পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○)○ বঙ্গদর্শন । [ ২য় বর্ষ, আশ্বিন। পালগণ শকাভিযান প্রতিহত কৃরিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । মগধেশ্বর বালাদিত্যের নাম তাহার সহিত সংযুক্ত হইয়া আছে। অশোক ও কণিক্ষের ছায় এই সকল শকভূপতির শাসনকালনির্দেশেও কবি কলেণ নানা ভ্রম প্রমাদে পতিত হইয়াছেন । হিয়ঙ্গথ সাঙ্গের ভারতভ্ৰমণসময়ে, খৃষ্টীয় ষষ্ঠশতাব্দীর শালাদিতা-নামধেয় নরপতির মালবের রাজসিংহাসনে অধিরূঢ় থাকার কথা হিয়ঙ্গের ভ্রমণকাহিনীতে দেখিতে পাওয়া যায় । এই নরপতির পূর্ববর্তী নরপতির নাম বিক্রমাদিত্য বলিয়া লিখিত আছে । কবিকছলণও প্রসঙ্গক্রমে এই উক্তির সমর্থন করিয়া গিয়াছেন। একদ। কিয়ৎকালের জন্ত কাশ্মীর এই বিক্রমাদিত্যের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল ; তজ্জন্ত রাজতরঙ্গিণীতেও তাহার নাম স্থানলাভ করিয়াছে । “তত্রানেক্তস্থ্যজ্জয়িস্তাং শ্ৰীমান, হর্যাপরভিধ: । একচ্ছত্রশচক্রবত্তী বিক্ৰমাদিত্য ইত্যভুৎ ॥ ভূপমদ্ভুতসৌভাগ্যং জীবদ্ধরভসাভজৎ। বিহায় হরিবাহূংশ্চ চতুরঃ সাগরীংশ্চ যম্। লক্ষ্মীং কুত্বোপকরণং গুণে যেন প্রবদ্ধিতে । শ্ৰীমৎস্থ গুণিনেহদ্যাপি তিষ্ঠস্তুদ্ধ রকন্ধরা : শ্লেচ্ছোচ্ছেদায় বসুধাং হরেরবতরিল্যতঃ । শকান বিনষ্ঠ যেনাদে কাৰ্য্যভারে লঘুকুতঃ ॥ g ●|〉さQー〉?* 闘 কবি কহলণের বর্ণনায় জানিতে পারা ষায়, উজ্জয়িনীর অধিপতি বিক্রমাদিত্যের অপর নাম হর্ষ ; তিনি ভারতবর্ষের রাজচক্রবর্তী হইয়াছিলেন ও শকগণকে বিনাশ করিয়া গৌরবলাভ করিয়াছিলেন । তাহার আদেশে মাতৃগুপ্তনামক কবি কিছুদিনের শেষভাগে, জন্ত কাশ্মীরের শাসনকার্য্য পরিচালনা করিয়া, বিক্রমাদিত্যের স্বর্গারোহণের পর সিংহাসন ত্যাগ করিয়া, বারাণসীধামে শেষজীবন অতিবাহিত করেন । এই হর্ষবিক্রমাদিত্যই এক্ষণে নবরত্নসভাধিপতি কালিদাসাদি-প্রতিপালক সুবিখ্যাত রাজচক্ৰবৰ্ত্তী বলিয়া নির্ণীত হইয়াছেন । ডাক্তায় ভাওদাজী মাতৃগুপ্তকে মহাকবি কালিদাস বলিয়া স্থির করিবার আশায় নানা প্রমাণ প্রয়োগের চেষ্টা করিয়াছিলেন। স্বগীয় ডাক্তার রামদাস সেন তাহার মতামুসরণ করিয়া, রাজতরঙ্গিণীর প্রমাণ অবলম্বনে “বঙ্গদর্শন’পত্রের প্রথম খণ্ডে কালিদাসশীর্ষক প্রবন্ধ প্রকটিত করিয়াছিলেন । কিন্তু অধ্যাপক মোক্ষমূলর প্রভৃতি পণ্ডিতবর্গ ডাক্তার ভাওদাজার মত খণ্ডন করায় এস্তলে তাহার পুনরালোচনা অনাবশুক । কবি কহলণ মহাকবি কালিদাসের নামোল্লেখ করেন নাই ; তাহার সহিত কাশ্মীরের যে কিছুমাত্র সংস্রব ছিল, এরূপ কোন আভাসও প্রদান করেন নাই । কুমারসম্ভবের হিলালয়বর্ণনা, মেঘদূতের বিরহবেদনা, রঘুবংশের দিগ্বিজয়ঘোষণা, শকুন্তলার হিমালয়েয় উপত্যকারণ্যের অপূৰ্ব্ব প্রণয়কাহিনী কাশ্মীরের সহিত কবির পরিচয় থাকার প্রমাণস্বরূপ উদ্ধৃত হইলেও, তদ্বারা মাতৃগুপ্তকে কালিদাস বলিয়া স্বীকার করা যায় না। কবি কহলণের গ্রন্থে কালিদাসের পরিচয় না থাকিলেও, ভবভূতির নামোল্লেখ . প্রাপ্ত হওয়া যায়। মহাকবি ভবভূতি আপনাকে দাক্ষিণাত্যনিরাসী বলিয়া পরিচয় প্রদান