পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সংখ্যা । ] পাত্রির কঙ্কাল। & e? তবুওঁ কিন্তু অনেকেই আদর করিল না— তাহার কারণ আছে, যথা –পরিপূর্ণরূপে উদ্ভাসিত করিয়া দেখাইলেও, স্বপ্নলোকে প্রয়াণ করিবার শক্তি সকলেই রাখে না । অনেক লোকই কশ্মিষ্ঠ সংসারী ব্যক্তি,— কাজকৰ্ম্মের অবসানে দিব্য নিদ্রা দিয়া আরাম লাভ করে। সেই নিদ্রার মধ্যে বিকৃত স্বপ্ন অনিবাৰ্য্যরূপে তাহদের সম্মুখে আসিয়া পড়ে, তাহাতে কোনো সন্দেহ নাই –কিন্তু জাগিয়াও এতটা নিস্ফল স্বপ্ন লইয়া বসিয়া থাকিবার শক্তি অনেকেরই নাই। অথচ যদি রত্যমুসারে সংস্কৃতশব্দের হাতীতে চড়াইয়া, অতি বিকৃত সাজসজ্জাতেও, কতগুলা ক্ষণিক বাহিক রূঢ়দেবভাকে বাহির করিতে পার—তবে ইহার দাড়াইয়া চীৎকারস্বরে বহিব দিবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই । স্বপ্নামোদিগণ এই দলের জন্ত কৃপা রাথিয় অচিরেই আবার সেই বিচিত্র স্বৰ্গ-রসাতল-অভিমুখে পলায়ন করিয়া থাকেন । শ্ৰী সতীশচন্দ্র রায় । পাদ্রির কঙ্কাল । ( ফরাসী লেখক গ্যাত্রিয়েল মার্ক হইতে ) Ş অধ্যাপক আলসিবিয়াড-রেণোকে র্যাহার জানেন, তাহারা সকলেই বলেন, তিনি একজন বাতিকগ্রস্ত বৃদ্ধ। সকলেই এই কথা বলেন বটে, কিন্তু কেন বলেন, জিজ্ঞাসা করিলে কোন যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিতে পারেন না। আমরা যখন কাহাকে ‘ভালমানুষ’ বলি, তখন যেমন ঠিক তার কারণ নির্দেশ করিয়া বলিতে পারি না, "বাতিকগ্রস্ত’শব্দটিও আমরা ঐরূপ অনির্দিষ্টভাবেই প্রয়োগ করিয়া থাকি । কিন্তু এ কথা স্বীকার করিতে হইবে, ঐ শব্দটির দ্বার স্তুে ভাব ব্যক্ত হয়, অন্ত কোন শব্দে ঠিক সে ভাবটি ব্যক্ত করা যায় না। সেই সৰ্ব্বজনসমাদৃত শ্রদ্ধাস্পদ অধ্যাপক অলিসিবিয়াড-রেণে সংসার হইতে অবসর লষ্টয়া সুদূর বিজনে বাস করিতেন। কৃপণ, শঠ, স্বার্থপর সাংসারিক ব্যক্তিদিগের সঙ্গ সযত্নে বর্জন করিয়া তিনি উন্মত্তভাবে অতীন্দ্ৰিয় ভৈষজ্য ও দর্শন শাস্ত্রের গৃঢ়রহস্যআলোচনায় নিমগ্ন থাকিতেন । ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দের ২৫শে অক্টোবর তারিখে তিনি একখানি পুরাতন পুথির অক্ষর-বাচন ও অর্থোদঘাটনে ব্যাপৃত ছিলেন । সেই পুরাতন পুথিথানিতে কতকগুলি অলৌকিক ঘটনার কথা বিবৃত ছিল এবং সেই সম্বন্ধে একজন ধৰ্ম্মিষ্ঠ মঠ-সন্ন্যাসীর টীকাটিপ্পনীও যথেষ্ট ছিল। কতকগুলি মহাপাপীকে ঈশ্বর কিরূপ শারীরিক দও বিধান করিয়াছিলেন ; পাপের শাস্তিস্বরূপ কাহার বাকৃ-৩রাধ