পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩২ .* दक्रानंलन । t২য় বর্ষ, চৈত্র । যেদিনকার বাছ, সেদিনকার তাহা এমুনি করিয়াই গ্রহণ করিতে হয়। রসের দিনে ভোগ, দাহের দিনে ধৈর্য্য যদি সহজে আশ্রয় করা যায়, তবে সাস্বনার বর্ষাধীরা যখন দশদিক পূর্ণ করিয়া ঝরিতে আরম্ভ করে, তখন ठांश भञ्जाब्र भञ्जांद्र शूब्रांश्रृंब्रि छैोनिब्र गहेবার সামর্থ্য থাকে । কিন্তু এ সব কথা বলিবার অভিপ্রায় অামার ছিল না। লোকে সন্দেহ করিতে পারে, রূপক আশ্রয় করিয়া আমি উপদেশ দিতে বসিয়াছি। সন্দেহ একেবারেই অমুলক বলা যায় না । অভ্যাস খারাপ হইয়া গেছে। ছুটির দিনে অকাজের বেলাতেও কাজের ছাদ আপনি আসিয়া পড়ে। রবিবার দিন ইস্কুল বন্ধ, তবু সেদিন খেলিবার সময়ও পড়া-পড়া খেলি ! এমনি আশ্চৰ্য্য ভাল ছেলে ! - আমি এই বলিতেছিলাম যে, অভিব্যক্তির শেষ কোঠায় আসিয়া পড়াতে মানুষের মধ্যে অনেক ভাগ ঘটিয়াছে। জড়ভাগ, উদ্ভিদভাগ, পশুভাগ, বৰ্ব্বরতাগ, সভ্যভাগ, দেবভাগ ইত্যাদি। এই ভিন্ন ভিন্ন ভাগের একএকটা বিশেষ জন্মঋতু আছে। কোন ঋতুতে কোন তাগ পড়ে, তাহ নির্ণয় করিবীর ভার আমি লইব না। একটা সিদ্ধান্তকে শেষ পর্য্যস্ত মিলাইয়া দিব পণ করিলে বিস্তর মিথ্যা বলিতে হয়—বলিতে রাজি অাছি ; কিন্তু এত পরিশ্রম আজ পারিব না। আজ, পড়িয়া-পড়িয়া, সৃমুখে চাহিয়াচাহিয়৷ যেটুকু সহজে মনে আসিতেছে, সেইটুকুই লিখিতে বলিয়াছি। দীর্ঘ শীতের পর আজ মধ্যাস্তুে প্রান্তয়ের মধ্যে নববসন্ত নিশ্বলিত হইয়া উঠিত্বেই নিজের মধ্যে মনুষ্যজীবনের ভারি একটা অসামঞ্জস্য অনুভব করিতেছি। বিপুলের সহিত, সমগ্রের সহিত তাহার স্বর মিলিতেছে না। শীতকালে আমার উপরে পৃথিবীর যে সমস্ত তাগিদ ছিল, আজও ঠিক সেই সব তাগিদই চলিতেছে। ঋতু বিচিত্র, কিন্তু কাজ সেই একই। মনটাকে ঋতুপরিবর্তনের উপরে জয়ী করিয়া তাহাকে অসাড় করিরা যেন মস্ত একটা কি বাহাদুরী আছে । মন মস্ত লোক—সে কি না পারে । সে দক্ষিণে হাওয়াকেও সম্পূর্ণ অগ্রাহ করিয়া ছন্‌ছন্‌ করিয়া বড়বাজারে ছুটিয়া চলির ৰাইতে পারে ! পারে স্বীকার করিলাম, কিন্তু তাই বলিয়াই কি সেটা তাহাকে করিতেই হইবে । তাহাতে দক্ষিণে বাতাস বাসায় গিয়া মরিয়া থাকিবে না, কিন্তু ক্ষতিটা কাহার হইবে ? এই ত অল্পদিন হইল, আমাদের আমলকী-মউল ও শালের ডাল হইতে খসখস করিয়া কেবলি পাতা খসিয়া পড়িতেছিল— ফাল্গুন দূরাগত পথিকের মত যেমনি দ্বারের কাছে আসিয়া একটা হাফ ছাড়িয়া বলিয়াছে মাত্র, অম্নি আমাদের বনশ্রেণী পাতাখসানর কাজ বন্ধ করিয়া দিয়া একেবারে রাতারাতিই কিসলয় গজাইতে শুরু করিয়া দিয়াছে । আমরা মানুষ, আমাদের সেটি হইবার জো নাই। বাহিরে চারিদিকেই যখন হাওয়া বদল, পাতা বদল, রং বদল. আমরা তখনও গরুর গাড়ির বাহনটার মত পশ্চাতে পুরাতনের ভারাক্রান্ত জের সমানভাবে