পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদর্শন । مb { বৈশাখ। হিন্দুজাতির একনিষ্ঠতা | “হে সকল ঈশ্বরের পরম ঈশ্বর, তপোবন তরুচ্ছায়ে মেঘমন্দ্র স্বর ঘোষণা করিয়াছিল সবার উপরে অগ্নিতে, জলেতে, এই বিশ্ব চরাচরে, বনস্পতি ওষধিতে এক দেবতার অথণ্ড অক্ষয় ঐক্য ! সে বাক্য উদার এই ভারতেরি । যারা সবল স্বাধীন নির্ভয় সরল প্রাণ বন্ধনবিহীন, সদৰ্পে ফিরিয়াছেন বীর্যাজ্যোতিষ্মান লজিযয় অরণ্য নদী পৰ্ব্বত পাষাণ র্তারা এক মহান বিপুল সত্যপথে তোমারে লভিয়াছেন নিখিল জগতে, কোনগানে না মানিয়া আত্মার নিষেধ সবলে সমস্ত বিশ্ব করেছেন ভেদ !” করতল চট্‌চষ্টাধ্বনি মুখরিত সভাগৃহে হিন্দুজাতির মহিমা, সময়ে অসময়ে, পরিকীৰ্ত্তিত হইয়া থাকে। চাটুবাদলে লুপ বাগ্মিগণ“আমরা হিন্দু”, “আমরা আর্য্য”, “আমরা শ্রেষ্ঠ” এবঞ্জাতীয়ক গৌরববচনমধু শ্রোতৃ বর্গের কর্ণকুহরে ঢালিয়া দেন। কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, হিন্দুর হিন্দুত্ব, আৰ্য্যদিগের গৌরব কোন ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত, কোন মস্ত্রে পরিয়ক্ষিত, তাহ হইলে কেবল একট। বাঙ নিম্পত্তিবিহীন মস্তককণ্ডুয়নস্বচনা झूठे श्ब्र मॉग्न । কোন বিষয় বলিতে গেলে, দুই প্রকারে বলা যায়। “নেতি” “নেতি”, हेश নয়, উহ নয়, তাহ নয়, ইহাকে বলে বস্তুর নঞ ংজ্ঞক পরিচয় । আবার বস্তুটি এইরূপ, ওইরূপ, ইহাকে বলে স্বরূপপরিচয় । হিন্দুর হিন্দুত্ব কোন ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয়, তাহাই অগ্রে বলা যাউক । হিন্দুর হিন্দুত্ব কোন ধৰ্ম্মমতের অপেক্ষা করে না। সাংখাদর্শন বেদান্তের দ্বারা শ্রীতিবিরুদ্ধ বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে । তত্ৰাচ সাংখ্য-প্রণেতা একজন পূজনীয় হিন্দু ঋষি । বৈষ্ণব-চূড়ামণি রামায়ুজ যেদান্তের অদ্বৈতবাদী অাচtধ্যদিগকে মায়াবাদী ও প্রচ্ছন্নবৌদ্ধ বা নাস্তিক বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। এখনও দাক্ষিণাত্যে কোন বৈষ্ণব শিবমন্দিরের ছায়াম্পর্শ এবং শৈবদিগের সহিত অfহারাদি করেন না। মাধবাচার্য্য