পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరి(S বঙ্গদর্শন । [ অগ্রহায়ণ। নবাববর্গের চিত্রপট ও বঙ্গভূমির মানচিত্র ংযুক্ত হইয়া গ্রন্থগৌরব সবিশেষ বৰ্দ্ধিত করিয়াছে। • এখন আর মোগল-পাঠান বাঙালীর “ক্রীড়াপটেও” বিরাজ করে না ! যাহার একদা তরবারিহস্তে অধিকার-বিস্তার-কামনায় এ উহার কণ্ঠশোণিত পান করিবার জন্ত বাঙ্গালার বহু যুদ্ধক্ষেত্রে উন্মত্তবৎ ধাবিত হুইত, তাহাদের বংশধরগণ এখন শান্ত, সুধীর, সুশীল বালকের দ্যায় একক্ষেত্রে হলচালনা করিতে করিতে একত্রে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলাইয়া গ্রাম্যসঙ্গীত গান করিতেছে। ঝটিকার পর শাস্তির দ্যায় বিপ্লবের পর বিশ্রাম আসিয়া নবযুগের অবতারণা করিয়াছে। এখন ধীরভাবে ভালমন্দের বিচার করিয়া ইতিহাস লিখিতে বসিলে, প্রতিকুল সমালোচনার জন্ত, অসহিষ্ণু রাজরোষ আর বিনা বিচারে সহসা কণ্ঠরোধ করিবার আশঙ্কা নাই ! এখন মোগল-পাঠান বাঙালীর স্মৃতিপট হইতে অপস্থত হইয়া গিয়াছে ; বর্গার হাঙ্গামা, মগ-ফিরিঙ্গীর অত্যাচার, দম্বাদলের উৎপীড়ন, উপকথার অঙ্গীভূত হইয়াছে। এখন ষাঙ্গালার ইতিহাসের এই অংশ উপন্যাসের ন্যায় কৌতুহলপূর্ণ,— উপন্যাসের দ্যায় বহু বিস্ময়ের আকর! কিন্তু এতকাল পরেও এই অংশের আলোচনা করিবার সময়ে, বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় যেন স্থানে স্থানে নিতান্ত সসঙ্কোচে লেখনীচালনা করিরাছেন ! নবাবী আমলের ইতিহাস লিখিত হইয়াছে –কিন্তু নবাবী আমল তিরোহিত হইল কেন, তাহার সমালোচনা করা গ্রন্থের মূল উদ্দেগু হইলেও, তাহ সৰ্ব্বতোভাবে সুরক্ষিত হয় নাই । বলিতে বলিতে অনেক কথাই অৰ্দ্ধোত্ত রহিয়া গিয়াছে। অতিরিক্ত বৃত্তান্তভারে ভারাক্রান্ত হইয়া, লেখকের মূলস্বত্ৰ যেন কোথায় সহসা হস্তচু্যত হইয়া পড়িয়াছে ! বৃত্তান্তসমষ্টির নাম ইতিহাস নহে,— তাহা ইতিহাসের উপাদানমাত্র । সেই উপাদান অবলম্বন করিয়া কার্যা-কারণশৃঙ্খলার বিশদব্যাখ্যায় ঘটনাবলীর মৰ্ম্মোদঘাটন করাই ইতিহাসের কার্য্য । নবাবী আমলের ইতিহাসের আদ্যোপাস্ত তদনুসারে লিখিত হইলে ভাল হই ত ;–শেষের দিকে ক্রমেই যেন ঘটনাবিবৃতি প্রাধান্তলাভ করিয়াছে। বিশেষজ্ঞ ভিন্ন, এত অধিক ঘটনাবিবৃতি পাঠ করিয়া তাহ হইতে সারোদ্ধার করিয় রসবোধ করা সাধারণ পাঠকের অধ্যবসায়ে কুলাইয়া উঠিবার সম্ভাবন। অল্প । তথাপি র্যাহার। আদ্য স্ত পাঠ করিতে পারিবেন, তাহার। নিশ্চয়ই বহু-জ্ঞাতব্য-তথ্য-লাভে শ্রম সফল জ্ঞান করিবেন। বাঙ্গালার ইতিহাস লোকশিক্ষার উপাদানে পরিপূর্ণ। কত অল্পব্যয়ে সংসার চালাইয়া সভ্যসমাজ সৎকীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিতে পারে,—কত অল্প সেনাবলে দেশ সুরক্ষিত ও দেশ বিজিত হইতে পারে,— কত তুচ্ছ কারণে দেশের লোকে দেশের ভালমনো উদাসীন হইয়া স্বার্থসিদ্ধির প্রলোভনে অকার্য্যসাধনে অগ্রসর হইতে *ां८द्र,-कङ स्रब्रदT८ग्न स९जांभांछ भैংযোগে বহুমল্য কারুকার্য্যখচিত বিচিত্র