পাতা:বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সঙ্গীত—কৃষ্ণকমল গোস্বামী—জন্ম ১৮১০ খৃঃ । ১৬০৩ শতমুখে কইতেছিল পূৰ্ব্ব-সুখ-কথা ; কহিতে কহিতে কিবা উপজিল ব্যথা ? বিশাখা। শুন গো ললিতে । রাধা প্রেমের সাগর, ভাবের তরঙ্গ তাহে উঠে নিরন্তর । সারস-পক্ষীর ধ্বনি করিয়ে শ্রবণ, মুরলীর ধ্বনি ধনীর হ’ল উদ্দীপন। রাগিণী—মনোহরসাহি, তাল—লোভা । রাধিক। অতি দুরে বুঝি সই, বাজে ঐ মুরলী। —তোরা শ্রবণ পাতিয়ে শোন গো)– ঐ শোন নাম ধ’রে বাজে বঁাশী, সখি, চল গো, একবার দেখে আসি। —(ধৈর্য না মানে প্রাণে)— তাল—খয়রা । বল্‌ কে কে যাবে, চল গোঁ যে যাবে, শশিমুখে বঁাশী কতই বাজা’বে। না যাবে না যাবে, আমার কি যাবে, কে যাবে না যাবে, ক’রে সময় যাবে, বিলম্ব দেখিয়ে সে রসময় যাবে ; যে যাবে সে যাবে, থাক যে না যাবে, এখন না গেলে আমার পরাণ যে যাবে। ললিতা। ওগো বিশাখিকে ! দেখেছিস্ বিধুমুখীকে ? মেঘ দেখে ধনী কেন স্তব্ধ হ’য়ে র’ল ? রাগিণী—যোগিয়া-মিশ্র, তাল—লোভা । বিশাখা। দেখ দেখি শ্রীরাধার, কিবা প্রেম অসাধার, কত ধার বহে তিলে তিলে 3. দেখে নবজলধর, ভেবেছে মুরলীধর অতঃপর আসি দেখা দিলে। ইন্দ্ৰধনু দেখে ধনী, ভাবে শিথি-পুচ্ছশ্রেণী, শোভে কিবা চূড়ার উপর }