পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫২
বিদ্যাসাগর।

তাঁহাকে এসম্বন্ধে যথেষ্ট পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। তিনি কোন বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলেন,—“যদি এ কার্য্যে সিদ্ধিলাভ না করিতে পারি, তাহা হইলে এ ছার পদ পরিত্যাগ করিব।” সৌভাগ্য বলিতে হইবে, তাহার প্রস্তাব কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত হয়। কর্তৃপক্ষের ঘাহা মনোগত, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রস্তাব তাঁহাদের মনোনীত না হইবে কেন? ইহার পর কায়স্থেতর বর্ণও সংস্কৃত কলেজে সাহিত্য, কাবা, অলঙ্কার, স্মৃতি ও দর্শন শাস্ত্র পড়িবার অধিকার প্রাপ্ত হয়।

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সময় ব্রাহ্মণ, বৈদ্য বা শূদ্র—যে কোন বর্ণের ছাত্র কলেজে ভর্ত্তি হইয়াছিল, তাহার নিকট হইতে বেতন লইবার ব্যবস্থা হয়। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠা হইতে আর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রিন্সিপাল হইবার পূর্ব্বকাল পর্য্যন্ত বেতনের ব্যবস্থা আদৌ ছিল না। গবর্ণমেণ্ট বিনা বেতনে ছাত্রদিগকে পড়াইবার ব্যবস্থা করেন। সেই গবর্ণমেণ্টই শেষে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শানুসারে বেতনের ব্যবস্থা করেন। সংস্কৃত

    “যখন বৈদ্য কলেজে পড়িতে পারে, তখন কায়স্ত পড়িবে না কেন? বৈশ্য শূদ্র জাতি। আর যখন শোভাবাজাবের ৺রাধাকান্ত দেবের জামাতা হিন্দু স্কুলের ছাত্র-অমৃতলাল মিত্র সংস্কৃত কলেজে পড়িবার অধিকার পাইয়াছে, তথন অন্যান্য কায়স্থ পড়িতে পারিবে না কেন? কায়স্থ ক্ষত্রিয, আন্দুলের রাজা রাজনারায়ণ বাহাদুর তাহার প্রমাণ করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন। কায়স্থের অধুনা বাঙ্গালার সম্ভ্রান্ত জাতি। আপাততঃ কায়স্থদিগকে সংস্কৃত কলেজে লওয়া উচিত।” এই রিপোর্টে তিনি স্পষ্টই লিখিয়াছেন—
     “The opinions of the principal professors of this college on this subject are averse to this innovation”.