পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৭০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্যই হবে, কেননা তুমি কখন মিথ্যা কথা বলে না।” এর থেকেই দেখা যাচ্ছে যে বর্তমান মহাভারতকে কাব্য বলা যায় কি না, সে বিষয়ে স্বয়ং ব্ৰহ্মারও সন্দেহ ছিল। কিন্তু তিনি যে ও-গ্ৰন্থকে অবশেষে কাব্য বলতে স্বীকৃত হয়েছিলেন, vs. kriisi kiviv tarstit keskJ ve Encyclopaedia এবং এই দুই বন্ত একই গ্রন্থের অন্তর্ভূত হলেও মিলে মিশে একদম একাকার হয়ে যায় নি এবং মোটামুটি হিসেবে, উভয়েই চিরকাল নিজ নিজ স্বাতন্ত্রা রক্ষা করে আসছে। মহাভারতের যে অংশ আমাদের মত অবিষান লোকরা পড়ে এবং উপভোগ করে সেই অংশ তার কাব্যাংশ, আর যে অংশ বিজ্ঞান লোকেরা কষ্ট ভোগ করে। পৰ্য্যালোচনা 夺乙可, সেই অংশই তার Encyclopaedia- vot DLS BD S DS S TLT DBB BBL LLGLY নেই। মহাভারতের এই যুগল রূপের প্রহেলিকাই হচ্ছে ইউরোপীয় পাণ্ডিত্যের শান্তিভঙ্গের মূল কারণ। এ হেঁয়ালির যা হোক একটা হেস্তনেস্ত না করতে পারলে পণ্ডিতমণ্ডলী তাদের পণ্ডিতী মনের শান্তি ফিরে পাবেন না । এর জন্য তারা সকলে মিলে পাণ্ডিত্যের দাবাখেল খেলতে সুরু করেছেন। এ খেলায় সকলেই সকলকে মাৎ করতে চান। আমি সে খেলার দর্শক হিসেবে দু’টি একটি উপর 5īš 5 s Gve ši vēst খেলোয়াড়দের উপর। একটু চোখ চেয়ে দেখলেই দেখতে পাবেন, যে পণ্ডিতের দল ভারতবর্ষের অতীতকে প্ৰায় GRANIM VI fêRII i crr (qraq Philology-, fisTRP Numismatics-q, Art-Archeology-3 অন্তর্ভূত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ একাধারে বিজ্ঞানের ও ইংরাজির। এ অবস্থায় মহাভারত যাতে বাঙলা সাহিত্যের হাতছাড়া না হয়ে যায়, সে চেষ্টা আমাদের করা আবশ্যক। তার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিচারের হক্টগোলে যোগ দেওয়া । হেঁয়ালি সম্বন্ধে বাঙলায় একটা কথা আছে যে,- মুখেতে বুঝিতে পারে। পণ্ডিতের লাগে। ধন্ধ। । , <මුණේ [ কার্তিক এই প্ৰবচনের উপর ভরসা রেখে এ হেঁয়ালির উত্তর দিতে চেষ্টা করছি। বলা বাহুল্য যে কাব্য ও Encyclopaedia এক বৃন্তের शाँ कृष्ण नम्र । कांबा भाश्रयव्र अखब्र शाऊ आविष्ट्रउ श्ब्र আর Encyclopaedia বাহির থেকে সংগৃহীত। সুতরাং এ উভয়েই যে একস্থানে ও এক সঙ্গে জন্মলাভ করেছে এ কথা অবিশ্বাস্ত । সুতরাং আমাদের ধরে নিতেই হবে যে, এ দুই পৃথক বস্তু, গোড়ায় পৃথক ছিল। পরে কালবশে জড়িয়ে গিয়েছে। তার পর প্রশ্ন ওঠে। এই যে, কাব্যের গায়ে Encyclopaedia vs title, at, Encyclopaediaঅন্তরে কাব্য কোন ফাঁকে দুকে গেছে ? এখন এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভয়ে দেওয়া যেতে পারে। বিশ্ব অবশ্য কাব্যের পুর্বে সৃষ্ট হয়েছে কিন্তু বিশ্বকোষ। কাব্যের অনেক পরে নিৰ্ম্মিত হয়েছে। এ গ্রন্থের কথার বয়স ওর বক্তৃতার বয়সের চাইতে ঢের বেশি। অর্থাৎ ও-গ্রন্থের সার ওর ভারের চাইতে অনেক প্রাচীন। আর ভাগ্যিস ও-সারটুকু তার উপর চাপানো ভারের ভরে মারা যায় নি, তাই ওকাব্য আজও বজায় আছে। ও-গ্রন্থের কাব্যাংশ অর্থাৎ সারাংশ যদি, বিশ্বকোষের চাপে পিষে যেত তাহলে মহাভারত হত অর্ধেক বৃহৎ-সংহিতা আর অদ্ধেক বৃহৎ-কথা, • অর্থাৎ তা সকলের পাঠ্য হত না, পাঠ্য হ’ত একদিকে বুদ্ধের, অপরদিকে বালকের। এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে পণ্ডিতমণ্ডলী প্ৰায় একমত। তারা নানা শান্ত্র ঘেটে এই সত্য আবিষ্কার করেছেন যে, মূলে এ কাব্যের নাম ছিল ভারত তার পরে তার নাম হয়েছে মহাভারত। এ সত্য উদ্ধারের জন্যে আমার বিশ্বাস নানা শাস্ত্ৰ অনুসন্ধান করবার প্রয়োজন ছিল না। বর্তমান মহাভারতেই ও-দুটি নামই পাওয়া যায়। আর ভারত যে মহাভারত হয়ে উঠেছে, তার মহত্ব ও গুরুত্বের গুণে অর্থাৎ তার পরিমাণ ও ওজনের জন্যে এ কথা আদিপর্কেই লেখা আছে।