পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৮৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જ્ય૭81 জাভাযাত্রী পত্ৰ VOVe) ब्रौवनांच कांबूद्ध গোলমাল বা নোংরামি বা অব্যবস্থা নেই। উৎসবের অন্তনিহিত সুন্দর ঐক্যবন্ধনেই সমস্ত ভিড়ের লোককে আপনিই সংযত ক’রে বেঁধেচে। সমস্ত ব্যাপারটি এত বৃহৎ এত বিচিত্র আর আমাদের পক্ষে এত অপূর্ব বে। এর বিস্তারিত বর্ণনা করা অসম্ভব। হিন্দু অনুষ্ঠানবিধির সঙ্গে এদেশের লোকের চিত্তবৃত্তির মিল হ’য়ে এই যে সৃষ্টি, এর রূপের প্রাচুৰ্য্যটিই বিশেষ ক’রে দেখবার ও ভাববার জিনিষ। অপরিমিত উপকরণের দ্বারা নিজেকে অশেষভাবে প্ৰকাশ করবার চেষ্টা, সেই প্ৰকাশ কেবলমাত্র বস্তুকে পূজিত ক’রে নয়, তাকে নানা নিপুণ রীতিতে সাজিত ক’রে । জাপানের সঙ্গে এখানকার প্রাকৃতিক অবস্থার মিল আছে। জাপানের মতোই এখানে দ্বীপটি আয়তনে ছোটো, অথচ এখানে প্ৰকৃতির রূপটি বিচিত্র, এবং তার DBDuBSDD S suu SDBDD DDBB SS BB S BBD SzDBDB কারণা নদী প্ৰান্তর অরণ্য অগ্নিগিরি সরোবর। অথচ দেশটি চলা ফেরার পক্ষে সুগম, নদী-পৰ্ব্বতের পরিমাণ ছোটাে, প্ৰজাসংখ্যা বেশি, ভূমির পরিমাণ কম, এই জন্যে কৃষির উৎকর্ষ দ্বারা চাষের যোগ্য সমস্ত জমি সম্পূর্ণরূপে এরা চ”যে ফেলেচে, ক্ষেতে ক্ষেতে পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে জল সেচ দেবার ব্যাপক ব্যবস্থা এদেশে দীর্ঘকাল থেকে প্ৰচলিত। এখানে দারিদ্র্য নেই, রোগ নেই, জলবায়ু সুখকর। দেবদেবীবহুল, কাহিনীবহুল, অনুষ্ঠানবহুল BDDD DDBBB gBDDB LBDDDBD BB DBDMSYS সেই প্ৰকৃতি এখানকার শিল্পকলায়, সামাজিক অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য ও প্রাচুৰ্য্যের প্রবর্তন করেছে। জাপানের সঙ্গে এর মন্ত একটা তফাৎ। জাপান শীতের দেশ, জাভা বালী গরমের দেশ। জাপান অন্য শীতের দেশের লোকের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে আপনাকে রক্ষণ করতে পারলে, জাভা বালী তা পারে নি। আত্মরক্ষার জন্যে যে দৃঢ়নিষ্ঠ অধ্যবসায় দরকার। এদের তা ছিল না। of fieri ei eriş çağa VEVNIsffR Pflavs করে, তেমনি তাড়াতাড়ি ক্ষয় করতে থাকে। মুহুর্তে মুহুর্তে শক্তিকে সে শিখিল করে, জীবনের অধ্যবসায়কে ক্লান্ত ক’রে দেয়। বাটাভিয়া সহরটি যে এমন নিখুৎ ভাবে পরিপাট পরিচ্ছন্ন তার কারণ, শীতের দেশের মানুষ এর ভার নিয়োচে ; তাদের শীতের দেশের দেহে শক্তি অনেককাল থেকে বংশানুক্রমে অস্থিতে মজাতে পেশীতে জাদুতে পঞ্জীভূত, তাই তাদের অক্লান্ত মন সর্বত্র ও প্ৰতিমুহুর্তে আপনাকে প্রয়োগ করতে পারে। আমরা কেবলি বলি, बत्थछे श्वप्, फूवि७ वमन, 5'ण बांटव। यज्ञ चिनिवों কেবল হৃদয়ের জিনিষ নয়, শক্তির জিনিষ। অনুরোগের আগুনকে জালিয়ে রাখতে শক্তির প্রাচুর্ঘ্য চাই। শক্তিসঞ্চয় যেখানে অল্প সেখানে আপনিই বৈরাগ্য এসে পড়ে। বৈরাগ্য নিজের উপর থেকে সমস্ত দাবী কমিয়ে দেয়। বাইরের অসুবিধা, অস্বাস্থ্য, অব্যবস্থা সমস্তই মেনে নেয়। নিজেকে ভোলাবার জন্যে বলতে চেষ্টা করে যে, ও-গুলো সহ করার মধ্যে যেন মহত্ব আছে । যার শক্তি অজস্র সে সমস্ত দাবী মেনে নিতে আনন্দ পায়, এই জন্তেই সে জোরের সঙ্গে বেঁচে থাকে, ধবংসের কাছে সহজে ধরা দিতে চায় না । যুরোপে গেলে সব চেয়ে আমার চােখে পড়ে মানুষের এই সদা-জাগ্ৰত যত্ন। যাকে বলি বিজ্ঞান, সায়ান্স, তার প্ৰধান লক্ষণ হচে জ্ঞানের জন্যে অপরাজিত যত্ন । কোথাও আন্দাজ খাটবে না, খেয়ালকে মানবে না, বলবে না। ধ’রে নেওয়া যাক, বলবে না। সর্বজ্ঞ ঋষি এই কথা ব’লে গেছেন। জ্ঞানের ক্ষেত্রে, নীতির ক্ষেত্রে যখন আত্মশক্তির ক্লান্তি আসে তখন বৈরাগ্য দেখা দেয় ; সেই বৈরাগ্যের অযত্নের ক্ষেত্রেই ঋষিবাক্য, বেদবাক্য, গুরুবাক্য, মহাত্মাদের অনুশাসন আগাছার জঙ্গলের মত জেগে ওঠে, নিত্যপ্ৰৱাসীসাধ্য জনসাধনার পথ রুদ্ধ করে ফেলে। বৈরাগ্যের অষয়ে দিনে দিনে চারদিকে যে প্ৰভূত আবর্জনায় অবরোধ জ”মে ওঠে তাতেই মানুষের পরাভব ঘটায়। বৈরাগ্যের দেশে শিল্পকলাতেও মানুষ অন্ধ পুনরাবৃত্তির প্রদক্ষিণ পথে চলে, এগোয় না, কেবলি ঘোরে। মাত্রাজের শ্রেষ্ঠ ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে, হাজার বছর আগে বে-মন্দির তৈরি হয়েছে ঠিক তারি নকল কক্সবার জন্যে। তার বেশি তার সাহস নেই, ক্লান্ত মনের শক্তি নেই, পাৰীিয় অসাত্ব ডানা খাচার বাইয়ে নিজেকে মেলে দিতে আনন্দ পায় না ।