পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి) 8 এদিকে তথাকার গবর্ণর স্তার এভোয়ার্ড গ্ৰীগৃদ্‌মে মন্তবা প্রকাশ করিয়া ছেন তাহাতেও ভারতীয়দের স্বাধহানী ঘটিবার সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে । তিনি বলিয়াছেন যে পূৰ্ব্ব-আফ্রিকার প্রদেশগুলিকে লইয়া একটি রাষ্ট্রসমষ্টি করিতে হইবে। এই রাষ্ট্র- স্ট্র যদি ফিত হাম কমিটির নির্দেশাসুযায়ী হয় তাহা হইলে ভারতবাদের বিশেষ অসুবিধা হইবে। মিঃ এগুরুজ ও মি: ওঝা এজন্য ভারতের জনমত উদ্বোধিত করিতে চেষ্টা করিতেছেন। ট্রান্স ভাল পণ্ডিত বেনাৰ্বলী দাস চতুৰ্ব্বেী লীডার পত্রে ট্রান্সভালে ভারতীয় শিক্ষা বিস্তার সম্পর্কিত একথানি চিঠি প্রকাশ করিয়াছেন। তাহাতে প্রকাশ ১৯১৩ সাল হইতে ট্রান্‌ভালে ভারতীয়দের শিক্ষার জষ্ঠ ব্যবস্থা হইয়াছে। সেই বৎসর জনসনবার্গে মাত্র একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হয়, বৰ্ত্তমানে ঐ প্রদেশে ৬টা বিদ্যালয় আছে । কিন্তু সেথানকার জনসংখ্যার অনুপাতে বিদ্যালয়ের সংখ্যা অল্প। ট্রান্স্ভালে ৯৩৫৯ জন বালক ও ৫,০৪৬ জন বালিকা আছে। কিন্তু বৰ্ত্তমানে মাত্র ৬০ জন বিদ্যালয়ে পড়িতে পারে। ঐ অঞ্চলে একটিও বালিকাবিদ্যালয় নাই । অষ্ট্রেলিয়া দেওয়ান বাহাদুর রঙ্গচারিয়ার সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়া হইতে ফিরিয়া আসিয়াছেন। তিনি মত প্রকাশ করিয়াছেন যে সেখানে ভারতীয়দের স্বার্থসংরক্ষণার্থ একজন এজেন্ট প্রেরণ করা অব্য প্রয়োজনীয় হইয়৷ পড়িয়ছে। স্কটল্যাণ্ড এডিনবার্গের খান ও উৎসবঘরসমূহে ভারতীয় ছাত্রদের প্রবেশ নিধিদ্ধ হওয়ার ফলে ইংলণ্ডপ্রবাসী সমস্ত এশিয়াবাসীর স্বার্থরক্ষার্থ এডিনবার্গে এশিয়াসঙ্ঘ নামে একটি সঙ্গ স্থাপিত হইয়াছে । উক্ত সঙ্ঘের কোষাধ্যক্ষ মি: ডি, এল, মমঙ্গলী সংবাদপত্রে একখানি চিঠি লিখিয়া জানাইতেছেন :– "ভারতবর্ষ স্বাধীন নহে। পরদেশী শাসকদের নিকট আমাদিগকে অনেক অপমানেই অপমানিত হইতে হইয়াছে ; কিন্তু আজ আমরা মে দেশে বাস করিতেছি ব্রিটিশ জাতি সে দেশকে স্বাধীন বলিয়া বড়াই করে। কিন্তু এই স্বাধীন দেশেও কি আমরা স্বাধীন ? যে সমস্ত পাঠক এডিনবার্গে বর্ণবিদ্বেষের কথা অবগত আছেন আমি উপহাদিগকেই ইহা বিচার করিয়া দেখিতে বলিতেছি। এই বিদ্বেষ এখন বিদ্যমান । “এই বিরূপ মনোভাব দূর করিবার অভিপ্রায়ে আমরা এশিয়া-সত্ত্য নামে একটি সত্ত্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছি। পাঠক ও অনুগ্রাহকবর্গ হইতে আমরা অর্থ সাহায্য চাহিতেছি । আমাদের সজ্য এই বর্ণবিদ্বেষ দূর করিবার জুস্থ সৰ্ব্বপ্রকণর নীতিসঙ্গত চেষ্টা করিবে। অনেক সঙ্কীর্ণমনা লোক আমাদের অবস্থা বুঝিতে না পারিয়া আমাদিগকে বিক্রপ করিবে। কিন্তু তাহা উপেক্ষা করিয়া অামাদিগকে স্বাধীনতার চর্চা করিতে হইবে।” সম্প্রতি এডিনবরার টাউন কাউন্সিলের একটি অধিবেশনে লর্ড প্রেতিষ্ট ষ্টিফেন্সন বলেন যে স্থানীর ম্যাঞ্জিষ্ট্রেট র্তাহাদিগকে এডিনবরার বর্ণবিদ্বেষ আন্দোলনের বিপক্ষতাচরণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়াছেন । সভায় সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে বর্ণবিদ্বেধ আনোলনকে অন্যায় বলিয়া মন্তব্য গৃহীত হইয়াছে। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভারতবর্ষ সীমান্তে হিন্দু-বহিষ্কার— পেশোয়ার হইতে সংবাদ আসিয়াছে—ীমান্তের আফ্রিদি মুজুকে ও অষ্ঠাষ্ঠ স্থান হইতে হিন্দু ও শিখ গণ বিতাড়িত হইয়া দলে দলে পেশোয়ারে আসিয়া পৌঁছিয়াছে । তাহীদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি পাঠানদের বাজেয়াপ্ত হইয়াছে । লাণ্ডিকোটালের আফ্রিদিরা হিন্দুদের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণী—সে টাকা তাহারা বাজেয়াপ্ত করিয়াছে। "রঙ্গিল রকুলের” আন্দোলনের ফলে কিছুদিন যাবৎ পঞ্জাব হইতে মোল্লা মৌলবীরা গিয়া সীমাস্তের অল্পসংখাক হিন্দুদিগকে নিৰ্য্যাতন করিবার জন্ত পাঠানদিগকে প্ররোচিত করিতেছিল, এতদিনে তাহা ফলপ্রসু হইয়াছে। দিল্লীতে এই ব্যাপারের প্রতিবাদ করিয়া এবং গৃহহীন হিন্মুদিগকে সাহায্য করিবার জন্ত লাল কিন্নরনাথের সভাপতিত্বে এক সভা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । —জনশক্তি বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত— কানপুর মিউনিসিপালিটাতে একটি প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে যে, মিউনিসিপালিটী-পরিচালিত বিদ্যালয়ের কার্য আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বে বন্দেমাতরম্ জাতীয় সঙ্গীত গীত হইবে। বালকগণের কোমল হৃদয়ে দেশস্ত্রীতি উদ্ধ ন্ধ করিবার এই চেষ্টা অতি প্রশংসনীয় ! & —আনন্দবাজার পত্রিকা সরকারী কৰ্ম্মচারীর পোষাক— সৰ্বকারী কৰ্ম্মচারিগণের পোষাকের ওষ্ঠ দেশী কাপড় ব্যবহার করা কওঁধ্য এই মৰ্ম্মে বিহার আইন সভায় এক প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে । সরকার পক্ষে প্রতিবাদ করিয়া বলা হইয়াছিল যে, মিতবায়িতার দিক দিয়া এই প্রস্তাব গ্রহণীয় নহে । * - ot —পল্লীবাসী কুলীর জীবনের মুল্য— আসামের একটি চা-বাগানের এক মিস্ত্রীসাহেবের অনুগ্রহে, পুসা নামক একজন কৃষ্ণাঙ্গ কুলী ভবলীলা সম্বরণ করে । মিস্ত্রী সাহেব হেণ্ডারসন মাতাল অবস্থায় কুলীকে জলের মধ্যে ফেলিয়া দেয়, ফলে কুলীটির মৃত্যু হয়। বিচারে ডেপুটি কমিশনার বলিয়াছেন যে, যদিও গৌণভাবে হেণ্ডারসনই কুলীটির মৃত্যুর কারণ, তবুও ভাল প্রমাণের অভাবে তাহাকে ছাড়িয়া দেওয়া গেল। এই মামূলা উপলক্ষে সহযোগী আননাবাঞ্জার মন্তব্য করিতেছেন—“ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের গণ্ডী পার হইয়া মোকদ্দম। সেসনে গেলেও শ্বেতাঙ্গ জুরীদের বিচারে হেণ্ডারসন খুব সম্ভব মুক্তিলাভ করিত । অতএব আপশেষ করিবার কিছু নাই। কালা কাদমীর প্রাণের মূল বহুবার ঐ আসামের আদালতেই যাচাই হইয়া, ঘসা পয়সার সমান বলিয়া ঠিক হইয়াছে। গরীব কুলী পুসর্গর হত্যাকাণ্ডের বিচারে নূতন কিছু হয় নাই ।” বাংলা হুগলী ঐতিহাসিক সম্মিলন— গত মাসে হুগলী ঐতিহাসিক সম্মিলনের তৃতীয় বাধিক অধিবেশন হইয়া গিয়াছে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন । যুক্ত মুনীন্দ্রনাথ দেব রায় মহাশয় অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন । সভাপতি মহাশয় হুগলী জেলার প্রাচীন ইতিহাস আলোচনা করেন । ডাক্তার কালিদাস নাগ ছায়াচিত্র সাহাষে "বৃহত্তর ভারত" সম্বন্ধে বক্তৃতা করেন। —ডাঙ্কুশক্তি