পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88o বঙ্গদশন । { পৌষ। দ্বিতীয়ত আসতের প্রতিযোগে সতের, এবং সতের প্রতিযোগে অসতের যে প্রকাশ, তাহারই নাম চিৎ বা জ্ঞান ; কাজেই বলিতে হইতেছে যে, চিৎ প্রতিযোগ প্রধান। কেহ বলিতে পারেন যে, ছায়ার উপলব্ধি আলোকের প্রতিযোগিতাসাপেক্ষ, এ কথা স্বীকার করি; কিন্তু আলোকের উপলব্ধিও যে ছায়ার প্রতিযোগিতাসাপেক্ষ, তাহা কে বলিল ? একটা ঘর যখন দীপালোকে আলোকিত হয়, তখন ছায়ার প্রতিযোগিত। তাহার মধ্যে কোথায় ? ইহার উত্তর এই যে, একটা ঘর যখন দীপালোকে আলোকিত হয়, তখন সেই আলোকের প্রত্যেক ছেদ স্থানেই ছায়া নিপতিত হয় ; কোথাও বা ঘনচ্ছায়া নিপতিত হয়, কোথাও বা অৰ্দ্ধ ছায় নিপতিত হয় ; ত৷ ছাড়া ঘরের মধ্যে দীপৃলোক অপেক্ষা মলিন বর্ণের বস্তু মৃত কিছু আছে, যেমন আবলুষ কাঠ, সবুজ কাপড় ইত্যাদি, তাহা ও ছায়ারই সামিল। ফল কথা এই যে, আমাদের চক্ষের সম্মুখে যদি কেবলমাত্র এক রঙ। আলোক নিত্যনিয়ত বৰ্ত্তমান থাকিত, আর তাহার কোনো হানে যদি কোনো প্রকার রঞ্জন বা অঞ্জনের সংস্পর্শ না থাকিত, তাহ। হইলে হইত এই যে, আমরা যেমন শতমন বায়ুর ভার মস্তকের উপরে অষ্টপ্রহর বহন করিয়া ও তাহার সরিষা-ভোর ও উপলব্ধি করি না, তেমনি আমাদের চক্ষুর উপয়ে অষ্টপ্রহর আলোকের বর্ষণ হইলে ও আমরা তাহার কণামাত্রও উপলব্ধি করিতে পারিতাম না । যেখানেই আমরা স্বৰ্য্যাতপ বা চন্দ্ৰাতপ দেখি, সেইখানেই তাহার আশে পাশে, ছেদ-স্থানে এবং সীমাপ্রদেশে ছায়া বা বর্ণমালিন্য সংলগ্ন দেখি, আর সেই ছায়া বা বর্ণমালিন্য সংলগ্ন দেখি বলিয়া তাহারই প্রতিযোগে স্বর্য্যাতপ বা চন্দ্ৰাতপ দেখিতে পাই—নচেৎ দেখিতে পাইতাম না । অতএব এটা সুনিশ্চিত যে, ছায়ার প্রতিযোগেই আলোকের প্রকাশ সম্ভবে ; অসতের প্রতিযোগেই সতের প্রকাশ সম্ভবে ; আর সতের সেই যে প্রকাশ, তাহারি নাম চিৎ বা জ্ঞান। এইরূপ দেখা যাইতেছে যে, সৎ: শান্তিপ্রধান, চিৎ প্রতিযোগ-প্রধান । অতঃপর দ্রষ্টব্য এই যে, আনন্দ সংযোগ-প্রধান । একদিকে সতের প্রশাস্তি এবং অচল-প্রতিষ্ঠা, আর-এক দিকে চিতের উৎক্রান্তি এবং প্রকাশ, এই দুয়ের ঐকতানিক সংযোগই আনন্দের উৎস। গোড়া'র ত্রিকের ভিতরে রূপকতালের তরঙ্গ লীলা, এ যেমন দেখিতে পাওয়া গেল —.শষের ত্রিকের ভিতরে উকি দিয়া দেখিলে অবিকল তাহাই দেখিতে প্লাওয়া যায় । শেষের ত্রিক হ’চ্চে–(১) প্রাণ, (২) মন, (৩) বুদ্ধি । কল-প্রধান শতাব্দীর, ( Mechanical age ag) of কথায়কলিযুগের— প্রধান একজন তত্ত্ববিশারদ পণ্ডিত ( আর কেহ নহেন—স্পেন্সর । প্রাণের সংজ্ঞা-নিৰ্ব্বাচন করিতে গিয়া বিভ্রান্তির তরঙ্গকল্পোলে হাবুডুবু খাষ্টয়াছেন! হাবুডুবু থাইবারই কথা। প্রাণকে বুদ্ধি এবং মন হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেখিতে शिबाrझ्न-कारक हे शबूष्ट्रकू थाहेबाइन ।