পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম-সংখ্যা । ] এখন তাঁহাই ক্ষুদ্র গোলকগর্ভে আবদ্ধ হইয়া পড়ায়, বায়ুয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুসকল নিশ্চয়ই ঘনসন্নিবিষ্ট হইয়া পড়িবে । সুতরাং দেখা যাইতেছে, বায়বীয় পদার্থের পরস্পর দূরবিচ্ছিন্ন অণুসকলকে পূৰ্ব্বোক্ত প্রক্রিয়। দ্বারা বেশ সহজে ঘনসন্নিবিষ্ট কর। যাইতে পারে । এতদ্ব্যতীত বায়বীয় পদার্থের অণু ঘনসন্নিবিষ্ট করিবার আর একটা উপায় আছে । পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে, আবদ্ধ বায়ুতে পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে চাপ না দিয়া, তাহাকে কেবলমাত্র শীতল করিলেও, ঠিক চাপ-প্রয়োগের অনুরূপ ফল পাওয়া যায় । কতিপয় বায়ুবীয় পদার্থ কেবল চাপপ্রয়োগেই তারল্য প্রাপ্ত হয় । কি স্তু অক্সিজেন, হাইড্রোজেন প্রভৃতি বায়ু যুগপৎ শৈত্য ও চাপ প্রয়োগ নী ं न ! করিলে তরল ফলে প্রত্যেক বায়ুবীয় পদা র্থেরই একটা নির্দিষ্ট উষ্ণতার সীমা আছে । যতক্ষণ,সেই বায়ু সেই সীমার উদ্ধে উষ্ণ থাকে, ততক্ষণ, যতই চাপ প্রয়োগ কর, উতা তরল হুইবে না । শৈ তা প্রয়োগে উষ্ণতা ক্রমশ কমাইয়; সেই সীমার নিম্নে লইয়। যাও ; পরে চাপ প্রয়োগ করিলে উহার তারলা জন্মিবে । প্রাচীন ও আধুনিক পণ্ডিতগণ পুরোক্তপ্রকায়ে চাপ ও শৈত্য প্রয়োগদ্বার। অনেকগুলি বায়বীয় পদার্থ তরলীভূত করিয়াছেন, অধ্যাপক ডি ওয়ার-(Dewar)-সাহেব ও ঠিক্‌ ঐ প্রথায় একই কালে চাপ ও শৈত্য প্রয়োগ করিয়া বায়ু তরল করিয়াছেন। একজন পণ্ডিতের ক্ষুদ্রজীবনব্যাপিনী ****iग्र ५कै पड़ टेपञ्जानिक जाविकांब्र তরল -बांधू । \లిeసి সাধনের কথা অসম্ভব না হইলেও, জগতে তাহা বড়ই দুলভ । গত একশত বৎসর হইতে নানাদেশীয়-পণ্ডিতগণ-কর্তৃক বায়বীয় পদার্থ তরলীভূত করিবার যে আয়োজন হইয়া আসিতেছিল, অধ্যাপক ডিওয়ার পুৰ্ব্বপণ্ডিতগণের সংগৃহীত তথ্য অবলম্বন করিয়া, তাহাদেরই সজ্জিত পরীক্ষাগারে কিছুদিন গবেষণা করিয়া, বায়ু তরলীভূত করিয়াছেন মাত্র । শতাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে ফ্যারাডের ষ্ঠায় জগদ্বিখ্যাত পণ্ডিত ডাল্টনও বায়ু তরল করা সম্ভবপর বলিয়া অনুমান করিয়াছিলেন, এবং কেবল চাপ ও শৈত্য প্রয়োগে যে বায়বীয় পদার্থমাত্রই তরলীভূত হইতে পারে, এ কথাও তিনি স্পষ্ট বলিয়াছিলেন, কিন্তু সহজে অধিক চাপ ও শৈত্য প্রয়োগের কৌশল তখন জানা না থাকায়, তাহার উক্তির সত্যতা সেই সময়ে সম্পূর্ণ বুঝা योंध्र नांशे । - ১৮২৩ খৃষ্টাব্দে তাৎকালিক ইংরাজ বিজ্ঞানবিদগণের নেতা আচার্য্য ফ্যারাডে, ডাল্টনের নিৰ্দ্দিষ্ট প্রথায় ক্লোরিন বাষ্প তরল করিয়া, জড়বিজ্ঞানের এই অংশবিশেষের দিকে সৰ্ব্বপ্রথমে বিজ্ঞানবিদূগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ; কিন্তু তৎকালে বিষয়টার গুরুত্ব কেহই ভাল বুঝিতে পারেন নাই,--তজন্ত তা’র পর বহুকাল পণ্ডিতগণের নিকট হইতে সে সম্বন্ধে কোনও নুতন সংবাদ পাওয়া যায় নাই। শেষে ১৮৪৪ অফে অধ্যাপক থাইলোরিয়ার (Thilorier) অঙ্গারক বাষ্প তরল করিয়া পরে তাহাকে কঠিনাকারে পরিণত করিয়াছেন শুনিয়া, বৃদ্ধ আচাৰ্য্য ফ্যারাডে-প্রমুখ পণ্ডিতগণ