পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] জাগরণ । ?) 4 (ع قم বলিবার আছে। সে এই পঞ্চম অঙ্ক । ব্রাউলিং ইহা কোথায় পাইলেন ? অবশু সমস্ত খণ্ডেই ব্রাউনিং মানুষটয় গভীর হৃদয়গুহায় নামিয়াছেন, সন্দেহ নাই ; কিন্তু চতুর্থখও পৰ্য্যন্ত প্যারাসেল্লাসের ষে জীবন,তাহ তাহার প্রাপ্ত ইতিহাস হইতে সহজেই নিষ্কাশিত করিয়া লওয়া যাইতে পারে ; কিন্তু পঞ্চম খণ্ড অর্থাৎ “প্যারাসেলসাসের অভয়লাভ ইতিহাসে আছে কি ? এটুকু ব্রাউনিং জুড়িয়া দিয়াছেন। এইখানেই ব্রাউনিংএর ক্ষমতা !—থও ব্যক্ত হইতে অব্যক্ত সম্পূর্ণতায় দৃষ্টিপ্রসারণেই কবির মাহাত্ম্য। মানবজীবন ক্ষণিক অন্ধকার সত্ত্বেও যে যুক্তি-শৃঙ্খল-সৌন্দর্য্যে পূর্ণ,বিশৃঙ্খল বাহঘটনা বিদীর্ণ করিয়া কবি তাঙ্গই দেখাইয়া দিতে পারেন। প্যারাসেলসাসের সেই দুলক্ষ্য" অথচ নিতান্তই সত্য, জীবনের শেষ অঙ্কখানি, মানবহৃদরের মৰ্ম্মচারী ব্রাউনিং স্বভাবতই জাগাইয়া তুলিয়াছেন । আর্ট-হিসাবে অঙ্কগুলির সম্পূর্ণতাই বা কি চমৎকার! এই কাব্যটির আদ্যোপান্ত অনুধাবন করিয়া মনে হইল, একটি মানবহৃদয়ের, অন্ধকার এবং রত্নজ্যোতি জড়িত একটি গভীর প্রদেশ অতিক্রম করিয়া চলিয়া আসিলাম । সমুদ্রের ধ্বনির ন্যায় সেই গভীর হৃদয়ের ধ্বনি আমার কর্ণে বাজি তেছে । শ্ৰীসতীশচন্দ্র রায় । জাগরণ । চিরদিন আছি আমি তব মুখে চাহি ওগো মম আরাধ্য দেবতা ! কোন ক্ষণে পড়িবে তোমার দৃষ্টি, প্রসন্ন পবন কবে আসি ভরা পালে ল’য়ে যাবে টানি’ বিশ্বের কল্লোলমাঝে জীবনযৌবন। আমি রছি বনান্তের অস্তরালে বসি’ নিরস্তর বহিতেছি অহল্যার মত পাষাণহৃদয় । কোন শুভলগ্নে আসি’ রঞ্জিত কোমল তব পাদপদ্মথানি পরশিবে জড় বক্ষে মোর—আমি উঠি’ সহসা বসিব জাগি’—নব অমুরাগে নেহারিব নবীন মেদিনী।—সমুজ্জল হিরণ:কিরণরাজি পল্লবে, কুসুমে,