পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যা । ] ब्रष्ञभध्ॐ 1 }}\o চিত্তের উপর ছড়াইয়া পড়ে। মালিনী যখন তাইার পুপবিরল বাগানে ফুল খুজিয়া বেলা করিয়া দিতেছে,তখন সেটাকে সপ্রমাণ করিবার জন্য আসরের মধ্যে আস্ত আস্ত গাছ আনিয়া ফেলিবার কি দরকার আছে— এক মালিনীর মধ্যে সমস্ত বাগান আপনি জাগিয়া উঠে। তাই যদি না হইবে, তবে মালিনীরই বা কি গুণ, আর দর্শক গুলোই বা কাঠের মূৰ্ত্তির মত কি করিতে বসিয়া আছে ? শকুন্তলার কবিকে যদি রঙ্গমঞ্চে দৃশুপটের কথা ভাবিতে হষ্টত, তবে তিনি গোড়াতেই মৃগের পশ্চাতে রথ ছোটান বন্ধ করিতেন। অবশ্য, তিনি বড় কবি—রখ বন্ধ হইলেই ষে তাহার কলম বন্ধ হইত, তাহা নহে-কিন্তু আমি বলিতেছি, যেটা তুচ্ছ তাহার জন্য যাহা বড় তাহা কেন নিজেকে কোন অংশে খৰ্ব্ব করিতে যাইবে ? ভাবুকের চিত্তের মধ্যে রঙ্গমঞ্চ আছে, সে রঙ্গমঞ্চে স্থানাভাব নাই। সেখানে বাদুকরের হাতে দৃশুপট আপনি রচিত হইতে থাকে। সেই মঞ্চ, সেই পটই নাট্যকারের লক্ষ্যস্থল, কোন কৃত্রিম মঞ্চ ও কৃত্রিম পট কবিকল্পনার উপযুক্ত হইতে পারে না। অতএব যখন দুষ্যস্ত ও সারথি একই স্থানে স্থির দাড়াইয়া বর্ণনা ও অভিনয়ের দ্বারা রথবেগের আলোচনা করেন, সেখানে দর্শক এই অতি সামান্ত কথাটুকু অনায়াসেই ধরিয়া লন যে, মঞ্চ ছোট, কিন্তু কাব্য ছোট নয় ;—অতএব কাব্যের খাতিরে মঞ্চের এই অনিবাৰ্যক্রটকে প্রসঙ্কচিত্তে তাহার। মার্জন। করেন এবং নিজের চিত্তক্ষেত্রকে সেই ক্ষুদ্রায়তনের মধ্যে প্রসারিত করিয়া দিয়া মঞ্চকেই মহীয়ান করিয়া তোলেন। কিন্তু মঞ্চের থাতিরে কাব্যকে যদি খাট হইতে হইত, তবে ঐ কয়েকটা হতভাগ্য কাঠখণ্ডকে কে মাপ করিতে পারিত ? শকুন্তলা-নাটক বাহিরের চিত্রপটের কোন অপেক্ষ রাখে নাই বলিয়া আপনার চিত্রপটগুলিকে আপনি সৃষ্টি করিয়া লইয়াছে। তাহার কথাশ্ৰম, তাহার স্বর্গপথের মেঘলোক, তাহার মারীচের তপোবনের জন্য সে আর কাহারে উপর কোন বরাত দেয় নাই। সে নিজেকে নিজে সম্পূর্ণ করিয়া তুলিয়াছে। কি চরিত্রস্বজনে, কি স্বভাবচিত্রে, নিজের কাব্যসম্পদের উপরেই তাহার একমাত্র নির্ভর । 驗 আমরা অন্য প্রবন্ধে বলিয়াছি, য়ুরোপীয়ের বাস্তব সত্য নহিলে নয়। কল্পনা বে কেবল তাহাদের চিত্তরঞ্জন করিবে তাঁহা নয়, কাল্পনিককে অবিকল বাস্তবিকের মত করিয়া বালকের মত তাহাদিগকে ভুলাইবে। কেবল কাব্যরসের প্রাণদায়িনী বিশল্যকরণীটুকু হইলে চলিবে না, তাহার সঙ্গে বাস্তবিকতার আস্ত গন্ধমাদনটা পৰ্য্যন্ত চাই। এখন কলিযুগ, সুতরাং গন্ধমাদন টানিয়া আনিতে এঞ্জিনিয়ারিং চাই—তাহার ব্যয়ও সামান্য নহে। বিলাতের ষ্টেজে গুদ্ধমাত্র এই খেলার জন্য যে বাজে খরচ হয়, ভারতবর্ষের কত অভ্ৰভেদী ছুর্ভিক্ষ তাহার মধ্যে তলাইয়া যাইতে পারে। প্রাচ্যদেশের ক্রিয়া-কৰ্ম্ম খেলা-আনন্দ সমস্ত সরল-সহজ। কলাপাতায় আমাদের ভোজ সম্পন্ন হয় বলিয়া ভোজের বাহ