পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Vలి: क्रम-नि । [ ২য় বর্ষ, মাম্ব । পরিপূর্ণভাবে সৰ্ব্বত্র উপলব্ধি করিয়া সকলপ্রকার জটিলতা, সকল প্রকার কল্পনার চাঞ্চল্যকে দূরে নিরাকৃত করিয়া দিয়াছেন। ধৰ্ম্মের বিশুদ্ধ সরলতার এমন বিরাটু, আদর্শ অfর কোথায় আছে ? উপনিষদের এই ব্রহ্ম আমাদের অগম্য, এই কথা নির্বিচারে উচ্চারণ করিয়া ঋষিদের অমর বাণী গুলিকে আমরা যেন আমাদের ব্যবহারের বাহিরে নির্বাসিত করিয়া না রাখি। আকাশ লোষ্ট্রখণ্ডের ন্যায় আমাদের গ্রহণযোগ্য নর বলিয়া অমিয়া আকাশকে দুর্গম বলিতে পারি না । বস্তুত সেই কারণেই তাহা সুগম। যাহা ধারণাযোগ্য, যাহা স্পর্শগম্য, তাছাই অামাদিগকে বাধা দেয়। আমাদের স্বহস্থরচিত ক্ষুদ্র প্রাচীর দুর্গম, কিন্তু অনন্ত আকাশ দুর্গম নছে । প্রাচীরকে লঙ্ঘন করিতে হয়, কিন্তু আকাশকে লভঘন করিবার কোন অর্থ ই নাই। প্রভাতের অরুণালোক স্বর্ণমুষ্টির ন্যায় সঞ্চয়যোগ্য নহে, সেই কারণেই কি অরুণালোককে দুলভ বলিতে হইবে ? বস্তুত একমুষ্টি স্বর্ণই কি দুলভ নহে, আর আকাশপূর্ণ প্রভাতকিরণ কি কাহাকেও ক্রয় করিয়া আনিতে হয় ? প্রভাতের আলোককে মূল্য দিয়া ক্রয় করিবার কল্পনাই মনে আসিতে পারে না—তাহ দুৰ্ম্মল্য নহে, ত্বাহ অমূল্য। উপনিষদের ব্রহ্ম সেইরূপ। তিনি অন্তরে-বাহিরে সর্বত্র—তিনি অন্তরতম, তিনি সুদূরতম। র্তাহার সত্যে আমরা সত্য, उँीशंद्र श्रांनप्न अभिब्रां दाङ ! কো হেৰানাtৎ কঃ প্রাগ্যtৎ যদেষ আকাশ আনন্দে। ন গুtৎ } কেই বা শরীরচেষ্টা করিত, কেই বা জীবিত থাকিত, যদি আকাশে এই আনন্দ না থাকিতেন ! মহাকাশ পূর্ণ করিয়া নিরস্তর সেই আনন্দ বিরাজ করিতেছেন বলিয়াই আমরা প্রতিক্ষণে নিশ্বাস লইতেছি, আমরা প্রতিমুহূর্তে প্রাণধারণ করিতেছি— ‘ এতস্যৈবানন্দস্তান্তনি তুতানি মাত্রামুপজীবস্তি এই মানদের কণামাত্র আনন্দকে অন্যান্য জীবসকল উপভোগ করিতেছে— श्रांमन्नारकाव थविभनि फूडांनि खांब्रह्ख्, एठानिएमान छांडांनि छौषछि, আননাং প্রয়ন্ত্যভিসংবিশস্তিসেই সৰ্ব্বব্যাপী আনন্দ হইতেই এই সমস্ত প্রাণী জন্মিতেছে—সেই সৰ্ব্বব্যাপী আননের দ্বারাই এই সমস্ত প্রাণী জীবিত অাছে— সেই সৰ্ব্বব্যাপী আনন্দের মধ্যেই ইহারা গমন করে, প্রবেশ করে । ঈশ্বরসম্বন্ধে যত কথা আছে, এই কথাই সৰ্ব্বাপেক্ষা সরল, সৰ্ব্বাপেক্ষ সহজ। ব্রহ্মের এই ভাব গ্রহণ করিবার জন্য কিছু কল্পনা করিতে হয় না, কিছু রচনা করিতে হয় না, छूट्द्र बाहेरङ रुद्र न, निनझtभब्र अष्णक्र করিতে হয় না—হৃদয়ের মধ্যে আগ্ৰহ উপস্থিত হইলেই, তাহাকে উপলব্ধি করিবার যথার্থ ইচ্ছা জন্মিলেই, নিশ্বাসের মধ্যে র্তাহায় আনন্দ প্রবাহিত হয়, প্রাণে র্তাহার আনন্দ কম্পিত হয়, বুদ্ধিতে র্তাহার আনন্দ বিকীর্ণ হয়, ভোগে তাছার আনন্দ প্রতিবিম্বিত দেখি । দিনের আলোক যেমন কেবলমাত্র চক্ষু মেলিবার অপেক্ষ রাখে, ব্ৰন্ধের আননা সেইরূপ হৃদয়-উষ্মীলনের অপেক্ষা রাখে মাত্র। -