছেঁড়া জামাটাম থাকে তাহ হইলে তিনি যেন কয়েকটা ঐ গরীবের বাচ্চাদের জন্ত দেন । উগ্ৰচণ্ড Ե(t:) SAAAAAA SAAAAA ASAS A SAS A SAS SJJJJS AJAJJASJJMSMAMMMAAA AAASS প্রভ। জামা খুজিবার উদ্দেশ্বে ঘরে ঢুকিতে যাইতেছে, এমন সময় দেখা গেল মেমসাহেব আবার পিছনের সিড়ি দিয়া নীচে নামিতেছেন। র্তাহার হাতে একটা মোটা বিলাতী কম্বল এবং ভারি একটা সুট কেস। আয়া কৌতূহল সম্বরণ করিতে না পারিয়া তাড়াতাড়ি নীচে নামিয়া গেল। প্রভার কাজ ছিল, সে ঘরের ভিতর চলিয়া গেল । 略 কয়েক মিনিট পরেই আয় একেবারে উঠিতে পড়িতে ঘরের ভিতর আদিয়া ঢুকিল। মেমসাহেব নাকি একেবারে সবাইকে তা লাগাইয়া দিয়াছেন । মান্দ্রাজী স্ত্রীলোকটাকে একখান। কম্বল দিয়াছেন, তাহার দাম কম হইলেও কুড়ি পচিশ টাকা। আর ঐ বাচ্চাটাকে এক বাক্স ভৰ্ত্তি জাম, টুপি, মোজা, কত কি দিয়া আসিয়াছেন । সেগুলি অতি সুন্দর দেখিতে, কতক রেশমের, কতক স্বতী এবং গরম কাপড়ের, সব মেমের নিজের হাতের শেলাই, তাহাতে তিনি কতরকম ফুল, লতা পাতার নক্সা উঠাইয়াছেন। ঐ রকম শিশুর অঙ্গে এ সব পোষাক একেবারেই মানাইবে না, এই ধ। দুঃখ ! প্রভ। অবাক হইয়া বলিস, "ওম, চার আনা পয়সার জন্তে যে মানুষের মাথায় টিন ছুড়ে মারে, তার হঠাৎ এমন মতি হ’ল যে ? আমি ওটার সঙ্গে কথা বলি না তা না হ’লে জিগৃগেষ কর্তাম।” আয় বলিল, কোনো ভাবনা নাই, সে মেমসাহেব বাহিরে গেলেই তাহার ছোট বোনের কাছ হইতে সব খবর জোগাড় করিয়া আনিবে । সৌভাগ্যক্রমে সে সুযোগ শীঘ্রই মিলিয়া গেল। থাওয়াদাওয়া সারিয়া অন্ত দিনের আগেই মেমসাহেব বাক্স লইয়া বাজার করিতে চলিয়া গেলেন । তাহার বোন বারান্দায় দাড়াইয়া বোনের যাত্রা দেখিতে লাগিল । আয়া তৎক্ষণাৎ হাতের কাজ ফেলিয়। তাহার সহিত গল্প জমাইতে বসিল । প্রভারও ব্যাপারটা জানিতে একটু কৌতুহল ছিল, সেও আয়ার কাছে আসিয়া দাড়াইল । ঐ কাপড়গুলি কাহার জিজ্ঞাসা করাতে ছোট মেমসাহেব কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া ইংরেজীতে বলিল, “আমার বোনের মেয়ের ”