পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন। মহেঞ্জ স্থির করিল, নিজেকে ধরা না দিয়া বিনোদিনীর মন কোন অবকাশে আর একবার ফিরাইতেই হইবে । মহেন্দ্র অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতেই দেখিল, বিনোদিনী পথের মধ্যেই যেন কাঙ্গার জন্য উৎকণ্ঠিত হইয়া প্রতীক্ষা করিতেছে । আমনি মহেঞ্জের মনে চকিতের মধ্যে বিদ্বেস জলিয়া. উঠিল । কহিল, “ওগো, মিথা দাড়াইয়া আছে, দেখ; পাইrব ন। ! এই তোমার চিঠি ফিরিয়া অভ্যাসয়াছে !” বলিয়। চিঠিপান ফেলিয়া দিল । বিনোদি -ii কছিল, “খোল ধে ?” মহেন্দ্র তাহার জবাব ন! দয়’ই চলিয়। গেল । বিহারী fচঠি খুলিয়া পড়িয়া কোন উত্তর না দিয়া চিঠি ফেল্প" পাঠাষ্টয়াছে, j রিয়া 3 g ..., দর্দশ করিতে লাগিল । যে দরো য়ান চিঠি লইয়। গিয়ুঠিল, ৩iহাকে ডাকিযু পঠাইল ; সে অষ্ট কঙ্গে অনুপস্থিত ছিল, তাহাকে পী ৪য় গেল ন! ! প্রদীপের মুখ হইঠে যেমন জ্বলন্ত তৈলধিন্দু ক্ষীরপ্পা পড়ে, কক্ক শয়ন কক্ষের মধেf মেত্র হইতে তেমনি হৃদয়ের :েল অ*'জলৈ গলিয়া পড়িতে লাগিল । নিজের চিঠিখন fছড়িয়া ছিড়িয় কুটিকুটি করিয়া কিছুতেই তাহার সাশ্বন হইল না সেই দুই চারি*াইন কালীর দাগকে অতীত হইতে, বৰ্ত্তমান হইতে, একেবারেই মুছিয়া ফেলিবার, একেবারেই না করিয়৷ দ্বিবার, ক্লোন উপায় নাই কেন ? ক্রুদ্ধ মধুকরী যাহাকে সম্মুখে পায়, তাহাকেই দংশন করে, ক্ষুব্ধ বিনোদিনী তেমনি তাহার চারিদিকের সমস্ত সংসার বনোদ মীর দীপ্ত টাকে জ্বালাইবার জন্য প্রস্তুত হুইল । সে যাহা চায়, তাহাতেই বাধা ? কোন কিছুতেই কি সে কৃতকাৰ্য্য হইতে পরিবে না ? সুখ যদি না পাইল, তবে যাহারা তাহার সকল সুথের অন্তরায়, যাহারা তাহাকে কৃতাৰ্থত হইতে ভ্রষ্ট, সমস্ত সম্ভবপর সম্পদ হইতে বঞ্চিত করিয়াছে, তাহাদিগকে পরাস্ত-পুলিলুষ্ঠিত করিলেই, তাহার ব্যর্থজীবনের কৰ্ম্ম সমাধা হইবে । ( २ ¢ ? সেদিন নুতম ফাল্গুনে গুপম বসন্তের হাওয়া অনেকদিন পরে সন্ধ্যার আরস্থে ছাদে মাদুর পাতিয়া বসিয়াছে । একখানি মাসিক কাগজ লইয়ু; খগুশ প্রকাশিত একটা গল্প খুব মনোযোগ দিয়া সেই অল্প আলোকে পড়িতেছিল । গল্পের নাত্বক তখন সংবৎসর পরে পূজার ছুটিতে বাড়া অ{{সবার সময় ডাকাতের হান্তে পড়িয়াছে, শীর হৃদয় উদ্বেগে কাপিতেfছল ; এfদকে সেই বিপদের স্বপ্ন দেথিয় কাদিয়া জাগিধা উঠি

  • {{ তই ভাশ;

হত ভাগিনী নায়িক ঠিক সময়েই . সুt:& ! আiশ চোৰ্থেব জল অfর মাখিতে পারে না : আশ বাংলা গল্পের অত্যন্ত উদার সমালোচক ছিল । যাহা পড়িত, তাহাই মনে হইত চমৎকার। বিনোfদনীকে ডাকিয়া বলিত, “ভাই চোর্থের বালি, মাথা খাও, এ গল্পট পড়িয়া দেখ! এমন সুন্দর ! পড়িয়া আর কাদিয়া বাচি ন; ” বিনোদিনী ভাল-মন বিচার করিয়া আশার উচ্ছ্বসিত উৎসাহে বড় আঘাত করিত !