পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈঞ্চব-চরিত্যখ্যান—গোবিন্দদাস —১৫১০-১৫১১ খৃঃ । × ა((3 মহা-ভাবাবেশে অঙ্গ স্তম্ভিত হইল। সোণার দোসর দেহ ধূলায় পড়িল । কৃষ্ণ বলি পৃথিবীতে প্রভু গড়ি যায়। ধূলায় ধূসর অঙ্গ বিন্ধিল কাটায়। সম্মুখে বসিয়া যোগী কান্দিতে লাগিল । অমনি তাহার প্রতি দয়া উপজিল ॥ ভারতীর ভক্তি দেখি পৃষ্ঠে দিলা হাত। পৃষ্ঠে হাত দিয়া বলে দুই চারি বাত ॥ যোগীর হইল ভক্তি প্রভুর পরশে । মজিল তাহার মন কৃষ্ণ-ভক্তি-রসে ॥ কেমন প্রভুর কৃপা কহনে না যায়। প্রেমে মত্ত হয়ে যোগী ধুলায় লুটায়। চোরানন্দী-বনে নারোজী-নামক ব্রাহ্মণ-দস্থ্যকে উদ্ধার। প্রভু বলে যাব মুঞি চোরানন্দী (১)-বন। চোরানন্দী দেখে সিদ্ধ হবে প্রয়োজন। গ্রাম্য লোক বলে সেথা না যাও সন্ন্যাসী । সাধুর গমন সেথা নাহি ভালবাসি ॥ বহু চোর বহু দস্থ্য থাকে সেই স্থানে। জীবন-সংশয় হবে যাইলে সেখানে ॥ প্রভু বলে কিবা মোর লবে দস্থ্যগণ । এখনি সেখানে মুঞি করিব গমন। রামস্বামী বলে প্ৰভু চোরানন্দী-বন। কোন তীর্থ নহে তথা কিবা প্রয়োজন ॥ যদি কোন অমঙ্গল করে দস্থ্যগণ । তোমার বিরহে লোক ত্যজিবে জীবন ॥ প্রভু বলে ভয় নাই কর রামস্বামী । হরিনামে দস্থ্যগণে মাতাইব আমি৷ এত বলি প্ৰভু চোরানন্দীতে চলিল। চোরানন্দী গিয়া বৃক্ষতলায় বসিল ॥ (১) পুণ-নগরীর নিকটবৰ্ত্ত ‘পটন’ ও ‘জেজুরী’ গ্রাম অতিক্রম করিয়া চোরানন্দী-বনের অবস্থান উল্লিখিত দৃষ্ট হয়। --