প্রাণী ও উদ্ভিদ । সঙ্গীব প্রাণিশরীরের কোন অংশে আঘাত দিলে, আঘাতের প্রকারভেদে তাহার সাড়ার চিত্র সাধারণত তিন প্রকারের হইতে দেখা যায়। একখণ্ড মাংসপেশাতে একটা নির্দিষ্ট কালের শেষে সমবলে পুনঃপুন আঘাত দিতে থাকিলে, সেই আঘাতজনিত পেশার বিকৃতি ও স্ব ভাব প্রাপ্তি রেখাচিত্রে স্পষ্ট অঙ্কিত হইতে থাকে এবং চিত্রের সমদীর্ঘ উদ্ধাধোরেখা মাপিলে, প্রত্যেক আঘাতে যে একই প্রকার দাড়া পাওয়া যাইতেছে, তাহা বেশ বুঝা যায়। কিন্তু এই নিয়মিত আঘাত আরো কিছুকাল চালাইলে মাংসপেশীর সাড়া দিবার ক্ষমতাটা যেন হঠাৎ বাড়িয় উঠে । পাঠক দেখিয়া থাকিবেন, বহুকাল নিশ্চেষ্ট অবস্থার থাকিয়া হঠাৎ কোন কাজে নিযুক্ত হইলে, প্রথমে একটা বিশেষ চেষ্টার অবিখ্যক হয় । আমাদের দেহের অলস অণুগুলিকে সজাগ করাই এই চেষ্টার কাজ । তার পর বহুক্ষণ সেই একই কাজে নিযুক্ত থাকিলে, আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অণুগুলি এরূপ হইয়া দাড়ায় যে, তখন অতি অল্প আয়াসেই তাহারা যথোপযুক্তরূপে সঞ্চালিত হইয়। কাৰ্য্যট। ঘন্ত্রবৎ সম্পন্ন করিতে আরম্ভ করে । কার্য্যের প্রারম্ভে যে চেষ্টার আব শু্যক হয়, মাঝখানে তাহ অপেক্ষা অনেক অল্প আয়াসেই কাজ মুসম্পন্ন হইয়া যায় । মাংসপেশীতে কিছু অধিককাল ধরিয়া নিয় Q মিত আঘাত দিলে, তাহারও অণুসকল ঠিক পূৰ্ব্বোক্তকারণে সজাগ হইয়া বাহিক তাড়ন, য় অধিক পরিমাণে সাড়া দিতে থাকে। এই সাড়ার রেখাচিত্র, প্রথম চিত্র হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন । প্রথম চিত্রের নিয়মিত উত্তেজন-জ্ঞাপক সেই সমদীর্ঘ রেখার পরিবর্তে, কতকগুলি ক্রমদীর্ঘ অসমান রেখা অঙ্কিত হইয়। এক সোপানাকার চিত্রের রচনা করে । উত্তেজনা থাকিলেই পরে অবসাদ আসে । দীর্ঘকাল ধরিয়া (কান একটা কাৰ্য্য করিতে থাকিলে, আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন অবসর হইয় পড়ে, সুদীর্ঘকালব্যাপী পুনঃপুন আঘাতে মাংসপেশাতেও তদ্রুপ ক্লাস্তি আসিয়া উপস্থিত হয় এবং ক্লান্তিবুদ্ধির সহিত সাড়ার মাত্রা ও ক্রমে কাময়৷ যায় । কাজেই এই সাড়ায় যে চিত্র পাওয়া যায়, তাহা একট। ক্রমহ্র সমান সোপানাকারে অঙ্কিত হইয়৷ পড়ে । সম্প্রতি অধ্যাপক বস্ব মহাশয় উদ্ভিদকে ও ঠিক তদনুরূপ অবস্থায় ফেলিয়া তাহার সাড়শক্তির অবিকল সেই প্রকারের প্রমাণ পূাইয়াছেন। একই নির্দিষ্টকালের শেষে উদ্ভিদশরীরে সমান বলে আঘাত কর, উদ্ভিদ সমভাবে সাড়। দিতে থাকিবে এবং চিত্রও সমদীর্ঘ-রেথাময় হইয়া অঙ্কিত হইতে থাকিবে । তার পয় এই নিয়মিত তাড়নাট আরো কিছুকাল চালাও, উদ্ভিদের অণু