পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०२ তাহাকে নষ্ট করিবার বেলা ঈশ্বরকে নিজের দলভুক্ত করিতে কুষ্ঠিত হয় না। যুরোপের শ্রেষ্ঠতা নিজেকে জাহির করা এবং বজায় রাখাকেই চরম কর্তব্য বলিয়া জানে। অন্তকে রক্ষা করা যদি তাহার সঙ্গে সম্পূর্ণ খাপ খাইয়া যায়, তবেই অন্তের পক্ষে বাচোয়, যে অংশে লেশমাত্র থাপ, না থাইবে, সে অংশে দয়ামায়া-বাচবিচার নাই। হাতের কাছে ইহার যে দুইএকটা প্রমাণ আছে, তাহারই উল্লেখ করিতেছি । বাঙালি যে একদিন এমন জাহাজ তৈরি করিতে পারিত, বাহ দেখিয়া ইংরেজ ঈর্ষা অনুভব করিয়াছে, আজ বাঙালির ছেলে তাহ স্বপ্নেও জানে না। ইংরেজ যে কেমন করিয়া এই জাহাজনিন্মাণের বিদ্যা বিশেষ চেষ্টায় বাংলাদেশ হইতে বিলুপ্ত করিয়া দিয়াছে, তাহ; শ্ৰীযুক্ত সখারাম গণেশ দেউস্কর মহাশয়ের “দেশের কথা” নামক বইথানি পড়িলে সকলে জানিতে পরিবেন। একটা জাতিকে, যেকোনো দিকেই হোক, একেবারে অক্ষম পঙ্গু করিয়া দিতে এই সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতাবাদী কোনো সঙ্কোচ অনুভব করে নাই।. ইংরেজ আজ সমস্ত ভারতবর্ধকে বলপূৰ্ব্বক নিরস্ত্র করিয়া দিয়াছে, অথচ ইহার নিদারুণতা তাহারা অস্তরের মধ্যে একবার অনুভব করে নাই। ভারতবর্ষ একটি ছোট দেশ নহে, একটি মহাদেশবিশেষ । এই বৃহৎ দেশের সমস্ত অধিবাসীকে চিরদিনের জন্য পুরুষানুক্রমে অস্ত্ৰধারণে অনভ্যস্ত, আত্মরক্ষায় অসমর্থ করিয়া তোলা যে কত-বড় অধৰ্ম্ম, যাহার এককালে মৃত্যুভয়হীন বীরজাতি ছিল, তাছাদিগকে সামান্ত একটা হিংশ্রপশুর নিকট दक्रम*न । [ ৫ম বর্ষ, অশ্বিন: শঙ্কিত নিরুপায় করিয়া রাখা যে কিরূপ * বীভৎস অন্যায়, সে চিন্তা ইহাদিগকে কিছুমাত্র পীড়া দেয় না। ঐখানে ধর্শের দোহাই একেবারেই নিফল—কারণ জগতে অ্যাংলোস্যাক্সন জাতির মাহাত্ম্যকে বিস্তৃত ও স্বরক্ষিত করাই ইহারা চরম ধৰ্ম্ম জানে, সেঞ্জল্প ভারতবাসীকে যদি অস্ত্রত্যাগ করিয়া এষ্ট পৃথিবীতলে চিরদিনের মত নিৰ্জ্জীব নিঃসহায় পৌরুষবিহীন হইতে হয়, তবে সে পক্ষে তাছাদের কোনো দরামায়া নাই । অ্যাংলোস্যাক্সন যে শক্তিকে সকলের চেয়ে পুঞ্জ করে, ভারতবর্ষ হইতে সেই শক্তিকে প্রত্যহ সে অপহরণ করিয়া এদেশকে উত্তরোশুর নিজের কাছে অধিকতর হেয় করিয় তুলিতেছে, আমাদিগকে ভীরু বলিয়া অৰঞ্জ করিতেছে—অথচ একবার চিন্তা করিয়া দেখে না, এই ভীরুতাকে জন্ম দিয়া তাঙ্কাদের দলবদ্ধ ভীরুতা পশ্চাতে দাড়াইল্প আছে । . অতএব অনেকদিন হষ্টতে ইহা দেখ স্বাক্টতেছে যে, আংলোল্যাক্সন-মহিমাকে সম্পূণ নিরুপদ্রব করিবার পক্ষে দূরতম ব্যাঘাতটি যদি আমাদের দেশের পক্ষে মহত্তম ট্র",লী বস্তুও হয়, তবে তাহকে দলিয়া সমভূম করিয় দিতে ইহfরা বিচারমাত্র করে না । এই সত্যটি ক্রমে ক্রমে ভিতরে ভিতরে আমাদের কাছেও স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে বলিয়াই আজ গৰমেন্টের প্রত্যেক নড়াচড়া আমাদের হৃৎকম্প উপস্থিত হইতেছে, তাহার • মুখের কথা যতই আশ্বাস দিতেছেন, আমা" সন্দেহ ততই বাড়িয়া উঠিতেছে । किड़ आमांtनग्न भएच अडूङ बो*** যে, আমাদের সন্দেহেরও জন্ত নাই, অশি"ি