পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর।

পাঠকগণ কিন্তু,অধীর;কাজেই জীবনীর অসম্পূর্ণ উপকরণ লইয়া “জন্মভূমি”তে জীবনী লিখিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। যে কারণে জন্মভূমিতে জীবনী লিখিতে বাধ্য হইয়াছিলাম, সেই কারণে জীবনী পুস্তকাকারে প্রকাশ করি।

 পুস্তকের উপকরণ সম্পূর্ণ না হউক, অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী। সে বিরাট পুরুষের জীবনীর সম্পূর্ণ উপকরণ সংগ্রহ একরূপ সাধ্যাতীত। তবে ইহাতে যথাজ্ঞাতব্য বিষয়ের অভাব যাহাতে না হয়, তাহার জন্য সাধ্যানুসারে প্রয়াস পাইয়াছি।

 জীবনী, লেখা হইয়াছে বটে; কিন্তু একেবারে নির্দোষ হইবার সম্ভাবনা কম। কাহারও জীবনী লিখিতে হইলে, গুণাধিক্যের সঙ্গে দোষেরও সম্যক্র সমালোচনায় সমদৰ্শিতার সম্মান সংরক্ষিত হয়। মৃত ব্যক্তির গুণ ভালবাসার জিনিষ; দোষ নিন্দার্হ। কবি সাদে বলিয়াছেন,—

“Their virtues love, their faults condemn.”

 বিদ্যাসাগর মহাশয় বহুগুণান্বিত হইলেও কেহ কেহ তাহার কোনও কোনও কার্য্যে দোষারোপ করিতেন এবং অনেকেরই বিশ্বাস যে, দোষ তাহার ভ্রান্তবিশ্বাস-মূলক। কিন্তু তাহা সত্য হইলেও বহুগুণের সমাবেশে তাহার গুণের গরিমাই উজ্জ্বল হইয়া উঠে। যাহাই হউক এ সময়ে দোষের সম্যক সমালোচনা করা নানা কারণে অমুচিত। ডাক্তার জনসন বলিয়াছেন যে, “যাহার জীবনী লিখিতে হয়, কেবল তাঁহার চরিত্রের উজ্জ্বল ভাগই সমালোচনা করা উচিত নহে; তাহা হইলে তাঁহার অনুকরণ অসম্ভব হইয়া উঠে।” তাহারও কিন্তু সে সাহসে কুলায় নাই। তাঁহার সময়ে যে সব কবি ছিলেন, তাঁহাদের