পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छांमर्थ्यं সংখ্যা। l সার সত্যের আলোচনা | .لان وج জামরা আলোক দৰ্শন করি; কিন্তু তাহ তে৷ আর বাস্তবিক আলোক নহে। ইহার উত্তর এই যে, ধ্বনি না থাকিলে যেমন প্রতিধ্বনি থাকিতে পারে না, জাগরিতাবস্থা না থাকিলে তেমনি স্বপ্লাবস্থা থাকিতে পারে না। স্বপ্নাবস্থা জাগরিতাবস্থারই প্রতিধ্বনি। ধ্বনি এবং প্রতিধ্বনি উভয়ে যেমন নিরবচ্ছিন্ন কাৰ্য্যকারণস্থত্রে সংগ্রথিত, জাগরির্তীবস্থার আলোকদর্শন এবং স্বপ্লাবস্থার আলোকদর্শন, এ দুইটি ব্যাপার তেমনিই নিরবচ্ছিন্ন কাৰ্য্যকারণস্থত্রে সংগ্রথিত। মনে কর, একজন পাচকের হস্ত হইতে একটা. লোহার হার্তা দৈবক্রমে খসিয়া জলন্ত উনানের ভিতরে পড়িয়া গেল। অগ্নি-সংযোগে হাতা এরূপ উত্তপ্ত হইয়া উঠিল যে, পাচক তাহা তুলিয়া লইতে পারিল না। এরূপ অবস্থায় হাতাটি যে অগ্নির শক্তিপ্রভাবে উত্তপ্ত হইয়াছে— পাচকের এটা দেখা কথা। মনে কর, তাহার পরে, উনানে একঘটি জল ঢালিয়া অগ্নি সমুলে নিৰ্ব্বাণ করিয়া ফ্যালা হইল ; কিন্তু হাতাটা এখনো উত্তপ্ত। অগ্নি যদি-চ এখন নাই, তথাপি পাচককে হাতার উষ্ণতার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে, পাচক বলিবে যে, অগ্নির শক্তিপ্রভাবেই হাতাতে উত্তাপের সঞ্চার হইয়াছে। এ যেমন দেথা গেল, তেমনি, স্বপ্নদর্শকের চক্ষু এখন যদি-চ নিমীলিত, এবং স্বৰ্য্য এখন যদি-চ অস্তমিত, কিন্তু সাত-আট ঘণ্টা পূৰ্ব্বে তাহার চক্ষু উল্মীলিত ছিল এবং সুর্য্য আকাশে দীপ্তি পাইতেছি। আর চক্ষুর সেই উষ্মীলিত অবস্থায় তাহার গোলকের অভ্যন্তরে,স্বৰ্য্যালোক বেরূপ শক্তিসঞ্চার কুরিয়াছে, স্বপ্নের আলোক-দৰ্শন তাহারই অন্যতম প্রভাবমূৰ্ত্তি। "ইহার প্রমাণ যদি জিজ্ঞাস কর, তবে তাহা স্পষ্টই পড়িয়া আছে ;—তাহ এই যে, স্বপ্ন-দর্শকের আলোক-দৰ্শন যখন তাহার নিজের ইচ্ছাধীন নহে, তখন তাহাতেই প্রমাণ হইতেছে যে, কোনে-না-কোনো বহির্বস্তুর শক্তিপ্রভাবেই তাহ সংঘটিত হইতেছে। বলিলাম, “কুর্য্যের শক্তিপ্রভাবে স্বপ্রদর্শক আলোক দৰ্শন করিতেছে","তাহ না বলিয়া বলিতে পারিতাম যে, চক্ষুরিঞ্জিয়ের তৈজস-তত্ত্বর ( Nerveএর ) শক্তিপ্রভাবে স্বপ্নদর্শক আলোক দর্শন করিতেছে ; দুই কথা একই কথা ;—“নেপোলিয়নের সৈন্ত যুদ্ধ জয় করিয়াছে” ব্ললাও যা, আর, “নেপোলিয়ন যুদ্ধ জয় করিয়াছেন” বলাও তা— একই কথা। মরুভূমির বালুকীর উত্তাপ এবং স্বৰ্য্যের উত্তাপ, একই বস্তু। স্বৰ্য্যালোকের প্রভাব যদি চাক্ষুষ তৈজস-তন্তুতে কোনোকালেই সংক্রামিত না হইত, তাহা হইলে স্বপ্নেও সুর্য্যালোকের দর্শনলাভ সম্ভাবনীয় হইত না । অতএব এটা স্থির যে, ইন্দ্রিয়ক্ষেত্রে আমরা (১) বহির্বস্তুর শক্তির প্রভাব, (২) তাহারই সত্তার প্রাদুর্ভাব এবং (৩) আমাদের নিজের স্বাধীনতার অভাব, তিনই একসঙ্গে অনুভব করি । আমাদের গোড়া’র কথাটি এতক্ষণে সপ্রমাণ হইল ; সে কথা এই যে, “আমরা দুই ক্ষেত্রে আপনার দুইপ্রকার বিপরীত ভাব দেখিতে,পাই –বুদ্ধিক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেখিতে পাই—ইক্রিয়ক্ষেত্রে পরাধীনতা দেখিতে পাই ।” অতঃপর দেখিতে হইবে এই যে, বুদ্ধি