শূদ্রৈব ভার্য্যা শূদ্রস্য সা চ স্বা চ বিশঃ স্মৃতে।
তে চ স্ব। চৈব রাজ্ঞঃ স্যুস্তাশ্চ স্বা চাগ্রজন্মনঃ॥৩
এই দুই মনুবচনের অর্থ ও তাৎপর্য্য কি, পরিসংখ্যা কাহাকে বলে, এবং মনুবচন পরিসংখ্যাবিধির প্রকৃত স্থল কি না, এই তিন বিষয় তর্ক- বাচস্পতিপ্রকরণের প্রথম পরিচ্ছেদে সবিস্তর আলোচিত হইয়াছে। পরিসংখ্যাবিধি দ্বারা কি প্রকারে রাগপ্রাপ্তস্থলে সবার বিবাহ- নিষেধ ও অসবর্ণার বিবাহবিধান প্রতিপন্ন হয়, ঐ প্রকরণে দৃষ্টিপাত করিলে, অনায়াসে অবগত হইতে পারিবেন (৪)।[১] ন্যায়রত্ন মহাশয় লিখিয়াছেন, “এই স্থলে পরিসংখ্যা করিয়া যে কি প্রকারে সবর্ণার কামতঃ বিবাহ নিষেধ এবং অসবর্ণার কর্ত্তব্য প্রতিপাদন করিয়াছেন তাহা অস্মদাদির বুদ্ধিগম্য নহে”। এ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, তিনি পরিসংখ্যাবিধির যেরূপ তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তদ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে, পরিসংখ্যা কাহাকে বলে, তাঁহার সে বোধ নাই। সুতরাং, যদৃচ্ছাস্থলে পরিসংখ্যা দ্বারা কি প্রকারে সবর্ণা- বিবাহের নিষেধ ও অসবর্ণবিবাহের কর্তব্য প্রতিপন্ন হয়, তাহা বুদ্ধিগম্য হওয়া সম্ভব নহে। সেই তাৎপর্য্য ব্যাখ্যা এই; “পঞ্চনখ ভোজন করিবে এই স্থলে পরিসংখ্যা দ্বারা ইহাই প্রতিপন্ন হইয়াছে যে, পঞ্চনখের ইতর রাগপ্রাপ্ত কুকুরাদি ভক্ষণ করিবে না ইহাতে পঞ্চনখির মধ্যে কাহারও নিষেধ বুঝায় না"। শাস্ত্রের মীমাংসায় প্রবৃত্ত হইয়া, পরিসংখ্যাবিধিবিষয়ে ঈদৃশ অনভিজ্ঞতাপ্রদর্শন অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয়। পরিসংখ্যাবিধির লক্ষণ এই,
স্ববিষয়াদন্যত্র প্রবৃত্তিবিরোধী বিধিঃ পরিসংখ্যাবিধিঃ(৫)।[২]
যে বিধি দ্বারা বিহিত বিষয়ের অতিরিক্তস্থলে নিষেধ সিদ্ধ হয়, তাহাকে পরিসংখ্যাবিধি বলে।