২১৪ পরিশিষ্ট প্রবৃত্তি প্রবল ও উৎকৃষ্ট প্রবৃত্তি দুর্বল হইয়া সংসারের যে অশেব প্রকার অনিষ্ট ঘটনা হইতেছে, ঙাহারাই ইছার নিদানভূত, তাহার সন্দেহ নাই। জগদীশ্বর অামাদের নিমিত্তে নানাবিধ মুখছা সাম এীতে ভূমণ্ডল পরিপূর্ণ করিয়া রাখিয়াছেন। তিনি অশেষ প্রকার ফল, মূল, শস্যের বীজ সৃজন করিয়া ছেন, ভূমিকেও এ প্রকার উৎপাদিকা শক্তি প্রদান করিয়াছেন যে এক গুণ বীজ বপন করিলে ভূরি গুণ। উৎপন্ন হয়, এবং আমাদিগকেও এরূপ বুদ্ধিবৃত্তি ও শারীরিক শসুি-সম্পন্ন করিয়াছেন, যে আমরা কিঞ্চিৎ পরিশ্রম স্বীকার করিলেই প্রচর ভক্ষ্য প্রস্তুত করিতে পারি। উত্তমরূপ শরীর রক্ষন ও পুষ্টি বর্ধনাৰ্থে যে সকল পদার্থ আবশ্যক, ফল, মূল, শষ্ঠে তাহা যথেষ্ট আছে। এই সমস্ত সুলভ সামগ্ৰী সত্ত্বেও, অময়।। প্রাণি সংহার করিয়া সিংহ, ব্যাস্তুদি হিংস্র জন্তু মধ্যে কেন গণিত হুই ? দয়া, শ্বেহ প্রভৃতি যে সকল প্রধান বৃত্তি থাকাতে, মনুষ্যনামের এঃ গৌরব হই য়াছে, যে কৰ্ম্ম দ্বারা তৎসমুদায় নিস্তেজ হয় এবং নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি উত্তেজিত ও বর্ধিত হয়, তাহার অনু- ষ্ঠান করিয়া কি নিমিত্ত পশুর সাদৃশ্য প্রাপ্ত হই ? পরম কাৰুণিক পরমেশ্বর আযাদিগকে যে (প্রকার প্রকৃতি প্রদান করিয়াছেন, তদুপযোগী। অশেষ প্রকার শষ্ঠ, ফলাদি সৃজন করিয়া রাখিয়াছেন । অতএব, তাহার প্রদত্ত এই সমস্ত মুরস সামগ্রী লাভে পরিতুষ্ট না হইয়া হিংস্র জড়বং আস্থা
