পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳե উপমাচ্ছলে বলিয়াছি যে, বাস্তবিক সত্তা দক্ষিণ হস্ত, প্রাতিভাসিক সত্তা বাম হস্ত এবং বুদ্ধির খেলা করতালি-প্রদান। স্বপ্নের অৰ্দ্ধাঙ্গ-হীন শরীরে একাকী কেবল বাম হস্তই কাৰ্য্য করে—প্রাতিভাসিক সত্তাই কাৰ্য্য করে-—কাজেই তালি বাজে না অর্থাৎ বুদ্ধি খেলে না। স্বপ্লাবস্থায় সিরাজুদৌলার আমলের মৃত ব্যক্তি জীবিতের অভিনয় করিয়া দর্শকের চক্ষের সম্মুখ দিয়া অনায়াসে পায় পাইয়া যায় ; দশক ভুলক্রমেও একবার আপনার মনকে জিজ্ঞাসা করে না যে, এ যাহা দেখিতেছি, ইহা বাস্তবিক কি অবাস্তবিক । অতএব পূৰ্ব্বে যে কথা বলিয়াছি, তাহাই ঠিক ; সে কথা এই যে, স্বপ্ন-কালে বুদ্ধির খেলা যত কিছু দেখিতে পাওয়া যায়, তাহ খেলা-মাত্র, অভিনয়-মাত্র ; –একপ্রকার ছায়াবাজি ; তা বই, তাহ প্রকৃত প্রস্তাবে বুদ্ধির খেলা নহে। তবেই হইতেছে যে, বুদ্ধি জাগ্ৰং কালের বিজ্ঞান-রাজ্যেরই অধিপতি । স্বপ্নকালের মনোরাজ্যের অধিপতি মন । অতঃপর জিজ্ঞাস্য এই যে, স্বযুপ্তিকালের নিস্তব্ধতা-রাজ্যের * অধিপতি কে ? ইহার উত্তর এই যে, প্রাণ স্বযুপ্তি-কালের নিস্তব্ধতা-রাজ্যে কাৰ্য্য নিম্পন্ন হইতে দেখা যায় দুইটি মাত্র ; কি-দুইটি ? না, প্রাণক্রিয়ার ব্যতিক্রম-সংশোধন এবং শরীরের স্বাস্থ্যসাধন । অতঃপর দ্রষ্টব্য এই যে, স্বপ্ন-কালের বঙ্গদর্শন । [ श्रांधिम । নকল-বুদ্ধি-ক্রিয়াতে যেমন জাগ্রৎকালের আসল-বুদ্ধি-ক্রিয়ার প্রতিভাস বা ছায়া বা গন্ধ সংসত্ত থাকে, স্বযুপ্তি-কালের প্রাণক্রিয়াতে তেমনি মন:ক্রিয়া এবং বুদ্ধি-ক্রিয়া, দুয়েরই ছায়া সংক্রামিত হয় । সুষুপ্তি-কালের প্রাণ-ক্রিয়াতে মনের ছায়া পড়া'তে সুপ্ত ব্যক্তির নিদ্রা-মুখের উপভোগ হয় ; আর, সেই নিদ্রা-মুখের উপরে বুদ্ধির ছায়া পড়া’তে স্বষুপ্ত ব্যক্তির জ্ঞানে নিদ্রাসুখের অনুভব হয়। যাহাই হউক না কেন, স্বযুপ্তিকালের জ্ঞান জাগ্ৰংকালের বুদ্ধির ন্যায় জাগ্ৰত জীবন্ত জ্ঞান নহে, ইহা দেখিতেই পা ওয়া যাইতেছে । সে জ্ঞান তবে কিরূপ জ্ঞান ? সে জ্ঞান যে কিরূপ জ্ঞান, তাহ। বলিতেছি—শ্রবণ কর ;– এরূপ ঘটনা কিছুই বিচিত্র নহে যে, একজন কবি গড়ের মাঠের তরুতলে বসিয়া কবিতা-রচন।-কার্য্যে এরূপ তন্মম-ভাবে লিপ্ত রহিয়াছেন এবং স্বরচিত-কবি তা-রসমাধুর্য্যে এরূপ প্রগাঢ় নিমগ্ন রহিয়াছেন যে, তাহার সম্মুখ দিয়া একদল সিপাহী-সৈন্ত রণবাদ্য করিতে করিতে চলিয়া গেল - তাহা তিনি জানিতেও পারিলেন না। এরূপ অবস্থায়, কবির জ্ঞান কবিতা-রচনাকাৰ্য্যে ভরপুর নিমগ্ন থাকাতে আর কোনো দিকেই যে তাহার ক্ৰক্ষেপ নাই, তাহ। বুঝিতেই পারা যাইতেছে । কবিতা-রচনাকালে কবির জ্ঞান যেমন অনন্ত-মানসে সেই কার্য্যেই নিমগ্ন থাকে-অথবা যেমন SSSBBBSBBB DD DD DBBBB S BBBBS BBBBSBBBBS BgD DD DD S DAAAA শব্দের মুখ্য অর্থ স্থৈৰ্য্য অথবা প্রশাস্তি ।