পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৩০
বিদ্যাসাগর।

(৩)

 বহুদিনের পর জনৈক সব-জজের সহিত সাক্ষাৎ হইলে, বিদ্যাসাগর মহাশয় কথায় কথায় জানিতে পারিলেন যে, বৃদ্ধ বয়সে সব-জজ মহাশয় প্রথমা পত্নীর বিয়োগান্তে আবার দার-পরিগ্রহ করিয়াছেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন,—“তবে ত তোমার স্বর্গের দোর একেবারেই খোলা হে!” সব-জজ জিজ্ঞাসা করিলেন—“সে কি রকম, মহাশয়?” বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিলেন— “তবে শোন, মরণের পরই মানুষমাত্রেই স্বর্গে প্রবেশ করিবার জন্য স্বর্গের দ্বারে হুড়াহুড়ি করে; দ্বারপাল একে একে সকলকে জিজ্ঞাসা করে, “তুমি পৃথিবীতে কি কার্য্য করিয়া আসিয়াছ?” যাহারা পুণ্য কার্য্য করিয়া আসিয়াছে, তাহাদিগকে স্বর্গে প্রবেশ করিতে দেওয়া হয়, অপরগুলিকে নির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য নরকে পাঠান হয়। জনৈক স্বৰ্গ-প্রার্থী এইরূপে জিজ্ঞাসিত হইয়া কোন বিশেষ পুণ্য বা পাপ কার্য্যের পরিচয় দিতে পারিল না। কথায় কথায় দ্বারপাল জানিতে পারিল যে, সে ব্যক্তি বৃদ্ধ-বয়সে দ্বিতীয় পক্ষের বিবাহ করিয়াছে। দ্বারপাল বলিল—“তুমি এখনই স্বর্গে প্রবেশ করিতে পার, পৃথিবীতেই তোমার নরকভোগ হইয়া গিয়াছে!”

(৪)

 কোন অনুগত কর্ম্ম প্রার্থীকে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলিয়াছিলেন, “আমার পরিচিত কোন লোকের অধীনে কোন কর্ম্ম খালি থাকিলে, আমাকে জানাইও, আমি চিঠি দিব। অনেক অনুসন্ধানের পর এক দিন সেই লোকটী বিদ্যাসাগর মহাশয়কে জানাইল যে, টেলি-