পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আদেশে যদি বেশী পাশ সম্ভব হইত, তাহা হইলে নব কৰ্ত্তার আমলের অস্তৃরূপ অবস্থা যে তাহার আদেশের ফল নহে, তাহার প্রমাণ কোথায় ? যদুবাবুর পক্ষ হইতে অস্ত কাহারে ওকলতাই কি যদুবাবুর পক্ষের যথেষ্ট প্রমাণ ? (৩) যদুবাবুর বিরুদ্ধ পক্ষীয় একদল "চাই" আছেন ; যাহাদের তাশ্ৰিতদের “উপরি পাওনা" ছিল, এখন গিয়ছে। অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর । ইহার প্রমাণ কি ? অথবা বিপক্ষে “চাহগিরি” করাই দোষের, অষ্ঠ প্রকারের “টাইগিরি"তে বোধ হয়, দোষ হয় না ? ( 8 ) “মোটের উপর ফেলও বেশ হয় নাই’ । কিন্তু বাস্তবিক উহ! কি সত্য ? এক ম্যাটি কিউলেশন পরীক্ষার ফলাফলের নিম্নলিখিত তালিকটিই সত্য নিৰ্দ্ধারণে সাহায্য করিবে : সন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাশের গড় సె ఫి లి × بيان اي نة స న 8 × జా ! " స ఫి సె, 3 * ● ● సఫి , ૭,૪ ૦૭ ¢ ዓ ̈ Ç స నi ১৫,৬৬৭ { Ꮌ Ꮡ পরীক্ষার্থীর সংখা ও গড় পাশের সংপায় হ্রাস হয় নাই কি ? এবং এই হাসের কারণ কি ? যাহার যুক্ত যদুবাবুর "টা", প্তাহীদের উত্তর দেওয়া উচিত । শ্ৰীমণীন্দ্রনাথ রায় সম্পাদকের মন্তব্য কিছুকাল পূৰ্ব্বে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে আলোচনা প্রধানত: নডার্ণ রিভিউ ও প্রবাসীকেই করিতে হতান্ত । তখন প্রত্যেক ব্যাপারের বিস্তৃত বৃত্তান্ত ও প্রমাণাদি আমরাই দিতাম। এখন অনেক বাংলা ও দৈনিক কাগজ এই কাজ করিতেছেন । সুতরাং বিস্তৃতভাবে প্রত্যেক বিষয়ের আলোচনা করা আমরা আর আবশ্বক মনে করি না । প্রযুক্ত যদুনাথ সরকার মহাশয়ের বিরুদ্ধে কি কি মিথা! কথা প্রচারিত হইতেছে, এবং সেগুলি যে মিথা, তাহার প্রমাণ আনন্দবাজার পত্রিক, বহুমতী, বেঙ্গলী প্রভৃতিতে বহুবার বিস্তৃত ভাবে লেখা হইয়াছে। তৎসমুদয়ের পুনরুল্লেখ অনাবশ্বক । “আগেকার কৰ্ত্তা" পরলোকগত স্তর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় । ইহা বহুজনবিদিত কথা এবং প্রযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ যখন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন তখন লিবিয়াছিলেন, যে, আপ্তবাবু নিজের অভিপ্রায় অনুযায়ী কাজ করিবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দেনেট সৗণ্ডিকেট আদিতে এমন লোক ঢুকাইয়াছেন যাহারা ঠাহীর মুঠার ভিতর। এইজন্ত তাহার জীবিত-কালে উtহার আদেশে কাজ হইত এবং হইতে পারিত। এবিষয়ে তাহার কোন লিখিত বা মুদ্রিত আদেশ নাই, থাকিতে পারে না। কিন্তু অনেক প্রশ্নকর্তী ও পরীক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্ত ইহা অবগত আছেন। পরীক্ষায় বেশী ছাত্র . মে রুমি কারণে পাস হইত, তাহার একটা ভাল প্রমাণ এই মে, অক্তিবাবুর মৃত্যুর পর হইতে পা কম হইতে আরম্ভ হইয়াছে। ইয় প্রতিবাদকারীর তালিকাতেই দেখা যাইতেছে। ১৯২৩, ১৯২৪, ১৯২৫ সালে যথাক্রমে শতকরা ৭৪'•৮, ৭৭৪ এবং ৭৩৮ জন পাস্ আলোচনা—“কলিকাতার ভাইস-চ্যান্সেলারের উপর আক্রমণ” ৯০৩ হইয়াছিল । তাহার পর কমিয়া ১৯২৬ সালে একেবায়ে শতকরা ৫৭২ জন পাস্ হইল। হঠাৎ স্কুলগুলির শিক্ষার এত অবনতি কিংবা হঠাৎ স্কুলগুলিতে অল্পবুদ্ধি বিস্তুতিপরায়ণ ছাত্রবৃন্দের আবির্ভাব হইতে পারে না । প্রশ্নকৰ্ত্তা ও পরীক্ষকদের মধ্যেও বেশ পরিবর্তন হয় নাই । কম পাস হইবার কারণ এই, যে, যাহার প্রভাবে বেশী পাস হইত, তাহার অবর্তমানে ছাত্রদের বিদ্যাবুদ্ধির অনুযায়ী স্বাভাবিক ফল ফলিতে তারিস্ত হইয়াছিল, এবং ১৯২৭ সালেও সেইরূপ ফল হইয়াছে । ভূতপূৰ্ব্ব কৰ্ত্তার আদেশে বেশী পাস সম্ভব হইত এই কারণে, যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপহার অপ্রতিহত প্রভাব ছিল এবং প্রশ্নকৰ্ত্তা ও পরীক্ষকআদির নিয়োগ ঠাহার ইচ্ছা অনুসারে হইত। ১৯২৭ সালের পরীক্ষাগুলির প্রশ্নকৰ্ত্ত ও পরীক্ষক নিয়োগ যদুবাবুর আমলে হয় নাই । নিজের ব্যক্তিগত হুকুমে বেশ বা কম পাস করাইবার মত প্রবৃত্তি যদুবাবুর আছে কি না তাহার আলোচনা অনাবশ্যক। কিন্তু তাহার সেন্ধপ প্রবৃত্তি যদি থাকিত, তাহা হইলেও কাজ তদনুসারে হইত না ; কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্তবাবুর মত উপহার প্রভাব নাই, হুকুমও থাটে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহার প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য যে বেশ চলে, তাহার একটা মাত্র প্রমাণ দিলেই হইবে । অন্য বোড়ের কথা দূরে পা , ইতিহাসের বেড অব হাইয়ার ষ্টাডিজে পর্যন্ত তিনি নির্বাচিত হন নাই । তিনি যে পরীক্ষায় কম বা বেশী পাস্ করা সম্বন্ধে পরীক্ষকদিগকে মৌখিক বা লিখিত চাইদের আশ্রিত লোকদের উপরি পাওনা কেন আদেশ দেন নাই, তাহা কোন কোন পরীক্ষক খবরের কাগজে লিপিয়াছেন । চাইদের আশ্রিত লোকদের উপরি পাওনা ছিল, ইহা গুরুতর অভিযোগ বটে, ; কিন্তু সত্য । কোন কোন চাইয়ের বিরুদ্ধে ইহা অপেক্ষাও গুরুতর অভিযোগ যাহা আছে, তাহা আমরা লিখি নাই । খুব বেশী উপরি পাওনা যাহার ছিল, তাহার রোজগারের পথ, অন্ততঃ কতকট, বন্ধ হইয়াছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্ত কমিটি বসিলে প্রমাণ উপস্থিত করিবার চেষ্ট৷ হইবে। প্রতিবাদবপরীর প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণের সন্ধান দিলে অসৎলোককে প্রমাণ নষ্ঠ করিবার সুযোগ দেওয়া হইবে । আমাদের সন্দেহ হয়, ইতিমধ্যেই কিছু কিছু প্রমাণ নষ্ট হইয়াছে। “মোটের উপর ফেলও বেশী হয় নাই”, এই কথা যখন আমরা লিখিয়ছিলাম, তপন ম্যাট্রিকুলেগুন, আই-এ ও আই-এস-সির ফল বাহির হইয়াছিল । পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ফ্রাসের বিষয় আমরা কিছু লিখি নাই ; ইহা প্রতিবাদকারী নিজে উত্থাপন করিয়াছেন । সুতরাং তিনি নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ১৯২৫ সালের ১৯০৮২ জন হইতে কমিয়। ১৯২৬ সালে ১৬৪০৬ জন পরীক্ষার্থী কেন হইয়াছিল। তখন যদুবাবু ভাইস-চ্যান্সেলার হন নাই। প্রতিবাদকারী নিজে নিজেকে ইহাও জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, যে, ১৯৯৮২ ও ১৬৪০৬ এ যত প্রভেদ তাহা যদি যদুবাবুর প্রভাব ব্যতিরেকে কোন স্বাভাবিক কারণে ঘটিয়া থাকিতে পারে, তাহা হইলে ১৬৪০৬ ও ১৫৬৬৭ এর মধ্যে তদপেক্ষা কম প্রভেদ যদুবাবুর প্রভাব ব্যতিরেকে পূর্ববৎ স্বাভাবিক কারণে ঘটিতে পারে কি না । ফেল একটুও তুধিক হয় নাই, এরূপ কথা আমরা লিথি নাই ; মোটের উপর বেশী হয় নাই, লিখিয়াছিলাম। তাহা সত্য কথা । শতকরা ৭৪, ৭৭, ও ৭৩ এর অধিক সংখ্যক পাশের পরেই শতকরা a৭ পাস্ হওয়াতেও প্রতিবাদকারী বা টাইদের দলের অন্ত কোন লোক তাহাকে “বেশী ফেল” মনে করিয়া চীৎকার জুড়িয়া দেন নাই ; কেননা, তখন ভাইস-চ্যান্সেলার ছিলেন জজ ঐীতস, যন্ধুবাবু নয়।