পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় বৈশ্ববর্ণের উৎপত্তি ও বৃত্তি-নির্ণয় যে সময়ে বৈদিক আৰ্য্যগণের পূৰ্ব্বপুরুষগণ স্বমেরুশৃঙ্গে বাস করিতেছিলেন, তৎকালে উহাদের মধ্যে কোন প্রকার ইতর-বিশেষ ছিল না, সকলেই দেবভাবাপন্ন ছিলেন, তাহদের সেই সময়ের অবস্থাই সত্যযুগ বলিয়া পুরাণে কল্পিত হইয়াছে। সেই সময়ের অবস্থা লক্ষ্য করিয়াই মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন লিখিয়াছেন,—‘বর্ণের কোন ইতর-বিশেষ নাই, এই জগৎ সমস্তই ব্রাহ্ম যা ব্ৰহ্মার সন্তান ।”১ পরে আর্য্যসস্তানগণ সুমেরু হইতে অবতরণপূর্বক হিমাচল ভেদ করিয়া যখন ভারতপ্রান্তে উপনীত হইলেন, রত্নপ্রসূ শস্তশ্বামলা ভারতের অতুল ঐশ্বৰ্য্যে বিমুগ্ধ হইয় তাহদের মধ্যে র্যাহার তৎকালে কামভোগপ্রিয়, অনাৰ্য্যদিগের প্রতি ক্ৰোধপরায়ণ ও তাহাদের ধনরাশি অধিকারে অতি কঠোর এবং সৎসাহসে উদ্ধৃপ্ত হইয়াছিলেন, তাহারাই আৰ্য্যসমাজ মধ্যে ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিচিত হইলেন।’ং এই সময়ই পুরাণে ত্রেতাযুগ বলিয়া পরিকল্পিত। এই সময়েই ভারতবর্ষে যজ্ঞধৰ্ম্ম প্রবৰ্ত্তিত হয়। যজ্ঞসাধনের জন্য দক্ষিণ, গার্হপত্য ও আহবনীয় এই অগ্নিত্রয়ের আবশ্যক। যে সময়ে ভারতবষে যজ্ঞসাধক এই অগ্নিত্রয়ের বহুল বিস্তার হইয়। ছিল, সেই সময়ই ত্রেত বা যাজ্ঞিকযুগ বলিয়া প্রসিদ্ধ। এই যুগেই যাজিকগণের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয় ; বেদসংহিতাসমূহে ঋষিপ্রত্যাদিষ্ট ভাষায় এই যুগের সমুজ্জ্বল চিত্র অতি পরিস্ফুট হইয়াছে। এই সময়ে যাজিক আৰ্যসমাজ হইতেই ঋত্বিকৃগণের পরিপোষ্টা আৰ্য্যবীরগণের অভু্যদয়। জাৰ্য্যবীরগণ হইতেই (8) “ন বিশেষোস্তি বর্ণনাং সৰ্ব্বং ব্রাঙ্গমিদং জগৎ।” শান্তিপৰ্ব্ব ১৮৯ অঃ। (R) "ব্রহ্মণ পূর্বস্থঠং ছি কৰ্ম্মভিবর্ণতাং গত । কামভোগপ্রিয়াস্তীক্ষাঃ ক্রোধনাঃ প্রিন্থসাসাঃ । ত্যক্ত স্বধৰ্ম্মান রক্তাঙ্গাস্তে দ্বিজা; ক্ষমতাং গতাঃ।”