পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wo)e মরে,—অবশেষে প্রতিভার বিকাশে যখন সে নিজের মুরটি ঠিক ধরিতে পারে তখনই সে অমর হয়। তখনই সে স্বকীয় কাব্যধ্রুপদে তার নিজেরও লাভ অন্ত সকলেরও লাভ । আমরা যতদিন ইংরাজের নকলে সব কাজ করিতে যাইব ততদিন এমন কিছু হইবে না যtহাতে আমাদের সুখ আছে যা ইংরাজের লাভ আছে যখন নিজের মত হইব, স্বাভাবিক হইব তখন ইংরাজের কাছ हल्लेण्ऊ यांश नईद उiश नूडन रुब्रिग्न ইংরাজকে ফিরাইয়া দিতে পারিব । সে দিন নিঃসন্দেহই আসিবে। আসিবে বে তাহার শুভ লক্ষণ এই দেখিতেছি আমাদের পোলিটিকাল আন্দোলনের নেশা অনেকটা ছুটিয়া গেছে—এখন আমরা স্বাধীন চেষ্টায় স্বাধীন সন্ধানে আমাদের ইতিহাস বিজ্ঞান দর্শন আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি । আমাদের ধৰ্ম্ম আমাদের সমাজের প্রতিও দৃষ্টি পড়িয়াছে। ত্রিবেদী মহাশয় বলিয়াছেন, অস্বাভাবিকতাই আমাদের ব্যাধি। অর্থাৎ ইংরাজিশিক্ষাকে আমরা প্রকৃতিগত করিতে পারি নাই সেই শিক্ষাই আমাদের প্রকৃতিকে আচ্ছন্ন করিতেছে—সেই জন্তই বিলাতী সভ্যতায় বাহভাগ লইয়া আছি তাহার মূল মহত্বকে আয়ত্ত করিতে পারি নাই । কিন্তু তিনি আর একটা কথা বলেন নাই। কেবল ইংরাজি সভ্যতা নহে, আমাদের দেশীয় সভ্যতা সম্বন্ধেও আমরা অস্বাভাবিক। আমরা তাহার বাহিক ক্ষণিক অংশ লইয়া যে আড়ম্বর করিতেছি তাহ আমাদের পক্ষে ব্যাধি ও প্রতীকার স্বাভাবিক নহে, স্বাভাবিক হইতেই পারে না। কারণ মজুর সময়ে যাহা সাময়িক আমাদের সময়ে তাহা অসাময়িক, মচুর সময়ে যাহা চিরন্তন আমাদের সময়েও তাছ! চিরন্তন । এই যে নিত্যানিত্য কালাকাল বিবেক ইহাই আমাদের হয় নাই। কেবল সেই জন্যই ইংরাজের কাছ হইতে আমরা ভালরূপ আদায় করিতে পারিতেছি না, ভারতবর্ষের কাছ হইতেও পারিতেছি না । কিন্তু আমার এ কথার মধ্যে অত্যুক্তি আছে । কালের সমস্ত ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চক্ষে পড়ে না । যে শক্তি কাজ করিতেছে তাহা অলক্ষ্যে সমাজ গড়িয়া তোলে বলিয়া তাহাকে প্রতিদিন দেখিতে পাওয়া যায় না । বিশ পঞ্চাশ বৎসরে ভাগ করিয়া দেখিলে তবেই তাহার কাঞ্জের পরিচয় পাওয়া খায় । আমরা যখন হতাশের অtক্ষেপ গাহিতেছি তখনো সে বিন জবাবদিহীতে কাজ করিয়া যাইতেছে। আমরা পরশিক্ষাবলেই পরশিক্ষা পাশ হইতে নিজেকে কিরূপে ধীরে ধীরে এক এক পাক করিয়া মুক্ত করিতেছি তাহ। পঞ্চাশ বৎসর পরবর্তী বঙ্গদর্শনের সম্পাদক অনেকটা পরিষ্কার করিয়া দেখিতে পাইবেন । তখনো যে সমস্তটা সম্পদকের সম্পূর্ণ মনোমত হইবে তাঁহা নহুে—কারণ, সংসারে হতাশের অাক্ষেপ অমর—কিন্তু ত্রিবেদী মহাশয়ের পুস্তিকার সহিত মিলাইয়া স্বসময়ের আলোচনা করিলে তিনি অনেকটা পরিমাণে সাত্বন পাইবেন এ কথা ঠাহীর পূর্ববর্তী সম্পাদক জোর করিয়া বলিতে পারেন ।