পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০৪
বিদ্যাসাগর।

সভার অন্যতম সদস্য গ্রাণ্ট সাহেব, আইনের যে পাণ্ডুলিপি পেশ করেন, তাহাব মর্ম্মানুবাদ এই,—

 এতদ্বারা সকলে অবগত আছেন যে, ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর শাসনাধীনে ভারতের দেওয়ানী আদালতসমূহে প্রচলিত আইন অনুসারে, হিন্দু বিধবারা, দুই এক স্থলবিশেষ ব্যতিরেকে, একবার বিবাহ হইয়াছে বলিয়া, দ্বিতীয় বার আইনসঙ্গত বিবাহ করিতে পারে না এবং যদি করেন, তাহা হইলে সেই বিবাহজাত সন্তানসন্ততি বিধিসম্মত সন্তান-সন্ততি মধ্যে পরিগণিত হয় না; কিন্তু অধিকংশ হিন্দুর বিশ্বাস এই যে, ইহা যদিও দেশাচার অনুমত, তথাপি শাস্ত্রসম্মত নয়। তাঁহাদেব ইচ্ছা এই যে বিবেকবুদ্ধি প্রবর্ত্তিত হইয়া যদি কোন হিন্দু এইরূপ বিধবা-বিবাহ দেন তাহা হইলে আদালত প্রচলিত আইন যেন সে বিবাহে বাধা না দেয় এবং এইরূপ বাধার জন্য যে সকল হিন্দু কষ্ট পাইতেছে, তাহাদের কষ্ট নিবারণ করাই উচিত। হিন্দু বিধবাদিগের পুনর্ব্বিবাহ পক্ষে আইনসঙ্গত বাধা রহিত হইলে, হিন্দুদিগের ভিতরে সুনীতি স্থাপিত হইলে তাহাদের অনেক মঙ্গলের কারণ হইবে। সেই জন্য আইন করা যাইতেছে যে,—

 (১) মৃতভর্ত্তৃকা হিন্দু-কন্যা, কিংবা যাহার বিবাহের সম্বন্ধ হইয়াছে, কিন্তু যে ব্যক্তির সঙ্গে সম্বন্ধ হইয়াছিল, তার মৃত্যু হওয়াতে বিবাহ হয় নাই, এমন অবস্থায় কোন হিন্দু কন্যা যদি বিবাহ করেন, তাহা হইলে সেই বিবাহ আইনে অসঙ্গত বলিয়া ধরা হইবে না; এবং সেই বিবাহ হইতে যে সন্তান সন্ততি হইবে, তাহারা বিধিসম্মত সন্তান সন্ততি বলিয়া অস্বীকৃত হইবে না। দেশাচারপ্রবর্ত্তিত প্রথা এবং হিন্দু-