পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बर्छ ज१था। ] বলে আনন্দে জাগিয়া প্যারাসেলসাসের আশার ਚੋਲੋਂ দেখিয়া লইতে সমর্থ, তাই তিনি বলিতেছেন, “হা, নিশ্চয় মনে করি।”—তখন প্যারাসেলসাস আনন্দম্বরে বলিয়া উঠিলেন— “ফেষ্টাস, ডুবুরীর সাহসিক অধ্যবসায়ে কি দুইটি মুহূৰ্ত্ত নাই ? একটি—যখন দারিদ্র্যে সে ডুব দিতে যায়, আর-একটি—যখন সে রাজপুত্রের মত মুক্ত লইয়া উঠিয়া পড়ে ?” এইরূপ একটি বিরাট আশার আনন্দেষ্ট প্ৰথমখ গু সমাপ্ত | নয়-বছর পরে দ্বিতীয় অঙ্কে দেখিতে পাঠ, কন্‌ষ্টাণ্টিনোপলে প্যারাসেলসাস এক গ্রীসীয় লৈ বজ্ঞের ভবনে উপস্থিত । কোথায় সেই জলন্ত ললাট ! কোথায় সেই বিদ্যুৎপূর্ণ চক্ষু ! কুহেলীবাম্পের আড়ালে পশ্চিমে স্বর্যা ডুবিয়া যাইতেছে, দূরে নগরের হস্মাচুড়াগুলি কালে হইয়া আদিতেছে—প্যারাসেলসাস দাড়াইয়। অদৃষ্টগণনা করিতেছেন --অতীতের পয্যালোচনা করিতেছেন । এষ্ট নয় বৎসরের অস্থিচূর্ণকারী পরিশ্রমের ফল কি হইল ?মানবজীবনের মূল আরম্ভেও যাহা জান৷ ছিল, আজে। তাই ! এতদিনের পরিশ্রমে প্যারাসেলসাস কয়েকটি ঔষধ আবিষ্কার করিয়াছেন মাত্র ! সেই গৃঢদশী চক্ষুষ্মত্তার এই কি পরিণাম !—আজ প্যারাসেলসাস দৈবজ্ঞের কাছে আপনার অদৃষ্ট জানিতে আসিয়াছেন । দৈবজ্ঞ অদৃষ্টজ্ঞান প্রার্থ কতগুলি লোককে তাহদের পুৰ্ব্বজীবনের সমস্ত সাধনা ও সিদ্ধির বিবরণ লিখিয়া দিতে বলিয়াছে--সে তাহা হইতে তাহাদের প্যারাসেলসাস vGGව ভবিষ্যৎ বলিয়া দিবে। আজ সেই মূঢ় লোক গুলির লেখার পাশ্বে প্যারাসেলসাসের লেখাও দেখা যাইতেছে। প্যারাসেলসাস অাজ বুঝিয়াছেন, “সময় বহিয়া যায়” এ কথার অর্থ কি ? জীবনসম্বন্ধে প্যারাসেল্সাস কি লিখিয়াছেন ? পৃষ্ঠ উন্টাইয়া দেখা গেল, লেখা রহিয়াছে --“সময় বহিয়া যায়, যৌবন চলিয়া যায়, জীবন স্বপ্নমাত্ৰ—কালের এই অবিরাম ধ্বনি। যত লোক জন্মিয়াছে, সবাই এ কথা শুনিয়াছে এবং বলিয়াছে । তবু, ঋতুর পর ঋতু আসে-যায়, মানুষ হাসিয়াথেলিয়া সময় কাটায়—হঠাৎ একট। মুহূৰ্ত্ত আসে, যখন চকিতে কথাটার অর্থ পরিষ্কার হইয়া যায়— এবং সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে চিরকাল তাহার কুঞ্চিত ললাট, তাঙ্কার নিম্প্রভ চক্ষু বলিয়া দিতে থাকে যে, ঐ প্রবাদবাক্যটির অর্থ সত্যসত্যই সে বুঝিয়াছে।”—এইরূপে প্যারাসেলসাস তাহার সাধনা ও সিদ্ধির মোট শিক্ষাটি লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। তাহার জীবনে একটা পরিচ্ছেদ সমাপ্ত হইয়৷ গিয়াছে। কি বাকী আছে, তাহাই তিনি একবার জানিতে চান । এত পরিশ্রম— তাহাও প্রায় বৃথা হইল—ইহার পর তাঙ্কার চিত্ত আজ বিরাম চাহে । “শ্রাস্ত এ জীবনে মোর আমুক নিশীথকাণ” বলিয়। চিত্ত ক্ৰন্দন করিতেছে— 態 “Rest & & & " ، ، ، ، ، ، ، ، « » и this throbbing brow To cease—this beating heart to cease— its crowd Of gnawing thoughts to cease l’o “বিরাম ! বিরাম পেতাম, যদি এ ব্যথিত ললাটের থামিত কম্পন ! থ'মত হৃদয়ঘাত !-—থেমে যেত যদি হৃস্বাক্ষ্মদংশনকারী চিন্তা রাশি মোর !”