পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిరి రి ছিলেন। আমি বালকদিগকে সম্বোধন করিয়া খুব সোজা চলিত কথায় অল্প কিছু বলিয়াছিলাম। তাহার প্রধান কথা এই – “আমাদের সকলেরই শৈশবে আমাদের মা ও অষ্ঠ পূজনীয় মহিলারা আমাদিগকে এবং ঘরবাড়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবার জষ্ঠ যাহা করেন, মেথরেরা সমগ্র সমাজের জন্য তাহাই করেন। আমাদের মা ভগিনীরা কেহ ঘৃণিত, অনাচরণীয় বা অস্পৃষ্ঠ বলিয়া বিবেচিত হন না ; কিন্তু মেথরদিগকে তাহাই মনে করা হয় । ইহা সামাজিক ব্যবস্থার দোষ । আমরা যখন জাহাজে চড়িয়া বিদেশে যাই, ইউরোপের হোটেলে থাকি, তখন দেখি অনেক জাহাজে এবং সব হোটেলে ইংরেজদের মত সাহেব মেম আমাদের ও অস্থ্য সকলের মেথরের কাজ করেন। কিন্তু তাহার জন্য উtহার নিজের নিজের জাতির ও দেশের মধ্যে ঘূর্ণিত একটা শ্রেণী হইয়া থাকেন না । তাহার ও উপহীদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়া শিথিয়া অন্য দশজনের স্যায় ভদ্রলোকের মত থাকেন । আমাদের দেশেরও ব্যবস্থার ও অবস্থার পরিবর্তন হইবে । তোমরাও লেপাপড় শিথিয়া সচ্চরিত্র ও সদাচারশীল হইয়া অন্য সকলের সমান হইতে পরিবে। বাংলার মাটী, বাংলার জল এবং বাংলার বায়ুকে পুণ্য করিবার ভার তোমাদের উপর। ইহা খুব উচ্চ কাজ । এরূপ পবিত্র কাজ কে ঘৃণিত মনে করিয়! তোমাদিগকে পায়ে ঠেলিয়া রাখা আমাদের দেশের ও সমাজের দুর্দশার একটি কারণ ।” অন্য বক্তৃতাগুলির তাৎপর্য নুতন করিয়া লিখিয়া দিবীর অবসর হইবে না। এইজন্য যুক্ত জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ যে-যে অংশ সংলগ্ন ভাবে লিথিয়া লইয়াছিলেন, তাহ প্রায় তাহারই অনুলিখন অনুসারে দিতেছি । আমি কি বলিয়াছিলাম, সমস্ত ঠিক মনে নাই। সেইঞ্জষ্ঠ্য অনুলিখনের সমুদয় অংশগুলিকে পরস্পরের সহিত কুসংলগ্ন এক-একটি প্রবন্ধের আকার দিতে পারিলাম না । অভয় আশ্রম লাইব্রেরীর বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতি শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় প্রদত্ত বক্ততা অভয়-আশ্রম যে যে কাজে হাত দিয়েছেন সেগুলি খুবই বড় এবং খুবই দরকারী। একটা জাতিকে বেঁচে থাকতে হ’লে এইসব কাজই করতে হবে। একাজ একটি সমিতি, একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা হতে পারে না ; দেশে এরূপ বহু প্রতিষ্ঠান ও সমিতির প্রয়োজন। অভয়আশ্রম জাতি-গঠনের অনেক কাজে স্থাত দিয়েছেন। অভয়-আশ্রম যে কাজে হাত দিয়েছেন, সে হ'চ্ছে বেঁচে থাকার কাজ। কি করলে নিজে বাচা যায়, একটা গুণতিকে বাচান যায়, কেঁচোর মতন নয় ঠিক ঠিক মামুষের মত বাচা বায়, সেটা দেখাতে অভয়-আশ্রম অনেক কিছু ক'রেছেন ও করছেন । আমাদের শাস্ত্রে আছে—“শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনমূ" শরীর হচ্ছে ধৰ্ম্মসাধনের গোড়া। প্রাচীন রোমক জাতির মধ্যেও একটি প্রবাদ-বাক্য চলিত fìat, “Mens sana in corpore sano, "£? শরীরে সুস্থ মন” । মালুযের আদর্শ সুস্থ মন ও সুস্থ শরীর । সুস্থ মন ও শরীর ব্যতীত জগতে কোন বড় কাজই করা যায় না। চিররশ্ন দু একজন অনেক কাজ করতে পেরেছে বটে ; কিন্তু একটা রুগ্ন জাত কোন বড় কাজ করেছে, তা দেখা যায় না। বড় গুণত হয়ে বেঁচে থাকতে হ’লে প্রত্যেককে মানুষ হতে হবে, আর মানুষ হ’তে হ’লে শরীরের দিকে দৃষ্ট দিতে হবে। অভয়-আশ্রম লাঠি-খেলা প্রভূতির বন্দোবস্ত করেছেন স্বাস্থ্য সঞ্চয়ের জন্তে ; বিদ্যালয় লাইব্রেরী করেছেন শিক্ষার জন্তে, জ্ঞানের জন্তে --নিম্ন শ্রেণীর মেথর বাউরা ইত্যাদির পনেদোষ নিবারণের SAASAASAASAASAASAASAASJJJJSAJJSJJAJAAASA SAAAAS প্রবাসী—আশ্বিন, 0 AJSJJAYJA MMAJASAeAMJAAAS AAASASAAAAAS AAASASASS SSSS « من سمي ృNND8 [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • ェ*へベーメx-ベベ・%メーム、"x* *・ 、ダx-*** -*ーダ・****ーペ ふん* x%、ベー、

চেষ্ট. শিক্ষাদান ইত্যাদি আরও নানা কাজে হাত দিয়েছেন । ঠিকৃই করেছেন। কারণ, সামাজিক সৰ্ব্ববিধ উন্নতি পরম্পরসাপেক্ষ । আমাদের দেশে বেশী লোক রুগ্ন পীড়িত হয়, তার একটা কারণ আমাদের দারিদ্র্য । অল্পস্বল্প জমী নিয়েই অধিকাংশ লোক তার উপরই নির্ভর করে থাকে—কেবল তাতে বিশেষ কিছু হয় না । বিদেশী প্রতিযোগিতা ও রাজনৈতিক কারণে দেশীয় অনেক শিল্প নষ্ট হওয়ায় অনেকে আবার ভূমিশুষ্ঠ মজুর হয়ে কোন প্রকারে কিছু কাল বেঁচে থাকে। চাধীবাদী দিনমজুরদের দু পয়সা রোজগার চরকায় স্থতা কেটে, হাতে তাত বুনে হতে পারে। সুতা কেটে কম রোজগার হয় বটে। কিন্তু চুপ, চাপ বসে থাকার চেয়ে সামান্ত রোজগারও ভাল । অস্ত কাজের দ্বারা বেশী লাভ হয়, কেউ যদি দেখতে পারেন, সে ত আরও ভাল। তবে, ঘরে বসে কম মূলধনে কাজ চরকায় বেশ হয়। সেইরকম অঙ্গ কাজ চাই, বা চাষবাসের সঙ্গে কম মূলধনে গ্রামে থেকেই চলতে পারে । জগতে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় যদি যৌবন থাকে। এমন অনেক মানুষ আছে যারা চিরযৌবনশালী, আবার এমনও আছে মারা ১৮২০ বছর বয়স হ'লেই বিজ্ঞ প্রবীণ প্রাচীন হ’য়ে ওঠে । তারা সৌভাগ্যশালী যাদের বয়সও কাচা, মনও তাঞ্জ, যারা পৃথিবীতে সব কঠিন কাজই করতে প্রস্তুত । বাংলার এই ছোট জেলা বাকুড়ার যৌবনের ঘা শক্তি, ভাল কাজ কর্তৃবার যা শক্তি, তা জাগাতে হবে, অসাধ্য সাধন করতে হবে । হাত পা না থাকলেও কত কাজ করতে পারা যায়, তার একটা দুষ্টান্ত দিচ্ছি। চেকোশ্লোভাকিয়া আগে অষ্ট্রিয়ার অধীন ছিল। তার রাজধানী প্রাগের একটি স্কুলে গেলাম। সেটি হচ্ছে বিকলাঙ্গ বা অঙ্গহীন বালকবালিকাদের স্কুল। কারও একটা হাত নাই, কারও বা দুটো হাতই নাই, কারও পা নাই—এমনি সব ছেলে মেয়েদের নিয়ে সে স্কুল চলে। অধ্যাপক বাকুলে একজন মহৎ ব্যক্তি। তিনি ঠার ছেলেদের কাজ দেখাবার জন্তে আমাদের নিয়ে গেলেন। দেখলাম একটি ছেলের দুটি হাতই নাই । ছেলেটি তত্ত্বাপোষের উপর বসে পায়ের আঙুলের দ্বারা সব কাজই করে। একটা কাঠের আসবাব মুনীর কুঁদে বিদ্যুতের তার পায়ে ধ'রে তা দিয়ে স্তর উপর ছবি অীকৃছে। আমাদের দেখাবার জন্তে ছেলেটি দেশলাইয়ের একটি বাক্স নিয়ে এক পায়ে ধরে অন্ত পায়ে একটি কাঠি জেলে একটি চুরুট ধরালে, পরে ফেলে দিলে। সে যে-সব জিনিষ তৈয়ারী করে, তা অতি সুন্দর। তারা ভিখারী নয়, তার পরপ্রত্যাশী নয় ও নীচ নয় । তারাও দশ জনের মত আত্মসম্মানসম্পন্ন কৰ্ম্মী। আমাদের দেশ হ’লে যারা ভিখারীর ব্যবসা করে তারা তাদের কেরোসিনের বাক্সে চাপিয়ে দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে ভিক্ষা ক’রে বেড়াত, আর ভিক্ষণলব্ধ অর্থের অতি সামান্তই এদের জন্তে ব্যয়িত হ’ত। ঐ স্কুলের ডিরেক্টর মি: বাকুলে পূৰ্ব্বে চাকরী কবৃতেন সরকারী এমনি একটি স্কুলে। ডার নিজের শিক্ষার এক নুতন প্রণালী ছিল। সরকার বললেন—তোমার প্রণালী চস্বে না, আমাদের প্রণালীতে পড়াতে হবে। কাজেই তিনি ইস্তফা দিলেন । যাবার সময় উগর প্রিয় বিকলাঙ্গ অঙ্গহীন ছাত্রছাত্রীরা—যারা তাকে ভালবাসূত, তারাও সঙ্গে চ'লুল। উপর শিক্ষার গুণে তার নানকাজে নিজেদিকে উপযুক্ত ক’রে-চমৎকার গান শিপে—নিজেদের খরচ নিজেরা চালাতে এবং র্তার বিদ্যালয়ের খরচও চালাতে লাগল। প্রমাণ হ’ল, হাত পা বা অস্য কোন অঙ্গ না থাকলেও মানুষ নিজের ভরণ-পোষণ চালাতে পারে। তখন তার সাহায্য নিতে রাষ্ট্ৰী হ’লেন। এইরূপ ছেলেমেয়েদের দ্বারা যদি অতি কঠিন কাজ অসম্ভব না হয়,