পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 এবার ডাক্তার হাসিয়া ফেলিলেন, “আপনাদের চিকিৎসা করে সুখ আছে। এবার আপনি সেরে উঠবেন, কি বলেন?”

 সতীশঠাকুর বলিলেন, “সে আপনার হাতযশ।”

 —“শুধু হাতযশ? কেন, ব্যবস্থাটা মনঃপুত হয়নি?”

 —“ডাক্তারের ব্যবস্থার উপর কথা বলা আমার অভ্যাস নয়। আপনার কথামত খেয়ে দেখি, কি ফল পাই।”

 ডাক্তারবাবু সতীশঠাকুরের জন্য উক্তপ্রকার খাদ্যের ব্যবস্থা লিখিয়া লইয়া বাহির হইয়া গেলেন।

 সতীশবাবু বন্ধুদের লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “ডাক্তারবাবু লোকটা যতই খারাপ হোন, ডাক্তারীটা জানেন কিন্তু।”

 বন্ধুরা সমস্বরে সায় দিয়া বলিলেন, “তাতে আর সন্দেহ আছে?”

 পরদিন ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “সতীশবাবু, ব্যথাটা এখন কেমন বোধ করছেন? একটু কমেছে বলে মনে হয় না?”

 সতীশবাবু বিনীত সুরে জবাব দিলেন, “একটু যেন কমেছে বলেই মনে হয়। ওষুধটা যেন ফস্ করে বন্ধ না করেন। ফল যখন একটু পাচ্ছি—”

 ডাক্তারবাবু বাধা দিয়া বলিলেন, “পাগল হয়েছেন। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। এই ব্যবস্থা একমাস বলবৎ থাকবে।”

 ডাক্তারবাবু বাহির হইয়া গেলে সতীশঠাকুর বন্ধুদের লক্ষ্য করিয়া আজ বলিলেন, “ডাক্তার ডাক্তারী জানবে, এ নূতন কিছু নয়। কিন্তু লোকটি বড়ই বিবেচক।”

 বন্ধুরা আজও সমস্বরে সায় দিলেন, “তা আর বলতে।”


 দুপুর বেলা, খাওয়াদাওয়ার পালা শেষ হইয়াছে, বাবুদের মধ্যাহ্নের ব্যসন-পর্ব চলিতেছিল। অক্ষ-ক্রীড়াকে ব্যসন বলিলে তাস ও দাবাকে তাহার অন্তর্গত করিতে আমরা ন্যায়তঃ বাধ্য। বাবুদের অনেকেই এই তিনটি

২১০