পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা প্রাচীন গদ্য-সাহিত্য । S}6. আমরা অনায়াসে প্রচার করিতে পারি। এই পুস্তকখানি ঠিক বাঙ্গালীর নিজ ধরণে রচিত হইয়াছে, ইঙ্গার উপাথ্যানবস্তু এত সরস ও কৌতুকাবহ যে ইহা আরম্ভ করিলে শেষ পর্য্যন্ত না পড়িয়া থাকা যায় না । ইহাতে ইংরেজশক্তির অভু্যদর সম্বন্ধে অনেকগুলি মূল্যবান ও গৃঢ় ক্ষত্র প্রকাশিত হইয়াছে । কৃষ্ণচন্দ্র মহারাজার পূর্বপুরুষগণের কীৰ্ত্তি, সিরাজউদল্লীর যৌবনকালের উদ্ভূখলচরিত্র, ইংরেজদেগের সঙ্গে নানাবিষয় লষ্টয় বিলীদের সূত্রপাত, পলাশীর যদ্ধ, সিরাজউদ্দলার শোচনীয় মৃতু্য প্রভৃতি বহু বিষয় অতি সুন্দর সরল ভাষায় বর্ণিত হইয়fছ । অtশ্চ োর বিষয় এই যে লেখক মহাশয় ইংরেজ দিগের প্রতি অশেষ ভাবে অন্তরাগের লক্ষণ প্রকাশ করিয়া ও অন্ধকূপহত্যার বিবরণটি ব'দ দিয়াছেন। এই প্রাচীন গদ্য পুস্তকখানি হষ্টতে আমরা নিয়ে একটা অংশ উদ্ধৃত করেলাম ; –“পরে টঙ্গ রাজের যাবদীয় সৈন্য পলাশীর বাগানে উপনীত হইয়া সমর আরম্ভ কfরল । নবাবি সৈন্থ সকল দেগিল ষে প্রধান ২ সৈন্সের মনোযোগ করিয়া যুদ্ধ করে না এবং ইঙ্গরাজের অগ্নি বৃষ্টিতে শত ২ লোক প্রাণত্যাগ করিতেছে কি করিব ইহাতে কেহ উষ্মাক্রমে যুদ্ধ করিয়া প্রাণত্যাগ করিতেছে । যুদ্ধ ভাল হইতেছে না ইহা দেখিয়া নবাবের চাকর মোহনদাস নামে একজন সে নবাব সাহেবকে কহিলেক আপনি কি করেন আপনার চাকরের পরামর্শ করিয়া মহাশরীক নষ্ট করিজে বসিয়ামছ । নবাব কহিলেন সে কেমন। মোহনদাস কহিল সেনাপতি মিরজাফরালি খান ইঙ্গরাজের সঙ্গে প্রনয় করিয়। রণ করিতেছে না অতএব নিবেদন আমাকে কিছু সৈন্ত দিয়া পলাশীর বাগানে পাঠান আমি যাইর যুদ্ধ করি আপনি বাকি সৈন্ত লইয়া সাবধানে থাকিবেন পূৰ্ব্বের দ্বারে যথেষ্ঠ লোক রাখিবেন এবং এইক্ষণে কোন বাক্তিকে বিশ্বাস করি বেন না । নবাব মোহনদাসের বfক্য শ্রবণ করিয়া ভয়যুক্ত হইয়। সাবধানে থাকিয়া মোহনদাসকে পচিশ হাজার সৈন্ত দিয়া অনেক আশ্বাস করিয়া পলাশিতে প্রেরিত করিলেন । মোহনদাস উপস্থিত হইয়া অত্যন্ত যুদ্ধ করিতে প্ৰবৰ্ত্ত হইল । মোহনদাসের যুদ্ধেতে ইঙ্গরাজ সৈন্ত শঙ্কান্বিত হইল । মীরজাফরালি খান দেখিলেন এ কৰ্ম্ম ভাল হইল ন। যদ্যপি মোহনদাস ইঙ্গরাজকে পরাভব করে আর এ নবাব থাকে তবে আমাদিগের সকলেরি প্রাণ যাইবেক অতএব মোহনদাসকে নিবারণ করিতে হইয়াছে । ইহাই বিবেচনা করিয়া নবাবের দূত করিয়া একজন লোককে পাঠাইলেন সে মোহনদাসকে কহিল আপনাকে নবাবসাহেব ডাকিতেছেন শীঘ্ৰ চলুন। মোহনদাস কহিল আমি রণ ত্যাগ করিয়া কি প্রকারে যাইব নবাবের দূত কহিল আপনি রাজtঞ্জ মানেন না । মোহনদাস বিবেচনা করিল এসকল চাতুরী এ সময় নবাব সাহেব আমাকে কেন ডাকিযেন,ইহা অন্তঃকরণে করিয়া দূতের শিরচ্ছেদন করিয়া পুনরায় সময় করিতে লাগিল। মীরজাফরালিথান বিবেচনা কয়িল বুঝি প্রমাদ ঘটিল পরে আত্মীয় একজনকে জাজ্ঞা করিল তুমি ইঙ্গ