পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 ১৬ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান করিয়া মরিতেছি, অবশু প্রেম একটা মিষ্ট জিনিষ, তাহ চাই । কিন্তু তাহা ঠিক সরবতের মত তরল হইবে, সুরার মত উত্তেজক হইবে, যেন পরবর্তী ষ্টেশনে গাড়ী যাওয়া পৰ্য্যন্ত একটু মশগুল হইয়া থাকিতে পারি। আর তে অবসর নাই সুতরাং সাধন-রাজ্যের কথা আমাদের কাছে নিছক পাগলামি, সে যুগেও এখনকার প্রবৃত্তির লোক না ছিল, এমন মহে, তাহার হাফেজকে দেওয়ান এবং চণ্ডীদাসকে পাগল-চণ্ডী বলিত । কিন্তু এই পাগলেরাই এখন পর্য্যন্ত প্রকৃতপক্ষে মানুষ-সমাজ শাসন করিয়া আসিতেছেন । আমরা ভাগ্য-বলে বাঙ্গালা দেশে জন্মিয়াছি, ইহা সাধনার তীর্থক্ষেত্র, আমরা যেন তপস্তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ ন হই, যে-দিন তাহা হইব—সে-দিন আমাদের মৃত্যু। এই গাথা-সাহিত্য সেই অলৌকিক তপস্তার ক্ষেত্রে জন্মিয়াছে। কি হিন্দু, কি মুসলমান, গাথা-বর্ণিত নায়িকাগণ এক পরিবারের লোক, ইহাদের নিরুপম সৌন্দৰ্য্য বুঝিতে আপনাদের নিবৃত্তিমুখী হইতে হইবে, এই জড় জগতের পরপারে যে রাজ্য আছে—তাহার ভাষা বুঝিতে হইবে । মদিনার স্বামী-গত প্রেম বহু স্ত্রী নিক্কণে (নিনাদিত) একতান সুরের মধ্যে বাস্তবতাকে অবাস্তব-সৌন্দৰ্য্য দিয়াছে ‘আয়না বিবি’র শেষাঙ্কের করুণ মুক্তিকে বরেণ করিয়াছে, ভেলুয়ার শত দুঃখকে স্থল-পদ্মে পরিণত করিয়া প্রেমের মহিমা বিকীর্ণ করিতেছে। নিত্য উদ্ভাবিত উ নামসার মধ্যে মহুয়ার নীরব প্রেমকে অব্যক্ত ও মহীয়সী করুণ।. . . - ৩ করিয়াছে ত্যাগশীলা মহুয়াকে প্রেমরাজ্যের সম্রাজ্ঞীর মত উজ্জ্বল রূপে দেখাইয়াছে, নদী-গর্ভে র্তাহার বিসর্জনের চিত্রে যেন দেবী-বিসর্জনের বাদ্য বাজিয়া উঠিয়াছে, চন্দ্রাবতীর প্রেম—সংযম ও সেই নিত্য লোকের ংবাদ দিয়াছে, দুলাল” অশ্বের আরোহী সখিনার অমর আলেখ্য যেন সমাধির উপরে প্রতিষ্ঠিত মৰ্ম্মর প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত একখানি দেবী-মুৰ্ত্তির