পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
৪৫১

শয়ের কথা শিরোধার্য্য করিয়া বলেন,—“আমি এক্ষণে আর হোমিওপ্যাথির নিন্দা করিব না; তবে পরীক্ষা করিয়া দেখিব, ইহার কি গুণ।” পরীক্ষায় তিনি হোমিওপ্যাথির পক্ষপাতী হইয়াছিলেন। ক্রমে অল্প দিনের মধ্যে ঐ চিকিৎসায় তিনি যশস্বী হইয়া উঠেন। তাঁহার যশঃপ্রভায় বেরিণীর প্রতিপত্তি কমিয়া গিয়াছিল। এ দেশের লোক প্রায় বেরিণীকে না ডাকিয়া মহেন্দ্র বাবুকেই ডাকিতেন। মহেন্দ্র বাবুরই উপর সকলের বিশ্বাস জন্মিয়াছিল। ১৮৬৯ সালে বেরিণী সাহেবকে শূন্য পকেটে ঘরে ফিরিয়া যাইতে হইয়াছিল। তাঁহাকে বিদায় দিবার সময় ডাক্তার রাজেন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন,—“কত সাহেব এ দেশে আসিয়া ফিরিয়া যাইবার সময পকেট ভরিয়া টাকা লইয়া যান, আপনি কিন্তু রিক্ত পকেটে ফিরিতেছেন।” এতদুত্তরে বেরিণী সাহেব বলিয়াছিলেন,—

 “আমি পাঁচ হাজার টাকা পকেটে পূরিয়া লইয়া যাইতেছি।”

 রাজেন্দ্র বাবু বিস্মিত হইয়া বলিলেন,—“সে কিরূপ?”

 উত্তর হইল—

 “মহেন্দ্র যে হোমিওপ্যাথিকের পক্ষপাতী হইয়াছে, ইহারই মূল্য পাঁচ সহস্র টাকা।”

 এই সময় গোবরডাঙ্গার জমিদার ৺সরদাপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, উত্তরপাড়ার জমীদার ৺জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় এবং কলিকাতার ঝামাপুকুরনিবাসী রাজা দিগম্বর মিত্র হোমিওপ্যাথিকের পক্ষপাতী ছিলেন।

 ইহার ৬।৭ বৎসর পরে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কনিষ্ঠ কন্যার অতি উৎকট পীড়া হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আরাম হইয়া-