পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণব-চরিতাখ্যান—বৃন্দাবনদাস-১৫০৭-১৫৮৯ খৃষ্টাব্দ | ➢ »ፃፃ ঈশ্বরপুরীও গৌরচন্দ্রেরে দেখিয়া । আলিঙ্গন করিলেন মহা-হৰ্ষ হৈয়া ৷ দোহার বিগ্রহ দোহাকার প্ৰেম-জলে। সিঞ্চিত হইল প্রেমানন্দ-কুতুহলে। প্রভু বোলে গয়াযাত্রা সফল আমার । যতক্ষণে দেখিলাঙ চরণ তোমার ॥ তীর্থে পিণ্ড দিলে সে নিস্তরে পিতৃগণ । চৈতন্তের কাকুবাদ। সেহে যারে পিণ্ড দিয়ে তরে সেই জন ৷ তোমা দেখিলেই মাত্র কোটি পিতৃগণ । সেই ক্ষণে সৰ্ব্ব-বন্ধ পায় বিমোচন ॥ অতএব তীর্থ নহে তোমার সমান। তীর্থেরো পরম তুমি মঙ্গল-প্রধান। ংসার-সমুদ্র হৈতে উদ্ধারে আমারে। এই আমি দেহ সমৰ্পিলাঙ তোমারে ॥ কৃষ্ণ-পাদপদ্মের অমৃত-রস-পান । আমারে করাও তুমি এই চাহি দান ৷ বোলেন ঈশ্বরপুরী শুনহ পণ্ডিত। তুমি যে ঈশ্বর-অংশ অতি স্থনিশ্চিত ৷ যে তোমার পাণ্ডিত্য যে চরিত্র তোমার। সেহো কি ঈশ্বর-অংশ বই হয় আর ॥ যেন আজি আমি শুভ স্বপ্ন দেখিলাঙ। সাক্ষাতে তাহার ফল এই পাইলাঙ ॥ " সত্য কহি পণ্ডিত তোমার দরশনে । পরানন্দ-মুখ যেন পাই অনুক্ষণে । যদবধি তোমা দেখিয়াছি নদিয়ায় । তদবধি চিত্তে আর কিছু নাহি ভায় ॥ সত্য এই কহি ইথে কিছু অন্ত নাই। কৃষ্ণ-দরশন-মুখ তোমা দেখি পাই। পুরীর উত্তর। শুনি প্রিয় ঈশ্বরপুরীর সত্য বাক্য। হাসিয়া বোলেন প্ৰভু মোর বড় ভাগ্য। এই মত কত আর কৌতুক-সন্তাষ । যত হৈল তাহা বর্ণিবেন বেদব্যাস ৷ > 8bア