পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ፃ ó ঘোচে নাই—বরঞ্চ নানারূপে পরিস্ফুট श्श्नlছিল, বৈষ্ণবযুগে অযাচিত-ঐশ্বৰ্য্য-লাভে সে আশ্চৰ্য্যরূপে চরিতার্থ হইয়াছে। to শাক্ত যে পূজা অবলম্বন করিয়াছিল, তাহা তখনকার কালের অনুগামী। অর্থাৎ সমাজে তখন যে অবস্থা ঘটিয়াছিল, যে শক্তির খেলা প্রত্যহ প্রত্যক্ষ হইতেছিল, যে সকল আকস্মিক উত্থানপতন লোককে প্রবলবেগে চকিত করিয়া দিতেছিল—মনে মনে তাহাকেই বিশ্বব্যাপ্ত করিয়া, তাহাকেই দেবত্ব দিয়া, শাক্তধৰ্ম্ম নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল। বৈষ্ণবধৰ্ম্ম এক ভাবের উচ্ছ,াসে সাময়িক অবস্থাকে লঙ্ঘন করিয়া তাহাকে প্লাবিত করিয়া দিয়াছিল। সাময়িক অবস্থার বন্ধন হইতে এক বৃহৎ আনন্দের মধ্যে সকলকে নিস্কৃতিদান করিয়াছিল। শক্তি যখন সকলকে পেষণ করিতেছিল, উচ্চ যখন নীচকে দলন করিতেছিল,তখনই সে প্রেমের কথা বলিয়াছিল। তখনই সে ভগবানকে তাহার রাজসিংহাসন হইতে আপনাদের খেলাঘরে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আনিয়াছিল – এমন কি, প্রেমের স্পৰ্দ্ধায় সে ভগবানের ঐশ্বৰ্য্যকে উপহাস করিয়াছিল। ইহাতে করিয়া, যে ব্যক্তি তৃণাদপি নীচ, সে-ও গৌরব লাভ করিল; যে ভিক্ষার বুলি লইয়াছে, সে-ও সম্মান পাইল ; যে ম্লেচ্ছাচারী, সে-ও পবিত্র হইল। তখন সাধারণের হৃদয় রাজার পীড়ন ও সমাজের শাসনের উপরে উঠিয়া গেল। বাহ অবস্থা সমানই রহিল, কিন্তু মন সেই অবস্থার দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়। নিখিল জগৎসভার মধ্যে স্থানলাভ করিল। প্রেমের অধিকারে, সৌন্দর্য্যের অধিকারে, বঙ্গদর্শন । [ २ध्रं द,ि अचांब१, ভগবানের অধিকারে কাহারও কোন বাধা ब्रश्णि नl । 響 g প্রশ্ন উঠিতে পারে, এই যে ভাবোচ্ছাস, ইহ স্থায়ী হইল না কেন ? সমাজে ইহা বিকৃত ও সাহিত্য হইতে ইহা অন্তহিত হইল কেন ? ইহার কারণ এই যে, ভাবস্বজনের শক্তি প্রতিভার, কিন্তু ভাব রক্ষা করিবার শক্তি চরিত্রের । বাংলাদেশে ক্ষণে ক্ষণে ভাববিকাশ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু তাহার পরিণাম দেখিতে পাই না । ভাব আমাদের কাছে সম্ভোগের সামগ্ৰী, তাহা কোন কাজের স্বষ্টি করে না, এইজন্ত বিকারেই তাহার অবসান হয় । পশ্চিমে রামচরিত্র লোকের হৃদয় অধিকার করিয়া লইয়াছে। সেই চরিত্রে ভাবের উচ্ছ,সিমাত্র নহে, তাহাতে কৰ্ত্তব্যের আদর্শ আছে , সেই চরিতকাব্যে পিতৃসত্যপালনের জন্ত রামের নির্বাসনগ্রহণ, ভ্রাতার জন্ত লক্ষণের আত্মত্যাগ, স্বামীর জন্ত সীতার বনবাসস্বীকার, প্রভুর প্রতি হনুমানের আচল ভক্তি, ধৰ্ম্মের জন্য ভরতের স্বার্থত্যাগ, এ সমস্তই বীৰ্য্যের আদর্শ, কৰ্ত্তব্যের আদর্শ। এই আদর্শের সৌন্দর্য্য যাহাদিগকে মুগ্ধ করিয়াছে, তাহারা নিষ্ঠালাভ করিয়াছে, কৰ্ত্তব্যসাধনে বললাভ করিয়াছে, ধৰ্ম্মের জন্য তাহার প্রাণ দিতে পারে । আমরা ভাব উপভোগ করিয়া অশ্রুজলে নিজেকে প্লাবিত করিয়াছি, কিন্তু পৌরুষলাভ করি নাই, দৃঢ়নিষ্ঠা পাই নাই। আমরা শক্তিপূজায় নিজেকে শিশু কল্পনা করিয়া মা মা করিয়া আবদার করিয়াছি এবং বৈষ্ণব-সাধনায় নিজেকে নায়িক কল্পনা করিয়া মান