পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রধান মাংসাহারী জাত, রোগে লোপাট হয়ে যেত এতদিনে। একপক্ষ বলছেন যে ছাগল খেলে ছাগুলে বুদ্ধি হয়, শুয়োর খেলে শুয়োরের বুদ্ধি হয়, মাছ খেলে মেছো বুদ্ধি হবে। অপর পক্ষ বলছেন যে, কপি খেলে কোপো বুদ্ধি আলু খেলে , আলুয়ো বুদ্ধি এবং ভাত খেলে ভেতো বুদ্ধি। জড়বুদ্ধির চেয়ে চৈতন্তবুদ্ধি হওয়া ভাল। এক পক্ষ বলছেন, ভাত-ডালে যা আছে মাংসেও তাই ; অপর পক্ষ বলছেন, হাওয়াতেও তাই, তবে তুমি হাওয়া খেয়ে থাক। এক পক্ষ বলছেন যে, নিরামিষ খেয়েও লোকে কত পরিশ্রম কৰ্ত্তে পারে ; অপর পক্ষ বলছেন, তা হলে নিরামিষাশী জাতিই প্রধান হতে ; চিরকাল মাংসাশী জাতিই বলবান ও প্রধান । মাংসাহারী বলছে, হিন্দু-চীনে দেখ, খেতে পায় না, ভাত খেয়ে শাক-পাত,ড়া খেয়ে মরে, ওদের তুর্দশা দেখ—আর জাপানীরাও ঐ ছিল ; মাংসাহার আরম্ভ করে অবধি ওদের ডোল ফিরে গেছে । ভারতবর্ষে দেড়লাখ হিন্দুস্থানী সেপাই, এদের মধ্যে কয়জন নিরামিষ খায় দেখ । উত্তম সেপাই গোরখা বা শিখ কে কবে নিরামিষাশী দেখ। একপক্ষ বলছেন যে, মাংসাহারে বদহজম, আর একপক্ষ বল,ছেন—সব ভুল, নিরামিষাশীগুলোরই যত পেটের 8సె